Better Life With Steem || The Diary game || 2nd June 2024
নমস্কার বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। সকাল ৮ টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে বাইরে এসে বসলাম। বিগত পোস্টে বলেছিলাম যে খুব মাথা ব্যথা করছিলো তবে রাতে ঘুমানোর পর সব ঠিক হয়ে গিয়েছিলো।
অনেকের লেখায় পড়লাম যে, ঝড়ের পর নাকি তাদের এখানে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে তবে আমাদের এখানে তেমন কিছু লক্ষ্য করছি না। প্রতিদিনের মতো আজও সকাল সকাল রোদের আঁচ অনুভব করতে পারলাম। তারপর ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
আজ খুলনা চলে যেতে হবে তাই নিজের ফুলের বাগানে গিয়ে তাদের সাথে সময় কাটালাম কিছুসময়। ফুল গাছগুলোর আশেপাশে পরিষ্কার করলাম সর্বোপরি তাদের পরিচর্যা করলাম। তারপর সকালের খাবার খেয়ে নিলাম। যদিও ভেবেছিলাম সকালে খুলনা যাবো তবে বাইরে যে বিশ্রী গরম আর রোদ তাই বিকালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
সারাদিন বাড়িতেই ছিলাম। আসলে অনেক দিন বাড়িতে থাকলে বাড়ির জন্য মন খারাপ করে বেশি। তাই সারাদিন মায়ের পাশে পাশেই কাটিয়েছিলাম।
দুপুরে স্নান করে খাওয়া শেষ করে নিলাম। বিকাল ৫ টার দিকে সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলাম। মাকে ও মন্দিরে প্রণাম করে বাড়িতে থেকে বেরিয়ে পড়লাম। যদিও তখন বাবা বাড়িতে ছিলো না, বাজারে গিয়েছিলো। আমার সাথে মা রাস্তা পর্যন্ত আসলো তারপর আমি মাকে একটা আদর করে গাড়িতে উঠলাম।
প্রেম কানন রাস্তা |
---|
অন্যদিন কাতিনাংলায় গাড়ি থেকে নামতে হয় তবে আজ বাড়ি থেকেই সরাসরি গল্লামারির গাড়ির পেয়েছিলাম। বটিয়াঘাটাতে একটা রাস্তা আছে যেটার নাম প্রেম কানন। নামটা একটু অদ্ভুত। যদিও রাস্তার নামের সাথে প্রেম কথাটা যুক্ত আছে তবে এখানে প্রেম করার তেমন কোনো সুযোগ নেই😀 কারন এই রাস্তায় ছেলে মেয়ে একসাথে গেলে পুলিশে ধরতো।
আমি যখন বটিয়াঘাটাতে থেকে কলেজে পড়তাম তখন এই নিয়মটা ছিলো, এখন আছে কিনা সঠিক জানা নেই। এই নিয়মটা করার কারন হলো, ঐ রাস্তাটা অনেক নির্জন ছিলো তাই পুলিশ টহল দিত সব সময়। আমরা প্রতিদিন বিকালে বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যেতাম এই রাস্তায়। গাড়ি থেকে ছবি তুলেছি বলে ভালো হয়নি।
বটিয়াঘাটার মৃতপ্রায় নদী |
---|
বটিয়াঘাটা ব্রিজ |
---|
এটা হচ্ছে বটিয়াঘাটা ব্রিজ। ব্রিজ তো দেখছেন তবে আপনারা নদী খুজে পাচ্ছেন না তাই না! খুজে না পাওয়ারই কথা কারন একসময়ের অনেক গভীরতাসম্পন্ন নদী এখন মানুষ অনায়াসে হেঁটে পার করছে।
আমরা যারা ছোটবেলা থেকে এই নদীটা দেখেছি তাদের কাছে এটা খুব অবাক করার মতো সেই সাথে দুঃখজনক একটা ঘটনা। সবাই বলে নদীর উপরে ব্রিজ হলে সেই নদীর স্রোতের গতিপথ পাল্টে যায় এবং একারনে নদী মরে যায়। এই কথাটার প্রমান আমি বটিয়াঘাটা নদীটা দেখেই পেয়েছি।
ছোটবেলায় বাবার সাথে খুলনা যাওয়ার সময় ফেরিতে করে এই ব্রিজ পার হতে হতো এবং নদীতে প্রচন্ড স্রোত ছিলো। মাত্র কয়েকবছর আগের কথাই বলি, সাল ২০১৮ তে আমি বটিয়াঘাটাতে থাকা শুরু করি তখন সবাই মিলে ব্রিজের উপর ঘুরতে আসতাম তখনও নদীতে বড় বড় জাহাজ চলতো।
প্রতি বছর এখানে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। সবাই মিলে দেখতে আসতাম এবং খুব মজা হতো কিন্তু এখন সেসব অতীত। ব্রিজ হওয়ার পর কয়েকবছরের মধ্যেই নদীর এই দশা হয়েছে।
এটা হচ্ছে নতুন নির্মিত খুলনা - মোংলা রেলপথ। বেনাপল থেকে ট্রেন রওনা হয়ে খুলনায় ফুলতলা হয়ে সরাসরি মোংলা পৌছাবে ট্রেনটি। যদিও এটা এখনও চালু হয়নি, তবে খুব শিঘ্রই চালু হয়ে যাবে।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসায় চলে আসলাম এবং বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দিলাম সেটা। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকবেন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নিজের ফুল বাগানে গিয়ে গাছে পরিচর্যা করেছেন। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন আপনাদের ওদিকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর থেকে ভালোই রোদ হচ্ছে। আর আমাদের উত্তরবঙ্গে একের পর এক বৃষ্টি লেগেই আছে। আপনি খুলনা যাবেন তবে সকালবেলা রোদ ছিল এজন্য বিকেলবেলা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ সারাদিন বেশ জার্নির মাঝেই দিন পার করেছেন।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
খুলনা চলে যাবো এজন্য ফুলের বাগানে কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম সেগুলোর যত্ন নেওয়ার জন্য। ঝড়ের পর থেকে আপনাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে আর আমাদের এখানে প্রখর রোদ, কি আশ্চর্য দেখুন তো। আমাদের একটু বৃষ্টি লাগবে আর আপনাদের রোদ, কিন্তু সেটা হচ্ছে না। সকালে রোদ ছিলো ভীষণ এজন্য বিকালে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।
ফুল কম বেশি সবাই ভালোবাসে। কিন্তু আপনি নিজের বাগানে যেভাবে ফুল গাছের পরিচর্যা করেছেন। তাতেই বোঝা যাচ্ছে আপনি কতটা গাছ প্রেমী। আসলে ভাই ঘূর্ণিঝড়ের পথ থেকে আমাদের এদিকে প্রতি রাতে বৃষ্টি লেগেই আছে। আর আপনাদের ঐদিকে অনেক বেশি রোদ। আসলেই সৃষ্টিকর্তা চাইলে কি না করতে পারে।
আমার কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
রাতে ঘুমানোর পর আপনার মাথা ব্যথা সেরে গিয়েছিল। আমারও এমন হয়, প্রচুর মাথা ব্যথা হলে যত ওষুধই খাই না কেন কাজ হয় না। আবার ঘুমালেই সব ঠিক। বাড়ি থেকে যারা দূরে থাকে তারা বাড়ির প্রতি টান টা বুঝতে পারে। আপনার মা কে বিদায় দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তখন হয়তো মনটা আরও খারাপ লাগছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক নদীই মরে যাচ্ছে। বর্ষার সময় কি আবার কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠবে? ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার যতই মাথা ব্যথ করুক না কেন আমি ওষুধ খাই না কারন একবার ঔষধ খাওয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে বিপদ এজন্য। তবে ঘুমালে ঠিক হয়ে গিয়েছিলো। মাকে বিদায় জানিয়ে আসতে সবারই খারাপ লাগে। বটিয়াঘাটা নদীটা এখন হেঁটে পার হওয়া যায় এমন অবস্থা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত জানানোর জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার আজকের দিনলিপি পড়ে আমার ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পরছে।
আমার স্বামীর চাকরির সূত্রে আমাদের প্রায় পাঁচ বছর থাকা হয়েছিল খুলনা শহরে। সত্যি খুলনা শহরটি অনেক সুন্দর। বটিয়াঘাটা অনেক বার আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। রাজবাড়ী, নিউজপ্রিন্ট মিল , হাদীস পার্ক।
এখানে অনেক মন্দির আছে এবং পুজোর সময় মন্দিরগুলো অনেক সুন্দর সাজানো হয়। বাড়িতে অনেকদিন থাকলে পরে মায়া হয়ে যায় আর বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যেতে ইচ্ছে হয় না। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনার কমেন্ট পড়ে বুঝলাম যে আপনি খুলনাতে থাকতেন। হ্যা হাদিস পার্ক আমার বাসা থেকে একটু দুরেই। আর এখানে অনেক মন্দির রয়েছে, বিশেষ করে শীতলাবাড়ি মন্দির তো সবার কাছেই পরিচিত,। আমার বাসার পাশেই অবস্থিত। সময় পেলে ঘুরতে আসবেন অবশ্যই। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রদানের জন্য। ভালো থাকবেন।
ভাই প্রেম কানন স্থানটির নাম জেনে অনেক ভালো লাগলো। কেননা আমাদের এদিকেও এমন একটি জায়গার নাম রয়েছে। তবে এটির নাম ভালোবাসার মোড়। আপনার দেখানো ছবির মতই আমাদের এখানকার যায়গাটিও নির্জন। রাস্তার দুধারে শুধু গাছ। স্থানীয় লোকজন ছাড়া কেউ তেমন একটা সেই রাস্তায় যায় না। কথিত আছে, রাতে নাকি সেই রাস্তা দিয়ে গেলে অদ্ভুত সব পরিস্থিতিতে পরতে হয়। যাইহোক আপনাদের স্থানটির মতো আমাদের এই রাস্তাতেও সবসময় পুলিশের টহল বিরাজমান।
অনেকদিন বাড়িতে থাকার পর আজ খুলনায় গেলেন। খুলনায় আপনার মাকে অনেক মিস করবেন সেকথা আমি জানি। কিন্তু কিছু করার নেই। পড়াশোনা শেষ করে যেদিন ভালো কোন চাকরি করবেন দেখবেন সেদিন মা কতটা খুশি হয়। ভালো কিছু পাওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে সাময়িক সময়ের জন্য কিছু ত্যাগ করতেও হয়।
ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইলো।
প্রেম কানন রাস্তাটাও আপনার বলা রাস্তার মতোই কারন এই রাস্তার দুধারে গাছপালা রয়েছে আর এতে সৌন্দর্যটা সত্যিই উপভোগ্য হয়ে থাকে। আপনাদের এখানেও এমন রাস্তা আছে জেনে ভালো লাগলো তাহলে আপনারাও এই রাস্তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এই রাস্তাগুলো নির্জন হওয়ার কারনে নিরাপত্তার কারনে পুলিশ টহল দিতে থাকে সব সময়। লেখাপড়া করতে গেলে একটুতো কষ্ট করতেই হবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বটিয়াঘাটা ব্রিজ দেখে তো আমার মনে পড়ে গেল আমাদের বেত্রাবতি নদীর উপর দিয়ে বয়ে চলা ব্রিজের কথা সন্ধ্যা হলেই সেখানে গিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম কত সুন্দর কত রাত বসে বসে ব্রিজের উপরে কাটিয়ে দিয়েছি তার কোন শেষ নাই।
খুব সুন্দর স্মৃতি মনে পড়লো আপনার এই ছবিগুলো দেখে ছবিগুলোর ক্যাপশন খুব সুন্দর ভাবেই করেছেন আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার পরবর্তী দিনালিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।
বটিয়াঘাটা ব্রিজটা আমাদের বটিয়াঘাটাবাসির জন্য অনেস স্মৃতি বিজড়িত। আমিও আমাদের বন্ধুদের সাথে বটিয়াঘাটা ব্রিজে এসে অনেক আড্ডা দিয়েছি, খুব মজা করেছি সকলে মিলে। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তবে দুঃখের বিষয় এই ব্রিজটা হওয়ার পর থেকে বটিয়াঘাটা নদীটা মরে যাচ্ছে দিনদিন। একসময় যে নদীতে তুফান উঠত এবং খুব ভয়ানক ছিলো এখন সেই নদীটা হেঁটে পার হওয়া সম্ভব এটা দেখলে খারাপ লাগে।৷ ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ।