রংপুর চিড়িয়াখানার প্রথম পর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম চিড়িয়াখানার অবস্থান, প্রবেশপথ, টিকিট মূল্য এবং কিছু প্রাথমিক অভিজ্ঞতা নিয়ে। এবার দ্বিতীয় পর্বে আমরা ডুব দেব প্রাণীর জগতে, প্রকৃতির ছোঁয়া, দর্শনার্থীদের অনুভূতি এবং শিক্ষনীয় দিকগুলো নিয়ে।রংপুর চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ নিঃসন্দেহে এখানে থাকা বিভিন্ন জাতের প্রাণী। এখানে যেমন রয়েছে দেশীয় প্রাণী, তেমনই রয়েছে বিদেশ থেকে আনা কিছু বিরল প্রজাতির জন্তু-জানোয়ার।

চিড়িয়াখানার একদম কেন্দ্রে আছে বাঘ ও সিংহের বিশাল খাঁচা। একেবারে সামনে থেকে দেখা যায় এদের রাজসিক চলাফেরা, বিশ্রামের ভঙ্গিমা এবং মাঝে মাঝে গর্জনে ভেসে ওঠে পুরো চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীরা একে ঘিরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন।একদিকে যেমন আছে বিশাল আকৃতির এশিয়ান হাতি, যারা ধীরে ধীরে চলাফেরা করে; অন্যদিকে রয়েছে চিত্রা ও মায়াল হরিণদের ঝাঁক, যারা আপন মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঘাসে ঢাকা খোলা মাঠে।প্রাণীদের মধ্যে আলাদা দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরীসৃপ কর্নার। এখানে আছে অজগর, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, গুইসাপ এবং কচ্ছপ। সাপের আলাদা গ্লাস খাঁচায় থাকাটা দর্শকদের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি করে।

চিড়িয়াখানার পুরো এলাকা ঘিরে রয়েছে প্রচুর গাছপালা। রংপুরের উষ্ণ আবহাওয়াকে প্রশমিত করে ছায়াঘেরা পথ, ফুলের বাগান, এবং বিশ্রামের জন্য বসার বেঞ্চ।ছুটির দিনগুলোতে পরিবার, শিশু ও শিক্ষার্থীদের আনাগোনা থাকে প্রচুর। শিশুদের মাঝে দেখা যায় প্রাণী দেখার উচ্ছ্বাস ও কৌতূহল। অনেকেই দল বেঁধে আসে শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে, তাদের হাতে খাতা-কলম – প্রাণী ও পরিবেশ নিয়ে লেখার জন্য।সামনে ক্যামেরা হাতে কিশোর-যুবাদের দল, যারা চেষ্টা করছে সেরা ফ্রেমে বাঘের হাই তোলা বা ময়ূরের পেখম মেলানোর মুহূর্ত ধরতে।

রংপুর চিড়িয়াখানা শুধু বিনোদনের স্থান নয় – এটি একটি জীবন্ত পাঠশালা। এখানে শিশু-কিশোররা বাস্তব জগতে বিভিন্ন প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারে, তাদের স্বভাব, খাদ্যাভ্যাস, বাসস্থান সম্পর্কে ধারণা পায়।রংপুর চিড়িয়াখানা শুধু একটি ঘুরে দেখার স্থান নয় – এটি একটি অনুভবের জায়গা। এখানে এসে যেমন শিশুদের আনন্দে মুখরতা দেখা যায়, তেমনই বড়দের চোখেও থাকে বিস্ময় ও প্রশান্তি।দ্বিতীয় পর্বে চিড়িয়াখানার গভীরতর অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে চেয়েছি। আশা করি, আপনারা এই ভ্রমণের গল্পের মাঝেই কিছুটা প্রকৃতি, কিছুটা প্রাণ এবং কিছুটা প্রেরণার ছোঁয়া খুঁজে পাবেন।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।