আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ৭১
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
সাইকেল চালানো শেখা নিয়ে মজার কোন জোকস বা অনুগল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
অনুগল্প:
সেই কবে থেকে বলছি সাইকেল চালানো শিখবো, তবে তাতে আবার নাকি কয়েক ফোঁটা রক্ত ঝরাতে হবেই হবে।এর মধ্যে আমাদের মমতা পিসি আবার সরকারি সাইকেল দিয়েও দিয়েছেন স্কুলে পড়ার সময়ে।এখন সেই সাইকেল খানিক মেরামত করে নেওয়ার কাজ বাকি,ঠিক করেই শিখে নেব এমন ভাবনা আমার মনে।সরকারি সাইকেল দেখলেই মানুষ হাজার টাকা হাতে গুঁজে কিনে নিতে চায়।তেমনি এমন কয়েকজনের দৃষ্টি থেকে আমার সাইকেল ও বাদ পড়েনি।কিন্তু আমি বিক্রি করিনি,আমার সাইকেল চালানো শেখা হয়নি মাঠ বের হলেই মাঠে সাইকেল চালানো শিখে নেব সাইকেল ঠিক করে।ইতিমধ্যে কয়েকজন আমাদের চেনা বিবাহিত বৌদি পাঁচিলের গাঁয়ে ধাক্কা খেয়েও সুন্দর সাইকেল চালানো শিখে গিয়েছে।☺️☺️কিন্তু আমার স্বপ্ন সেই স্বপ্ন-ই রইয়ে গিয়েছে।সাইকেল মেরামত করা তো হলো-ই না আর সঙ্গে সাইকেল চালানো শেখাটাও।তবে কোনো একদিন অবশ্যই এই স্বপ্ন পূরণ করবো আমি।।
সাইকেল চালানো শিখতে যাওয়া নিয়ে ছোটবেলায় অনেক স্মৃতি রয়েছে। ছোটবেলায় যেহেতু আমি গ্রামে বড় হয়েছি তাই গ্রামেই এই সাইকেল চালানো শিখেছি। আমি প্রথম যখন সাইকেল চালানো শিখতে গেছিলাম, একটু একটু শিখে যাওয়ার পরে নিজে মাতব্বরি করে চোখ বন্ধ করে একবার সাইকেল চালাতে গেছিলাম। ব্যাস! এক্সিডেন্ট করে পায়ের অনেকটা অংশ কেটে গেছিল। এখনো সেই দাগ পায়ে রয়েছে। এখন সেই কথা মনে পড়লে খুব হাসি পায়। নতুন নতুন সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে সাইকেল চালানোর ব্যাপারটা বোকামি ছিল যা এখন বুঝতে পারি। তবে ছোটবেলায় এটা বুঝতে পারিনি।
চোখ বন্ধ করে সাইকেল চালানো , কথায় আছে না ভাই কনফিডেন্স ভালো কিন্তু ওভার কনফিডেন্স একদম ক্ষতিকারক, ঠিক তেমনটাই হয়েছে আপনার সাথে 🤣🤣। তবে কষ্টও পেলাম।
সাইকেল চালানো শেখা নিয়ে আমি আর সুমন ভাইয়ার মধ্যে মজার একটি ঘটনা রয়েছে 😲 সেটাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব:-
আমি: সুমন ভাইয়া সহ একসাথে বসে একদিন গল্প করছিলাম 😲। এক পর্যায়ে ভাইয়াকে বললাম যে, ভাই আমি তো সাইকেল চালাতে পারিনা আমাকে একটু শিখায় দিবেন?
সুমন ভাই:কিরে শাহিদ,তুই এত বড় হয়েছিস সাইকেল চালানো শিখিস নাই?চল চল তোকে এখনই শিখাই দিচ্ছি।
আমি:অবশেষে তিনি আমাকে সাইকেলের উপর তুলে দিয়ে বললেন প্যাটেল ঘোরাও এবার জোরে জোরে। রাস্তা দিয়ে সুন্দরী একটা মেয়ে যাচ্ছিল 😲 ওকে দেখতে যেয়ে ওর উপরে সাইকেল দিলাম তুলে🥴মেয়ের গেল পা ভেঙ্গে😫।
সুমন ভাই: এইবার মেয়ের বাড়ির লোক আর সুমন ভাই মিলে বললেন মেয়ের তো পা ভেঙ্গে ফেলেছিস, চল সেই মেয়ের সাথেই তোর বিয়ে🥴😫।
আমি: সুমন ভাইয়ার কথামতো বিয়ের আসরে বসে পড়লাম লুঙ্গি পরে 😝। মাঝখানে সুযোগ পেতেই সঙ্গী খুলে দিয়ে বিয়ের স্টেজ থেকে উঠে দিলাম দৌড়। কিসের আমি পা ভাঙ্গা মেয়েকে বিয়ে করি, চাচা আপন প্রাণ বাঁচা 🤣🤣🤣।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: জাস্ট ফান নট বি সিরিয়াস।
ভাবি আজ খালি বসে,
এমনটা হত বেশ-
সাইকেলে বসে ভেসে ।
দু চাকায় ভব ঘুরে,
মন ছোটে বহু দূরে -
ছুটি প্রাণ শ্বাস ভরে;
সাইকেলের হ্যান্ডেল সাথী করে।
আমি তখন নতুন সাইকেল চালানো শিখেছি। একদিন এক মামার সাথে সাইকেল নিয়ে বাজারে গেলাম। মামার নিজের বড় সাইকেল আর আমার ছিল ছোট সাইকেল। ফেরার পথে একজন দেখলাম আগেই পড়ে গেছে সাইকেল নিয়ে। মামা লোকটিকে পার হয়ে গেলেও আমি গিয়ে সোজা উঠিয়ে দিলাম তার গায়ে। লোকটা তো রেগেমেগে আগুন। খুব ধমক দিচ্ছিলো আমাকে। মামা বুঝতে পারেনি, ভেবেছিলো আমিই বোধহয় এক্সিডেন্ট করেছি। আমি তো ভয়ে শেষ। মামা এসে বললোঃ ভাই, ও নতুন শিখেছে তো। কিছু মনে কইরেন না।
তখন পাশ থেকে একজন যুবক বড় ভাই এগিয়ে এসে ওই লোকটাকেই ধমক দিয়ে বললোঃ মিয়া ফাইজালামি পাইছেন? আপনে তো আগেই পইড়া গেছেন। এই পোলার দোষ কি?
এটা শুনে তো মামা পুরো রেগে আগুন। বলতেছেঃ আপনি আমার ভাগিনারে কেন ধমকাইলেন এতক্ষণ? আমি তো ভাবছি সে এক্সিডেন্ট করছে। মিয়া আপনে তো নিজেই সাইকেল চালাইতে পারেন না। পইড়া গেছেন। আরও নানাবিধ কথা।
শেষে লোকটা আমাকে আইসক্রিম কিনে দিয়ে ওই দফা শেষ হয়েছে। ঘটনাটা আজকে প্রশ্ন দেখে মনে পড়ে গেছে। ঘটনাটা খুব সম্ভব ২০০৬ সালের। এয়ারটেলের ৩০০৳ মোবাইল রিচার্জ কার্ড কেনার জন্য গিয়েছিলাম।
— এই তুই আমার সাইকেল নিয়ে একদম যাবি না।
— দে না দাদা, আমি শিখে গেলে আমারও নতুন সাইকেল হবে।
— তুই ভেঙে দিবি, তোর যা ওজন আমার সাইকেলের টায়ার ফেটে যাবে।
— ও মা দেখো না,
কয়েক ঘন্টা বাদে,
— মা গো, ভ্যাঁ... 😭😭
— কি রে! পড়ে গেছিস! দাদা এতো করে নিয়ে যেতে না বলল শুনলি না? দেখলি তো? বাবুউউউউউউউ
দাদা— হায় হায়!!! পড়ে গেছিস? কোথায় পড়লি!
— সেগুন গাছটার সামনে চলে গেছিলাম সামলাতে পারিনি।
— সেগুন গাছ! সেটা ঠিক আছে তো? নাকি ভেঙে গেছে তোর ধাক্কায়!
— দাদা! 😭😭😭
একজন বলছে বন্ধুকে:
বন্ধু: "তাহলে শিখেছো কি?"
সে: "আরে না, এখনো শিখিনি। তবে পড়ে গিয়ে উঠার স্পিড ভয়ঙ্কর বেড়ে গেছে!" 😄
গল্প টা আমার না,বন্ধুর
আমি সাইকেল চালানো একটু বড় বয়সেই শিখেছি।ক্লাস সেভেনে।কারন আমার সাইকেল ছিল না আর বাবা মা কিনে দিতেও ইচ্ছুক না।কারন তারা ভাবত সাইকেল কিনে দিলেই আমি অ্যাক্সিডেন্ট করব। যাই হোক বন্ধুর সাইকেল দিয়ে স্কুল মাঠে চালানো শিখতেছি,এখন জানেনই প্রথম শেখার সময় ব্যালেন্স করা কঠিন।তাই চালাতে চালাতে এক মেয়ের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যাই। বন্ধু এগিয়ে এসে আমাকে বকা দিতে থাকে।মেয়েটা বন্ধুর এলাকার। বন্ধু নিয়মিত মেয়েটার খোজ খবর নিতে থাকে৷ এর মাঝেই দুইজন রে রেস্টুরেন্ট এ দেখি। তারপর শুনি প্রেমে হাবু ডুবু খাচ্ছে দুজন। এতদিন সিনেমায় দেখলাম যার সাথে ধাক্কা লাগে তার সাথেই প্রেম হয়। আমার কপাল কত খারাপ যে প্রেম হল আমার বন্ধুর সাথে।