HELLO

Everyone

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি সবাই ভালো আছেন ৷ প্রত্যাশা করি সবসময় যেন ভালো থাকেন ৷ চলে আসলাম আজকে আপনাদের মাঝে ঢাকা শহরের মধ্যে সারাদিনের কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার জন্য ,, তাহলে চলো শুরু করা যাক ৷

---

গতকাল রাতে আমি ঢাকায় এসেছি এবং আগামীকাল ২৭ তারিখে আমার চাকুরীর পরীক্ষা রয়েছে ঢাকা সদরঘাটে তাই মূলত ঢাকায় আসা ৷

যাই হোক আজকে সকাল ৯ টায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খাওয়ার জন্য বাইরে চলে আসলাম ৷ আমরা যে বাসায় ছিলাম নিচে নামতেই বাসার দেয়ালে সুন্দর একটি সাদা রঙের বিড়াল বসে আছে ৷ আমার বিড়াল টি দেখে খুবই ভালো লাগলো তাই সাথে সাথে বিড়ালের কিছু ছবি আমার ফোনে ক্যামেরা বন্দি করে নিলাম ৷

আমরা যে বাসায় থাকি সেখান থেকে বাজার একটু দুরেই বলা যায় রিকশা করে গেলে দুজনের ভাড়া লাগবে ৫০ টাকা তাই আমরা হেঁটে হেঁটে চলে আসলাম রায়ের বাজারে সেখানে একটি সুন্দর এবং রুচিসম্মত খাবারের হোঁটেল খুজে বের করলাম ৷

আমরা যখন নাস্তা খাওয়ার জন্য বের হই তখন প্রায় ১২ টা বাজতেছে তাই আর নাস্তা না খাওয়ার চিন্তা ভাবনা না করে ভাত খাওয়ার চিন্তা ভাবনা করলাম ৷

অতএব পর আমরা একটি ছোট হোঁটেলে গেলাম তারপর দেখলাম হোঁটেলে মোরগ পোলাও রয়েছে তাছাড়াও মোরগ পোলাও আমার বেশ পছন্দের তাই আমার দুজনে মিলে মোরগ পোলাও খাওয়া দাওয়া করলাম ৷

খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নিয়ে চলে আসলাম বাসায় ৷ আসলে ঢাকা শহরের মধ্যে অনেক রোদ এবং প্রচন্ড গরম আমাদের তেমন অভ্যাস ও নেই ঢাকার পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ৷ তাই আমরা খুব তারাতারি করে চলে আসলাম বাসায় ৷

বিকেল বেলা

বিকেল বেলা একটা কাজের জন্য বেরিয়ে পরলাম ঢাকা শহরের মধ্যে , আসলে আমার সাথে যে ছোট ভাই ছিল তার বাবার চোখের সমস্যার রিপোর্ট গুলো ডাক্তারকে দেখাইতে হবে ৷ সেজন্য আমরা চলে আসলাম ধানমন্ডির পাশেই চোখের হসপিতালে ৷

আমাদের আগে থেকেই সিরিয়াল দেওয়া হয়েছে তাই আর তেমন টা দেরী করতে হয় নাই আমরা গিয়েই সেখানে আমাদের রিপোর্ট গুলো তারা হাতে নিয়েছিলো ৷

যাই হোক ডাক্তার কে রিপোর্ট গুলো দেখিয়ে আমরা একটু আশেপাশের জায়গা গুলো ঘুরতে লাগলাম ৷

সন্ধ্যা বেলা

রাতের বেলা শহরে ঘুরতে অনেক মজা লাগে এই প্রথম বার ঢাকা শহরে আসলাম তাই আনন্দ টা একটু বেশি লাগতেছে ৷ যাই হোক হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই দেখতে পেলাম একজন আনারস বিক্রেতা ছোট সাইজের আনারস গুলো বিক্রি করতেছে তারপর আমরা কাছে যেতে না যেতেই বলেন মামা আসেন এই গুলো শ্রী মঙ্গলের আনারস খেতে বেশ মজা এবং সুস্বাদু করবে ৷

ঢাকা শহরে আমি এই গুলো বিশ্বাস করলাম না তারপর কাছে গিয়ে মামাকে বললাম তাহলে তিন টা কেটে দেন আমরা খেয়ে দেখি ৷ তারপর যখনই খাওয়া শুরু করি খেতে তো বেশ মজাই লাগাতেছে একটু ও টক নেই পুরো আনারসে মিষ্টিতে ভরা ৷

যাই হোক তারপর আমরা আরো তিন টা আনারস মামার কাছে মেখে নিলাম তারপর আবারো মজা করে খেয়ে নিলাম ৷

রাত ১০ টা পর্যন্ত ঘুরে টুরে বাসা আসার উদ্দ্যেশে রওনা দিয়ে দিলাম ৷ তারপর বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে শুয়ে বিশ্রাম নিতে লাগলাম ৷

তো বন্ধুরা আজকে এই ছিল আমার সারাদিনের সংক্ষিপ্ত কার্যক্রম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম , সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷