অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বাচ্চাদের দুরে রাখা উচিত!

in Incredible India10 days ago (edited)

20250711_192730_0000.jpg

Hello Everyone,,,

আশা করি, আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আজ আপনাদের মাঝে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি, আজকের পোস্টটা আমাদের সকলের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, চলুন তাহলে শুরু করা যাক -

IMG_20250711_172414.jpg

IMG_20250711_172407.jpg

এই খাবারটা দেখলে সকলে একবাক্যে শিকার করবেন এগুলো বাচ্চাদের খাবার। ছোটো বাচ্চারা এই ধরনের খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। ওরা হয়ত স্বাদের কথা ভেবে এগুলো খেতে ভালোবাসে।

দোকানে এরকম অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায় যেগুলো রংবেরঙের দেখতে আর একারনেই হয়ত বাচ্চারা পছন্দ করে। ওদের কাছে গুণাগুণের থেকেও সৌন্দর্য্য বেশি প্রাধান্য পায়। তবে বাজারের এসব খাবারগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

IMG_20250711_172755.jpg

IMG_20250711_172426.jpg

বাচ্চারা বায়না করলে হয়ত ওদের কান্না বন্দ করার জন্য আমরা এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে দেই। তবে সত্যি বলতে, ওদের ভালো মন্দ বিচার করা ক্ষমতা নেই তাই ওদের এসব আবদারকে মোটেও প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।

আজ দোকান থেকে এই খাবারটা কিনে এনেছিলাম। এর নাম কি সেটা আমি সত্যিই জানি না কারন এগুলো আমি কখনও খাইনি। এটার দাম ১০ টাকা নিয়েছিলো।

IMG_20250711_172944.jpg

IMG_20250711_172933.jpg

এই খাবারগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন চিন্হ তো রয়েছেই আর সেই সাথে ব্যবহৃত হয় শরীরের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান (যেমন - ফুড কালার) যেগুলো হয়ত একজন মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরী করার অপরাধে অনেকে আটক করতে নিউজ চ্যানেলে প্রায়শই দেখা যায়। এই প্রতিষ্ঠানগুলো জনস্বার্থের জন্য বন্দ করে দেওয়া হয়।

গরমের সময় এই ধরনের জুস বাচ্চাদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। জুসটি আমার হাতে ঢেলে দেওয়ার পর হাতের কালার পাল্টে গিয়েছে যেটা হয়ত আপনারা ছবি দেখে বুঝতে পারছেন।

IMG_20250711_173426.jpg

তবে সরাসরি হাতের রং যতটা বোঝা যাচ্ছিলো ছবিতে ততটাও বোঝা যাচ্ছিলো না। এই খাবারগুলো বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের মাধ্যমে এর ঘ্রাণ বিভিন্ন ফলের রসের মতো করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে খাওয়ার অনুপযোগী রং দেওয়া হয়েছে।

চলুন এবার স্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে আসা যাক-

IMG_20250711_173736.jpg
স্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার সময়

আমি কিছুক্ষণ জুসের মধ্যে হাত ভিজিয়ে রাখার পর হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললাম। এবার দেখা যাক হাতে অবস্থা কেমন হয়!

IMG_20250711_173556.jpg
দুই হাতে রং এর পার্থক্য

আমি ডান হাতে জুস লাগিয়েছিলাম৷ হাত ধুয়ে এসে ডান ও বাম হাত এক জায়গায় করলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, ডান হাতে হয়ত কিছু লাগানো হয়েছে। আপনারাও দুই হাতের রং এর পার্থক্য বুঝতে পারছেন।

IMG_20250711_173423.jpg
হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করে হাত ধোয়ার পরও হাতের নকে রং লেগে আছে

আমি ভালো ভাবে হাত ধোঁয়ার পরও হাতের নকের ভিতর জুসের রং লেগে আছে। আমি সত্যি অবাক হলাম, যে এত অল্প সময়ের মধ্যে হাতে এই ভাবে রং লেগে গেছে যে হাত ধোঁয়ার পরও সম্পূর্ণ উঠে যায় নি। তাহলে এসব খাবার বাচ্চারা খেলে তাদের পেটে সমস্যা হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

এই খাবারগুলো অনেক দিন ভালো রাখার জন্য এবং স্বাদ ঠিক রাখার জন্য অনেক ধরনের ক্যামিকেল ব্যবহার করে।বাজারে এসকল কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই অনিবন্ধিত। এরা রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়েই এসব তৈরি করে। তবে এই অপরাধের শাস্তি জরিমানা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে।

ডাক্তারদের মতে যেসকল বাচ্চারা বাইরের এসব খাবার বেশি পরিমানে খেয়ে থাকে তাদের শরীরে নানা ধরনের রোগে বাসা বাঁধে ।

অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারনে সব থেকে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে কিডনির উপর। বিশেষ করে শিশুদের উপর সহজেই প্রভাব ফেলতে পারে আর এগুলো শিশুদের উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়।

আমরা হয়ত আমাদের অবস্থান থেকে এগুলো তৈরি করা বন্দ করতে পারবো না। তবে আমরা সচেতন হতে পারি। নিজেদের বাচ্চাদের এসব খাবার খাওয়ানোর থেকে বিরত রাখতে পারি।

আমরাই পারি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে!

এই পোস্টটি কোনো প্রতিষ্ঠানের অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে করা হয়, জন সচেতনতাই এর মূল উদ্দেশ্য
Sort:  
Loading...