Better Life With Steem || The Diary game || 20 August 2025
Hello Everyone,,,
আশা করি, সকলে অনেক ভালো আছেন।
বিগত অনেক পোস্টে আপনাদের জানিয়েছিলাম আমাদের বাড়িতে মুরগী ফার্ম রয়েছে এবং সেখানে মুরগী পালন করা হয়।
তবে অনেক দিন যাবত ফার্মে কোনো মুরগী ছিলো। একবার মুরগী তুললে প্রায় ২ বছরের মতো ডিম দেয়। তারপর মুরগিগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।
আমাদের মুরগি গুলো বিক্রি করে দিয়েছেন কয়েক মাস আগে। তারপর আর কোনো মুরগি তোলা হয় নি। এত দিন মুরগির বাচ্চা না তোলার কারন হলো - আমাদের আশেপাশে যাদের ফার্ম রয়েছে প্রায় অধিকাংশের মুরগি নানা কারনে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলো ।
যেহেতু এটা ভাইরাসের কারনে হয়ে থাকে সেজন্য বাবা মুরগির বাচ্চা তোলে নি।
তবে আজ সকালে বাবা খুলনাতে গিয়েছে মুরগির বাচ্চা আনতে। কয়েকদিন আগে মুরগির বাচ্চার জন্য অর্ডার করতে হয় তারপর ঢাকা থেকে অনেক সকালে খুলনাতে আসে এবং খুব সকালে গিয়ে সেখান থেকে আনতে হয়।
মুরগির ছোটো বাচ্চা আনলে ওদের যেকোনো জায়গায় রাখা যায় না৷ ওদের জনয় আলাদা করে জায়গায় প্রস্তুত করতে হয়। এই সময়টা ওদের শরীরে তাপ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
সেজন্য ছোটো জায়গায় চারপাশ ঘিরে নিচে তুশ ( ধানের খোসা) বিছিয়ে দিয়ে তার উপর পেপার দিতে হয়।
বাবা যেহেতু খুলনা গিয়েছে তাই আমিও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ওদের রাখার জায়গাটা প্রস্তুত করে ফেললাম। সেই সাথে ওদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য কয়েকটা বাল্ব সেট করলাম। তাছাড়া আজ সকাল থেকে ভীষণ বৃষ্টি হচ্ছে তাই গাড়িতে ওদের আসতে আসতে ঠান্ডা লেগে যাবে।
আমার কাজ শেষ করার কিছু সময়ের মধ্যে বাবা বাড়িতে চলে আসলো মুরগির বাচ্চা ও ওদের প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ নিয়ে।
তারপর কাজের চাপ আরও বেড়ে গেলো। তাড়াতাড়ি বাক্স থেকে বাচ্চাগুলোকে ঔষধ খাইয়ে আগে থেকে তৈরি করে রাখা খাঁচার মধ্যে ছেড়ে দিলাম।
ওদের মধ্যে একটা মুরগির বাচ্চা একটু দুর্বল ছিলো। ঠিক মতো উঠে দাঁড়াতে পারছিলো না।
তাই ওকে ওতগুলো বাচ্চার মধ্যে না রেখে আলাদা করে রেখেছিলাম। কথাতেই তো রয়েছে, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার প্রকৃতির নিয়ম।
অন্যদের চাপে পর সমস্যা হতে পারে তাই ওকে আলাদা করে বাড়তি যত্ন করলাম।
প্রতিটা প্রাণীর বাচ্চার মুখ কত না মায়াবী, যেন কিছুই বোঝে না, পৃথিবীর নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে ওর কোনো ধারনা থাকে না।
বাচ্চাগুলোকে খেতে দিয়ে সব কিছু ঠিক ঠাক করে আমরাও বাড়িতে চলে আসলাম সকালের খাবার খাওয়ার জন্য।
আজ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।
মনে মনে ভয় পাচ্ছিলাম যে কারেন্ট চলে যায় কিনা কারন বৃষ্টি হলে গ্রামের দিকে কারেন্ট চলে যায়। একটু পরই ঠিক তাই হলো৷
পরে অবশ্যই জানতে পারলাম যে, বৈদ্যুতিক তারের উপর গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। বিদুৎ এর লোকজনের কাছে ফোন করেছেন কিন্তু তারা অন্য জায়গায় কাজ করছে তাই আসতে দেরি হবে।
বাচ্চাদের বাধ্যতামূলক তাপ দিতে হবে তাই পাশের বাড়ি থেকে হারিকেন এনে রেখেছিলাম ৩ টা।
কত দিন যে এই হারিকেনের ব্যবহার করিনা তার ঠিক নেই, অথচ ছোটোবেলায় পড়াশোনা করেছি হারিকেনের আলোতে৷ অনেক দিন বাদে হারিকেন দেখে সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লো।
যাই হোক, এভাবেই আজ ব্যস্ত সময় পার করলাম।
Your post has been supported by SC-05. We support quality posts, quality comments anywhere, and any tags
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দিদি, আমাকে সমর্থন করার জন্য৷ ভালো থাকবেন। 🙏