Better life with steem The Diary Game |8 may, 2025
সকাল বেলা |
---|
HELLO▶
Everyone
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন ৷ প্রত্যাশা করি সবসময় যেন ভালো থাকেন ৷ চলে আসলাম আজকে আপনাদের মাঝে আমার সারাদিনের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য ,, তাহলে চলো শুরু করা যাক ৷
গত চারদিন থেকে আমাদের বাড়িতে অনেক সমস্যা বয়ে যাচ্ছে যেমন, আমার শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল কয়েকদিন আগে যে এলার্জি টা দেখা দিয়েছিলো সেই একই এলার্জি আবার নতুন চার দিন আগে হয়েছিল ৷
তবে আগের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশী হয়েছে হঠাৎ করেই রাতে চুলকানি শুরু হয় তারপর আমার ঠোট ফুলতে শুরু করে তখন আর বুঝার বাকি ছিলো না যে এটা এলার্জি ৷
তারপর কয়েকদিন আগে আমাদের গরুর বাছুর হয়েছিলো আর বাছুর টা ছিল প্রতিবন্ধীর মত তাই দুদিন আগে সেটাও অপারেশন করার লেগেছিল ৷ এদিকে আমার মায়ের শরীরের অনেক রোগ ব্যাধী সব মিলিয়ে বর্তমান সময় টা খুবই খারাপ যাচ্ছে ৷
যাই হোক চারদিনের ব্যবধানে আজকে এলার্জি টা কমেছে কিন্তু ঠোটে ডান পাশে ঘা মত হয়েছে সেগুলো সারাতে নাকি একটু সময় লাগবে ৷ তবে আমার মুখ ধুইতে এবং খাওয়া দাওয়া করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায় ৷
এত কিছুর বিপদের সম্মুখীন হয় আজকে আমরা একটি ছোট অনুষ্ঠান বাড়ির মধ্যে আয়োজন করেছি যেন আমরা পরিবারের সবাই মিলে রোগ ব্যাধী গুলো থেকে মুক্তি পেতে পারি ৷
পুঁজা টি প্রায় চার ঘন্টার মত চলছিল তারপর শেষ হয় ৷ এবং আমরা বাড়ির মানুষদের জন্য খাওয়া দাওয়া আয়োজন করেছি ৷ পূজা শেষ করে সবাইকে ডেকে নিয়ে এসে খাওয়া দাওয়া করালাম ৷ এবং এখানেই এই পূজার সমাপ্তি ঘটে ৷
বিকেল বেলা |
---|
সকাল থেকে অনেক ব্যস্ত ছিলাম পূজার কাজে তাই পূজার যাবতীয় কাজ গুছিয়ে দিয়ে বিকেল বেলা বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বাইরে বের হয়ে আসলাম ৷ হঠাৎ করেই দাদু ভাইয়ের সাথে দেখা ৷
আমরা এই ঝালমুড়ি বিক্রেতা কে ছোটবেলা থেকেই চিনি তাই আমরা এর নাম দিয়েছি দাদুভাই ৷ এই দাদুভাই ঝালমুড়ি অনেক টেষ্টি করে বানিয়ে দেন যেটা খেতে বেশ মজা লাগে ৷
যাই হোক আমরা দুজন ছিলাম তাই ১০ টাকার করে ২০ টাকার ঝালমুড়ি কিনে খেয়ে নিলাম ৷ তারপর পাশের দোকান থেকে ঠান্ডা জাতীয় ড্রিংক এনে খেয়ে নিলাম ৷ তারপর স্কুল মাঠে গিয়ে সেখানে সবাই মিলে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম ৷
সন্ধ্যা বেলা |
---|
হঠাৎ করেই প্লান হয়ে যায় হরিবাসর শুনতে যাবো তাই আমরা কয়েকজন ছেলে মিলে দেবীগন্জ শহরে চলে আসলাম হরিবাসর শুনার জন্য সাধারনত এখানে পাঁচ দিন ব্যাপী হরিবাসর চলে আর এই পাঁচ দিনে বেশ সনাতনী মা বোনদের ভিড় দেখা যায় ৷
আমরা এসেই হরিবাসরে চলে আসলাম তারপর ভিতরে প্রবেশ করে বসে পড়লাম কির্তন শুনার জন্য ৷ যাই হোক আমরা প্রায় ১ ঘন্টার মত শুনলাম তারপর যে গরম থাকা যাচ্ছে না সেজন্য আমরা বের হয়ে চলে আসলাম মেলা টা ঘুরে দেখার জন্য ৷
বাঁশির সুর আমার বেশ ভালোই লাগে কিন্তু আমি তো বাঁশি বাজাতে পারি না তাই শুধু বাঁশি গুলো নেড়ে চেড়ে দেখলাম ৷ তবে বাঁশি গুলোর দাম তেমন টা বেশী ছিলো না যদি বাজাতে পারতাম তাহলে একটা কিনে নিতাম ৷
যাই হোক রাত অনেক টা হয়েছে আমাদের আবার বাড়িতে যেতে হবে তাই আর দেরী না করে একটা ভ্যান রিজাভ করে চলে আসলাম বাড়িতে ৷
তো বন্ধুরা আজকে এই ছিল আমার সারাদিনের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
শুভ রাত্রি 🤍
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 13 pro + |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
W3W | https://w3w.co/slotted.inward.quartered |