আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ -০৮
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
বউ-শাশুড়ি নিয়ে কৌতুক বা মজার কোন অনুগল্প ।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
সকালে উঠেই শাশুড়ির চিৎকার!
শাশুড়ি: ও বৌমা ,বেলা তো কম হলো না কিছু খেতে দিবে ।না কি এখন মাঠে গিয়ে ঘাস খাবো?
বৌমা: মা, আপনি যদি মাঠে গিয়ে ঘাস খান তাহলে গ্রামের গরু গুলো না খেয়ে মরে যাবে। তার চেয়ে আপনি বাড়ীতে খেয়ে মরার মত পরে থাকুন।
শাশুড়ি: দেখেছো দেখেছো কি বৌ ঘরে আনছি! আমার মৃত্যু কামনা করছে। বৌ তো না যেন ধানি লঙ্কা!
বৌমা: মা আমি যদি ধানী লঙ্কা হই, তাহলে আপনি বিচ্চুতি পাতা।
এই নিন আপনার খাবার খেয়ে আমাকে উদ্ধার করুন।
শাশুড়ি: বৌমা এত তাড়াতাড়ি আমি তোমাকে মুক্তি দিচ্ছি না। আমি মরার পর ও এভাবে তোমার ঘাড়ে চেপে থাকবো। আর তোমাকে জ্বালিয়ে যাবো।
আনলিমিটেড বিনোদন হা হা হা 😆
মুক্তি কি অতো সহজ, হি হি হি
নতুন বিয়ের পরে বৌমা ও শাশুড়ির কথোপকথন
শাশুড়ি: বৌমা আজ থেকে সংসারে সকল দায়িত্ব তোমার।
বৌমা: শাশুড়ি মা তাহলে আপনার আঁচলে যে চাবিটা বাঁধা আছে সেটা দায়িত্ব আমাকে দিয়ে দিন।
শাশুড়ি: শুধু চাবিটার দায়িত্ব আমার অন্য সকল দায়িত্ব তোমার।
বৌমা: সকল দায়িত্ব যখন আমার। তাহলে তো আমার কথা মতোই চলতে হবে, আপনি রাজি তো?
শাশুড়ি: আচ্ছা ঠিক আছে মেনে নিলাম।
বৌমা: তাহলে এখন চাবিটা আমার কাছে দেন।
বৌমার কথা শুনে শাশুড়ির মাথায় তো বজ্রপাত। শাশুড়ি ভেবেছিল সবকিছু ভাগ করব ঠিকই কিন্তু তালগাছটা আমার মধ্যে রাখবো। কিন্তু বৌমার কথার জালে আটকায়ে শাশুড়ি রোহিঙ্গা হয়ে গেছে 😁😁😁
দাজ্জাল বউমা 😆
দজ্জাল মানে কি একদম ডিয়ারিং😁😁😁
ভাই শাশুড়ীকে শেষে রোহিঙ্গা বানিয়ে দিলেন। হা হা হা।
শাশুড়ি কথার প্যাঁচে পড়ে একদম নিঃস্ব হয়ে গেছে তাই রোহিঙ্গা বানিয়ে দিলাম 🙃🙃😁😁।
নতুন বউ! প্রথম দিন।
বউঃ আম্মা দেন,, আমি রান্না করি।
শাশুড়ী ঃ না, মা! আমি রান্না করি, আর শোনও ,
বউমা তুমি এখন থেকে আমাকে বা অন্য কাউকে
ডাকার সময় শেষে ''জান''' ,, শব্দটা যুক্ত করবে।
যেমন আম্মাজান, আব্বাজান, খালাজান, খালুজান।🙄🙄
দ্বিতীয় দিন,,,
শাশুড়ী ঃ বউমা মাচার নিচে খাঁচা থেকে মুরগি গুলো বের করো তো,
বউঃ আম্মাজান, মাচাজান এর নিচে খাঁচাজান এর ভিতরে মুরগিজান নেই!!!!
হা হা হা হা মজার ছিলো কৌতুকজানটা
হাহাহা ভাইজান।
বউমা কান্না করছে,এই দেখে শ্বাশুড়ি জানতে চাইলঃ
শ্বাশুড়িঃবউমা কান্না করছে কেন?
বউমাঃএকটু আগে ছাদের বসে ছিলাম,পাশের বাসার ভাবি তার বাচ্চাকে ভাত খাওয়াচ্ছে।এমন সময় আমাকে দেখিয়ে বলল মা ওই দেখ পেত্নী।
মা আসলেই কি আমি পেত্নীর মত?
শ্বাশুড়িঃ কে বলেছিল তোমাকে মেকাপ ছাড়া এই সময়ে ছাদে বসতে?
হাহাহা 🤣🤣 মেকআপ নিয়ে শুধু ছেলেরাই বলেনা শ্বাশুড়িরাও বলে তাহলে।🤓🤓
হ্যা দাদা।এটা বাস্তব ঘটনা।
যাইহোক ভাই বাস্তব ঘটনাটি দারুন ছিল 🤓🤓।
হায় হায় এটা কি ছিল। হা হা হা...
এই লাইন টা পড়ে খুব হাসলাম ভাই।🤣🤣
দাদা এটা আমার পাশের বাড়ির ঘটনা।
বউ শাশুড়ির তুমুল ঝগড়ার মাঝে ছেলে এসে জি বাংলা চালিয়ে দিল। এখন ঘর শান্ত, বউ আর শাশুড়ি এক সোফায় বসে পরবর্তী সিনে কি হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করছে। মনেই হচ্ছে না একটু আগেও ঘরের পরিবেশ অশান্ত ছিল।
ছেলে এক স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলে উঠলঃ
হা হা হা 🤣
আজ সকাল থেকেই শাশুড়ি ও বৌমার নিজ নিজ ক্ষমতা নিয়ে জব্বর লড়াই শুরু হলো ঝগড়ার মাধ্যমে।ঝগড়ার এক পর্যায়ে---
শাশুড়ি: আমি এই ঘরের প্রধানমন্ত্রী, তোমার শ্বশুর মুখ্যমন্ত্রী,আমার ছেলে অর্থমন্ত্রী, তোমার ননদ রাজ্যপাল,তুমি কি হতে চাও?
বৌমা: বিরোধী দলনেত্রী!😏😏
শাশুড়ি মধ্যে কথা হচ্ছে👇
শাশুড়ি:তোমার রান্না এত বাজে কেন? কি রান্না শিখেছ বাপের বাড়ি থেকে?
বউ:ওটা আমার বাবার বাড়ি। কোন ট্রেনিং সেন্টার না যে, রান্না শিখে আসবো।
শাশুড়ি:এত বড় কথা! তুমি জানো আমার ছেলেকে আমি কত আদর যত্নে বড় করেছি।
বউ:ও আচ্ছা আপনার ছেলেকে আপনি আদর-যত্নে বড় করেছেন। আর আমার মা বাবা কি আমাকে অনলাইন থেকে অর্ডার করেছিল।
খুবি মজা পাইছি ভাই হাহাহা
শাশুড়ি বৌমার মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে,
বৌমা: বৌমা শাশুড়ির কাছে গিয়ে বলল মা জানেন আপনার ছেলে আজকাল বেশ ভালো রান্না শিখে গেছে।
শাশুড়ি: রান্না কি আর স্বাদে শিখেছে? তোমার হাতের জঘন্য রান্না যাতে খেতে না হয় তাই নিজেই রান্না শিখে নিয়েছে।
😅😅
বউ কাঁদছে। শাশুড়ি বলছেন, ও বউ কাঁদছ কেন
‘মা, আমি কী পেত্নির মতো দেখতে’
-মোটেই না।’
‘চোখ দুটি কি বরিশালের বড় আমড়ার মতো’
-কে এসব বলে?
‘আমার নাকটা কি পাকোড়ার মতো’
-না তো!’
‘আমি কি মোষের মতো মোটা’
-কে বা কারা এসব মিছা কথা বলে?
‘তাই যদি না হবে তাহলে পাড়ার লোকে আমাকে দেখলেই কেন বলে, ঠিক একেবারে শাশুড়ির মতো!
হি হি,এইজন্য শাশুড়ি শুধু না তো, না তো বলছিলো।
হাহাহাহাহা এটা কি ছিলো। এতো পরোক্ষ ভাবে শাশুড়িকেই পচিয়ে দিলো। আহা বেচারা শাশুড়ি। 🤣🤣🤣🤣
হা হা 😄
জব্বর দিয়েছে, সিষ্টেমে 😜
দাদা, পকোড়ার মতো নাক আবার কেমন করে হয় 🤣🤣?
সর্বনাশ নিশ্চিত তুলকালাম কান্ড বেঁধে যাবে !!!
বউ শাশুড়ীকে এভাবে পচিয়ে দিল।হা হা হা। অনেক মজার ছিল ভাইয়া।
শ্বাশুড়ি নতুন বউকে বলছে,
শ্বাশুড়ি ঃ আজ থেকে তুমি আমার নিজের মেয়ে। আমাকে তুমি মা বলে ডাকবে।
বউমাঃ জী ঠিক আছে মা।
সারাদিন অফিসে কাজ করে জামাই বাসায় এসে কলিংবেল চাপল আর বউ দড়জা খুলেছে। শ্বাশুড়ি জিজ্ঞেস করল-
শ্বাশুড়ি ঃ কে এসেছে বউমা?
বউমাঃ ভাইয়া এসেছে মা।
অবশেষে স্বামীকে ভাই বানিয়ে দিলেন। হা হা হা।