আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -৪৪steemCreated with Sketch.

jokes Cover-1.png

আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।

আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।

আজকের বিষয়ঃ

সাঁতার শেখা নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।

বিষয় নির্বাচনকারীঃ

@rex-sumon

অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ

  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
  • একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
  • কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
  • এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
  • পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।

ধন্যবাদ সবাইকে।

break .png
Banner Annivr4.png
break .png
Banner.png

আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃডিসকর্ড লিংক

break .png

Sort:  
 2 years ago 

অনেক ছোটবেলায় সাঁতার শিখেছি আমি। গ্রামে থাকার কারণে পুকুরে সাঁতার শেখার সুযোগ হয়েছিল ছোটবেলাতে। এই কাজে আমাকে সাহায্য করেছিল আমার প্রতিবেশী এক দাদা। কলা গাছ কেটে পুকুরে ভাসিয়ে সেটা ধরে ধরে আমাকে সাঁতার শিখিয়েছিল। একবার আমাকে সাঁতার শেখানোর সময় আমার সেই দাদা একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেছিল। সে নিজের কি যেন কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছিল আর অন্যদিকে একা একা সাঁতার কাটার সময় আমার হাত থেকে কলা গাছটি ছুটে যায়। আমি তখনো পুরোপুরিভাবে সাঁতার কাটা শিখে পারিনি সেই কারণে কলা গাছ হাতের কাছে না পেয়ে আমি জলে হাবুডুবু খেতে থাকি । নোংরা পুকুরের জল অনেকটা খাওয়ার পরে আমার সেই দাদা আমাকে উদ্ধার করে। সেই বার যে পরিমানে পুকুরের জল খেয়েছিলাম সেই ঘটনা কখনোই ভোলার নয়।🤪🤪

 2 years ago 

কেমন টেস্ট ছিলো ?🤣

 2 years ago 

জলের মধ্যে পঁচা পাতার গন্ধ ছিল এতোটুকু মনে আছে দাদা 🤪।

 2 years ago 

অনুগল্প:

ছোটবেলায় বাবা-মায়ের কাছ থেকে সাঁতার কাটা শিখেছি।বাবা পেটের তলায় দুই হাত দিয়ে সাপোর্ট দিত আর আমি হাত পা নাড়িয়ে দাপাদাপি শুরু করতাম।তারপর কখন ইচ্ছে করেই হঠাৎ হাত সরিয়ে নিতেন বাবা যে,আমি টের পেতাম না।টের পেতাম তখন যখন জলের নীচে ডুবে যাওয়ার পর্যায় হতো।আবার কখনো কলাগাছকে সম্বল করে সাঁতার কাটতে শিখেছি।এমনই একদিন খুব গভীর বড় জেঠুর পুকুরে স্নান করতে গেলাম।জেঠুর মেয়ে আর আমি সাঁতার কাটতে কাটতে পুকুরের গভীর জায়গায় গেলাম।যদিও আমি যেতে চাইছিলাম না কিন্তু জেঠুর মেয়ে জোর করে "আয় আয়" বলে নিয়ে গেল।একসময় হাঁফিয়ে গিয়ে পা মাটিতে ফেলতে গিয়ে ডুবে যাওয়ার মতো অবস্থা হলো আমার।জেঠুর মেয়ে কিন্তু ঠিক মাটিতে পা পেতে দাঁড়িয়ে আছে।দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় ওকে ডাকতে লাগলাম ভয় পেয়ে।কিন্তু বেশ কিছু সময় ও মজা নিয়ে তারপর সাঁতার কেটে আমাকে হাত ধরে নিয়ে কম গভীর জায়গায় পা রাখতে বললো।অনেক ভয় পেয়ে ছিলাম সেদিন,হয়তো ডুবে গিয়ে দম ফুড়ুৎ হয়ে যেত সেদিন।তখন বুঝলাম,যেহেতু ওদের পুকুর তাই গভীরতা সম্পর্কে জেনেশুনেই ও আমাকে নিয়ে গিয়েছিল ওখানে।শেষমেষ প্রাণে বেঁচে গেলাম আরকি।

 2 years ago 

স্ত্রী: ওগো শুনছো! আমাদের বাসার সামনে একটা সুইমিং পুল করে দাও না।
স্বামী: কেন? সুইমিং পুল দিয়ে কী হবে?
স্ত্রী: পাশের বাড়ির ভাবি বলেছে, সাঁতার কাটলে নাকি স্লিম হওয়া যায়!
স্বামী: তুমি কোনদিন শুনেছো, হাতি সাঁতার কেটে স্লিম হয়েছে....?
স্ত্রী: তার মানে তুমি বলতে চাইছো আমি হাতি.....হা হা হা।🤣🤣🤣

 2 years ago 

বল্টু: জানিস আমাদের নতুন বাড়িতে বাবা তিনটা সুইমিং পুল বানিয়েছে।
পল্টু: তাই না কি!
বল্টু: হ্যাঁ, একটা সুইমিং পুল গরম পানির, একটা ঠান্ডা পানির, আরেকটা পানি ছাড়া।

পল্টু: সে কী! যার ঠান্ডা লাগবে সে গরম পানির পুলে আর যার গরম লাগবে সে ঠান্ডা পানির পুলে সাঁতার কাটবে, এ পর্যন্ত না হয় বুঝলাম। পানি ছাড়া সুইমিং পুল কী জন্য?
বল্টু: যারা সাঁতার জানেন না, তাদের জন্য!

 2 years ago 

আজ থেকে আরো ১৬ বছর আগের কথা। বর্ষার সময় তখন আমাদের গ্রামের বাড়ির আশে পাশি পানি আসতো। ভালো পানি হতো তখন। তো আমার আব্বু আমাকে সাঁতার সেখাতে নিয়ে গেলো। তিনি আমাকে পাতালি কোলে নিয়ে পানিতে নিয়ে রাখলো বললো সাঁতার দিতে। আমি তো ইচ্ছা মতন হাত পা নাড়াচ্ছিলাম কিন্তু ভেসে তো আর থাকিনা। কতো যে চেষ্টা করেছিলাম একটু ভেসে থাকতে কিন্তু তা আর আমার দ্বারা হলো কই। শেষে আব্বু আমাকে ওভাবেই ধরে রেখেছিলো তিনি নিয়ে যাচ্ছিলো। আর আমি ভাব নিচ্ছিলাম যে সাঁতার কাটতেছি 🤣🤣🤣।

 2 years ago 

ছোটবেলার ঘটনা বাবার সাথে গেলাম পুকুরে সাঁতার শিখতে। প্রথমে চারহাত পা নড়াচড়া করতে থাকলাম পানির ভিতর আর বাবা আমাকে ধরে রেখেছে হঠাৎ দেখি বাবা আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। তখনই মনের ভিতরে ভয় ঢুকে পানির মধ্যে তলিয়ে গিয়ে প্রচুর পানি খেয়ে ফেললাম তখন আমাকে উপরে উঠিয়ে নিয়ে আসলো সেদিন জীবনের শ্রেষ্ঠ পানি পান করেছিলাম। আজ অব্দি সেই পরিমাণ পানি খেতে পারিনি।🤩🤩

 2 years ago 

ছোট বেলায় যখন পুকুরে গোসল করতে গেলাম। তখন আমি প্রতিবারে বাবার সঙ্গে পুকুরে গোসল করি।হটাৎ করে বাবা বলতেছে তুই কি সাঁতার জানিস,,? আমি বললাম না।তখন বাবা বললো এইদিকে আয় তোকে সাঁতার কাটা শিখিয়ে দেয়। তখন বাবা সাঁতার কাটা শিখাচ্ছেন। হটাৎ করে আমাকে ছেরে দেয়। তখন অনেক ভয়ে সাঁতার না কাটায় পুকুরের পানি খেয়ে ফেলছি।তার পর আরেক দিন হটাৎ করে নিজে পুকুরে গোসল করতে গেলাম। আমি যানি লাল পিঁপড়ে খেলে নাকি সাঁতার কাটানো শিখা যায়। আমি তখন যেখানে লাল পিঁপড়ে দেখি সেগুলই খেয়ে ফেলি।জীবনের প্রথম লাল পিঁপড়ে মন ভরে খেয়েছি 😃😃

 2 years ago 

স্ত্রী: ওগো শুনছো! আমাদের বাসার সামনে একটা সুইমিং পুল করে দাও না।
স্বামী: কেন? সুইমিং পুল দিয়ে কী হবে?
স্ত্রী: পাশের বাড়ির ভাবি বলেছে, সাঁতার কাটলে নাকি স্লিম হওয়া যায়!
স্বামী: যত সব ফালতু কথা!
স্ত্রী: কেন?
স্বামী: তুমি কখনো চিকন তিমি’র কথা শুনেছো?