আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৬৪
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তি নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
গতকালকে তৃতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে আমি শীতলক্ষ্যা নদী পার হচ্ছিলাম নৌকা দিয়ে। তো আমি যখন ইউটিউবে আমার বাংলা ব্লগের থিম সং দেখছিলাম, তখন আমার পাশে থাকা একজন লোক, আমার একেবারে পাশে এসেই থিম সং দেখা শুরু করলো। লোকটা থিম সং দেখে তো বিরাট খুশি হয়ে গেলো। খুশিতে হাততালি দিতে দিতে নৌকা থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে গেলো। ভাগ্যিস লোকটা সাঁতার জানতো। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, লোকটা পানিতে থাকা অবস্থায়ও আমাকে বলছে, ভাই আরেকবার দেখি আপনাদের কমিউনিটির থিম সং টা😂😂। আমি সেই লোকের কাহিনী দেখে হাসবো নাকি কাঁদবো, সেটাই বুঝতে পারছিলাম না🤣🤣।
আমার বাংলা ব্লগের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত মনে পড়ছে। যখন দাদা প্রশ্ন করেন সবচেয়ে বড় কোষের নাম কী? তার উত্তরে কেউ ডিমের বদলে লেখেন 'ডম'। দাদা নিজেও হেসে ওঠেন। আমিও মোবাইল মিউটের আড়ালে অট্টহাস্যে ফেটে পড়ি৷ তাড়াতাড়ি লেখবার এই তো মজা। মুহূর্তগুলো খুব মজার হয়ে ওঠে।
আমি মনে করেছিলাম যে ২০৩০ সালে বিয়ে করবো। কিন্তু গতকালকে দাদা অনুষ্ঠানে বলেছিল যে ২০২৫ সাল থেকে সবাই বেশী বেশী আর্ন করতে পারবে। আর এই ব্লগে আমি যেহেতু ভেরিফাইড মেম্বার তাই আমার আর্ন ভালোই হবে । সেই সূত্রে আর নয় ২০৩০ সাল বিয়ে আমি করবো ২০২৫ সাল হা হা হি হি । বি:দ্র: বেশী বেশী আর্ন মানেই দ্রুত বিয়ে।
বড় দাদা : বলুন তো সাথী রঙিন টিভি আর সাদাকালো টিভির মধ্যে পার্থক্য কী-?
সাথী :দাদা , রঙিন টিভিতে যেটা ‘গাজর’ সাদাকালো টিভিতে সেটা হাফিজুল্লা ভাইয়ের প্রিয় ‘মূলা’!😄
বল্টু:- আচ্ছা বন্ধু আমার বাংলা ব্লগ যদি বাঙালী কমিউনিটি না হয়ে চায়না কমিউনিটি হতো,তাহলে কেমন হতো..?
পল্টু:- অনেক সমস্যা হতো..।
বল্টু :- যেমন কি কি..?
পল্টু:- আমার বাংলা ব্লগ তো তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর চায়না কমিউনিটি হলে তিন মাসও টিকতো না। কারণ চায়না মালের কোন গ্যারান্টি নাই,হা হা হা।😂🤣
বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যখন আমার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ডাকা হয় তখন জয়েন হতে একটু দেরি হচ্ছিল, যেটা প্রতিবারই হয়ে থাকে।তো তখন গিভওয়ে দেওয়া হচ্ছিল, সবাই চাতক পাখির মতো একপ্রকার তাকিয়ে বসে ছিল সেগুলো ধরার জন্য।যদিও আমি অনেকগুলো মিস করে গিয়েছি,তো ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে শুভ ভাইয়া বলছে--green আপু মনে হয় গিভওয়ে ধরার জন্য তাকিয়ে বসে আছেন।তখন আমার এতটা হাসি পাচ্ছিলো কি বলবো!ওই কথাটি স্মরণ করতেই যেন হাসি পাচ্ছে।আসলে আমি মাইকে টাচ করেই যাচ্ছি তখন,অন আর হয়-ই না।এটা বেশ মজার মুহূর্ত ছিল।।
বন্ধু রিপনকে বলতেছিলাম এক টানা তিনটা বছর বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে পার করে দিলে এখন একটা বিয়ে করে বউয়ের সাথে বাকিটা জীবন পার করার ব্যবস্থা কর। বন্ধু রিপন তখন বলতেছিল এত সস্তা না আমার বাংলা ব্লগ পরিবার থেকে ভোট নিয়ে টাকা রোজগার করে সেটা পরের বাড়ির মেয়ে মানুষকে খাওয়াবো এত পাগল আমি না।
আমার বাংলা ব্লগের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল, সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য কাজ করতে গিয়ে আমি একদিন স্নান করার কথাই ভুলে গেছিলাম। যদিও এই কথা আমি অন্য কাউকে বলিনি, এখানেই প্রথম শেয়ার করলাম। এই গরমের দিনে স্নান না করা একটা মহা অপরাধের মধ্যেই পড়ে। 🤭🤭
ইস, বলো কি দাদা।এইবার প্রকাশ করে দিলে সবাই তোমাকে বাস্টেপোড়া বলবে☺️☺️.
হেহেহে...কাজের চাপে কি আর করা যাবে বোন😌😌।
☺️☺️
কৌ- এই নীল তুই জেনারেল চ্যাটে আয় গিভ অ্যাওয়ে দিচ্ছে
নী- ধুর হাত আর চোখের ব্যালেন্স নেই
কৌ- কেন রে?
নী- আরে দেখে টিপতে টিপতে এতো ম্যাসেজ এসে যায় ওটাই বেলুনের মতো উড়ে যায়
কৌ- বেলুন ধরার মতোই তো ধরবি
নী- কি যে বলো, এই ধরাধরি করতে পারিনি বলেই তো চাঁদটা ফসকে গেল।
কৌ- চাঁদ? কিভাবে?
নীল- ওই যে পৃথিবী হাত থেকে গড়িয়ে পড়ল তোমার জামার বোতামে তারপরেই তো চাঁদও
কৌ- তোর মাথার ঠিক আছে? কে চাঁদ? কি চাঁদ?
নী- আরে চাঁদ রে। মুন৷ বাঁশের তৈরি...