কেনাকাটা

in Incredible India7 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করছি সকলেই খুব ভালো আছেন ।আমিও ভালো আছি। আজকে নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই খুব ভালো লাগবে।

IMG20241106204658.jpg

আজকে আমি আপনাদের সাথে কেনাকাটার গল্প শেয়ার করবো। নিজের জন্য কোনো জিনিস কিনতে আমি কখনোই যায় না। পুজো মানে কেনাকাটা। তাই জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে আমরা দুজনেই বেরিয়ে পড়েছিলাম জামাকাপড় কেনার জন্য। আমি একদমই যেতে চাইছিলাম না ।বলতে পারেন আমাকে না বলে জোর করে নিয়ে গিয়েছিল। প্রত্যেক বছরে আমার মামা শ্বশুরের বাড়ি থেকে জামা কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়। আমি কাজের সূত্রে বাইরে থাকি তাই কোন বছরই নিজে গিয়ে নিজের জন্য কোন কিছুই কেনা হয়ে ওঠে না। এ বছর যেহেতু বাড়িতেই ছিলাম তাই আমাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জামা কেনার জন্য। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় কোন কিছুই ঠিক ছিল না যে আমি কি নিয়ে নেব।

IMG20241106205757.jpg

জগদ্ধাত্রী পূজার সময় তাই রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম। কোন টোটোওয়ালা যেতে চাইছিল না। কারণ সব জায়গাতে নো এন্ট্রি শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই কোনরকম টোটো করে অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে নেমে পড়তে হয়েছিল। আমার সমস্ত জিনিসপত্র মৌসুমী কিনে নিয়ে আসে। তাই জিনিসপত্র কেনার চিন্তা আমাকে একেবারেই করতে হয় না। এই বছরে দোকানের সামনে গিয়ে ইচ্ছে হল একটা পাঞ্জাবি নেওয়ার। অনেকদিন পাঞ্জাবি কেনা হয়নি। হাই স্ট্রিট যাওয়া মাত্রই একটা বয়স্ক দাদুর দোকান চোখে পড়ল। দোকানটা দাদু টা একাই সামলাচ্ছেন। তাই ইচ্ছে হলো দাদুর দোকানে গিয়ে আমি যদি একটা পাঞ্জাবি কিনি তাহলে হয়তো দাদুর একটু বিক্রি হবে। তাই প্রথমেই দুজনে ঢুকে পড়লাম দাদুর দোকানে।

IMG20241106214355.jpg

দাদু তো বিভিন্ন রকমের পাঞ্জাবি দেখাতে লাগলো। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার যেটা পছন্দ হচ্ছিল সেটা কোন সাইজ দিতে পারছিল না। আমি যেহেতু একটু হেলদি তাই আমার সব সময় বড় সাইজটা লাগে। দাদু যথারীতি চেষ্টা করেছিল আমাদের জন্য ভালো পাঞ্জাবি দেখানোর। কিন্তু সাইজে হচ্ছিল না বলে আমাদের ওই দোকান থেকে চলে আসতে হয়েছিল। আসতে খুব খারাপই লাগছিল। যাইহোক পাশের দোকান থেকে অনেক দেখার পর একটা পাঞ্জাবি পছন্দ হল। সেখান থেকে কেনাকাটা করে প্রায় অনেকটা রাত হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু জগদ্ধাত্রী পূজা শুরু হয়ে গিয়েছিল তাই আমরা দুজনে মিলে ঘুরে ঘুরে বেশ কয়েকটা ঠাকুর দেখে নিয়েছিলাম। সেদিন শুধু আমার জন্যই কেনাকাটা হয়েছিল। রাত প্রায় সাড়ে নটা কাছাকাছি বেজে গিয়েছিল তাই সমস্ত দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

মৌ কোনো কিছুই কিনতে পারিনি। আমি জিনিস কেনার ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে। আমার দেরি হওয়ার কারণে ও একটু রেগে গিয়েছিল। কারণ ও যে দোকান থেকে কেনাকাটা করবে সেই দোকান প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটা ঠাকুর দেখতে দেখতে আসার সময় মনটা একদম ভালো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শখ করে যে পাঞ্জাবিটা কিনেছিলাম সেটা পুজোতে পড়ে উঠতেই পারিনি।


আজ এইখানেই শেষ করছি ।পরবর্তী আবার কোন গল্প নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

Sort:  
Loading...