দুর্গা পুজায় ঘোরাঘুরি - ২য় পর্ব
![]() |
---|
Hello Everyone,,,
আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
বিগত পোস্টে আপনাদের সাথে দুর্গাপূজার ঘোরাঘুরির মুহুর্ত শেয়ার করেছিলাম। আজ আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি।
বিগত পোস্টে বলেছিলাম, আমরা কয়েকজন বন্ধুরা মিলে পূজা দেখতে বেরিয়েছিলাম। তারপর আমতলা সার্বজনীন দুর্গা মন্দির থেকে পূজা দেখা শুরু করেছিলাম। ওখানে কিছু সময় কাটিয়ে রওনা হয়েছিলাম কাতিয়ানাংলা বাজারে অবস্থিত দুর্গা মণ্ডপে।
পূজার সময় গাড়ি পেতে সমস্যা হয় বা অনেক ভাড়া চায় তাই আমরা আগে থেকে গাড়ি ঠিক করে নিয়েছিলাম আমাদের সঙ্গে। যেহেতু আমরা বেশ কিছু জায়গায় ঘুরতে যাবো এবং আবারও বাড়ি ফিরে আসবো তাই একটা গাড়ি ভাড়া করে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
আপনাদের সাথে শেয়ার করাই হয় নি,
বাড়ি থেকে পূজা দেখতে বের হওয়ার সময় মা আমাকে পূজা দেখতে টাকা দিয়েছিলো।
অনেকে ভাবতে পারেন, এটা বলার মতো আবার কি হলো?
এটা খুব সাধারণ বিষয় হলেও আমার কাছে অনেক বেশি আবেগের আর ভালোবাসার!
ছোটবেলায় পূজা দেখতে যাওয়ার সময় মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেতাম। শুধুমাত্র পূজা দেখতে যাওয়ার সময় নয় বরং যেকোনো প্রয়োজনে মায়ের কাছ থেকেই তো টাকা নিতাম।
তবে বয়সের সাথে সাথে এখন তো আগের মতো মা বা বাবার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, সবার ক্ষেত্রেই ঘটে।
তবে এখন দুর্গাপূজার সময় মা আমাকে ঘুরতে যাওয়ার সময় টাকা দেয়। যদিও আমি নিতে চাই না, তবে মা জোর করেই দেয়।
সত্যি বলছি, এই ঘটনাটা আমাকে ছোটোবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আমাকে মনে করিয়ে দেয়, আমি এখনও অনেক ছোটো। বাবা মায়ের কাছে সন্তান সারাজীবনই ছোটো,পরিবর্তন হয় শরীরের।
যাই হোক, আমরা কাতিয়ানাংলা মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করে, ওখানে দাঁড়িয়ে আরতি দেখলাম। অন্য সবার ক্ষেত্রে কি হয় আমি জানি না,
তবে মণ্ডপে দিয়ে আমার দিকে তাকালে যেন আর চোখ ফেরাতে মন চায় না, মনে হয় এভাবে তাকিয়ে থাকি!
আমরা আবারও গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম। এবারের গন্তব্য ফুলতলা মঠ।
কাতিয়ানাংলা বাজার থেকে খুব বেশি দুরে নয়, মিনিট পাঁচেকের পথ।
পূজার প্যান্ডেলে আমার সব থেকে ভালো লাগে লাইটিং। চারিদিকে আলোয় ঝলমল করে দেখলেই যেন ভালো লাগে।
![]() |
---|
মন্দরের প্যান্ডেলের ভিতর প্রবেশ করে প্রথমেই মায়ের সামনে গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। আশেপাশে অনেক মানুষ ছিলো, তারাও ঠাকুর দেখতে গিয়েছে।
![]() |
---|
আশেপাশে সবাই ছবি উঠছিলো সেটা দেখে আমাদেরও ইচ্ছে হলো। তারপর সবার মতো করে আমরাও কয়েকটা ছবি উঠলাম। তাছাড়া এই ছবিগুলোই তো পরবর্তী সময়ে স্মৃতি হয়ে থাকে। বর্তমান যখন অতীত হয়ে যায় তখনই স্মৃতি হয়ে যায়।
ফুলতলা মঠে কিছু সময় অপেক্ষা করলাম এবং আশেপাশে ঘুরে ঘুরে দেখলাম। তবে এজটা বিষয় এবছর সত্যি অবাক হলাম, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পুজার মণ্ডপে লোকজন কম ছিলো।
তার পাশাপাশি অন্যান্য বছরের মতো মেলাও বসে নি সব জায়গায়। এর জন্য কারন হতে পারে বর্তমান দেশের পরিস্থিতি। যাই হোক, সেটা নিয়ে কথা বলতে চাই না। আজকের মতো এখানে বিদায় নিচ্ছি, পরবর্তী পর্বে আবার নতুন কিছু নিয়ে কথা হবে।