আকাশ আমার হৃদয়ের খুব কাছে!The sky is very close to my heart!

আকাশ আমার হৃদয়ের খুব কাছে;
হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলো
সেখানেই তো আছে?
মন খারাপের অন্ধকার
বৃষ্টিতে যায় ঝরে;
আকাশের গায়ে নানা রঙের,
স্মৃতি নজরে পড়ে।

যাই হারিয়ে সেই স্মৃতির পাতায়;
লিখে রাখা জমাট বাঁধা কষ্ট
নিজের মনের খাতায়!

না জানি আরো কত ভার
তোমায় বইতে হয়;
আমারই মতো তোমার সাথে
যারা মনের কথা কয়!

তাই বোধহয় তোমার
বুকে নানা রঙের দেখা;
কারোর খুশির মুহুর্ত
কারো বা দুঃখের ছ্যাকা!

একলা দাড়িয়ে মাথা নাড়া
ওই সুপুরি গাছের মত;
আমিও তো তোমার সাথে ভাগ করেছি
নিজের মনের বহু ক্ষত!

দুর্নিবার প্রয়াস চালিয়ে গিয়েছি একা;
ব্যস্ত সমাজে কারো পাই নি দেখা।
জানিনা হয়তো বিদায় পর্ব আসন্ন;
দায় দেবোনা কাউকেই এরজন্য!

মানুষ তো স্বার্থপরের আদর্শ উদাহরণ;
স্বার্থে মেলে দেখা, নইলে?
মেলে না হদিশ,
লক্ষ করেও স্মরণ!

পূর্বেও উল্লেখিত যেকোনো কিছুর মূল্যায়ন আমরা সবচাইতে ভালো করতে পারি যখন সেটি আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায়।

হতে পারে সেটা সময়, আমার হতে পারে সেটা সম্পর্ক।
উভয়ক্ষেত্রেই, দুটির কোনটি ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়, কারণ যারা জীবনের অপরপ্রান্তে চলে যান, তারা কখনোই ফিরে আসেন না, অতিবাহিত সময়ের মতই।

সময়ের সাথে বুঝতে শিখেছি, কোন সম্পর্ক আসলেই আমাদের জীবনে মূল্য রাখে, আর কোন সম্পর্কের আড়ালে থাকে স্বার্থসিদ্ধি!

আপনারা অনেকেই এই গরমে রাস্তায় বেরোলে আখের রস খেয়ে থাকবেন হয়তো?
দেখবেন মেশিন থেকে যতক্ষণ একটি আখ কে নিংড়ে রস পাওয়া যায় ততক্ষণ চালক সেই আখকে দুমড়ে মুছড়ে রস নির্গত করতেই থাকেন!

যে মুহূর্তে বোঝেন আর সেই আখ থেকে আর রস পাওয়ার আশা নেই, ছিঁড়বে টিকে রেখে দেয়, কারণ সেটাকেও অন্যত্র ব্যবহার করবেন বলে।

অধিকতর মানুষের স্বভাব এখন এরকমটাই।
যতক্ষণ এবং যতদূর সম্ভব ব্যবহার করে নেওয়া তারপর ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া!

এটা এই বুদ্ধিজীবীদের ক্ষেত্রেই অধিক নজরে পড়ে, আর সবচাইতে মজার বিষয়, যারা ব্যবহৃত হয় তারা চিরকাল ঐ সম্প্রদায় থেকে বেরিয়ে আসতেই পারে না।

• আচ্ছা, এখানেও কিন্তু দুটি ভাগে বিভক্ত:-

যদি দেখে নিজের স্বার্থ আছে তাহলে ব্যবহৃত হবেন। কারণ সরাসরি মুখ ফুটে বলতে না পারলেও, অন্তরালে নিজের লাভের হিসেব নিকেষ করাই থাকে।

উল্টো দিকের মানুষের প্রয়োজনে প্রায়শই এরা বেপাত্তা! তবে বিপাকে পড়লে নির্লজ্জের মত সামনে এসে দাঁড়াতে বিবেকে বাধে না এক ফোঁটাও!

এখন যারা লেখাটি পড়বেন তারাই নির্ধারণ করবেন কোন শ্রেণীকে আপনি সমর্থন দেবেন, কারণ আমার কাছে কারোর আর গ্রহণযোগ্যতা নেই।

আর্থিক দিক থেকে ধনীর তালিকাভুক্ত আমি নই, না মানে ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে শুরু করে সম্পর্কের ব্যালেন্স সব দিক থেকেই আমার ভাড়ার শূন্য!

তবে, এই গোটা বিশ্বে মুষ্টিমেয় সেই মানুষগুলোর তালিকাভুক্ত আমি, যে ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু ব্যবহার করেনি কাউকে আত্ম স্বার্থের কারণে, আর তার সাক্ষী সৃষ্টিকর্তা সহ ওই সুবিশাল গগন যার অন্তরালে সৃষ্টিকর্তা সহ হারিয়ে যাওয়া আপনজনেরা হয়তো দেখতে পান আমার কর্মের তথা হৃদয়ের কথা।

সোজা সাপটা কথা বলা মানুষগুলো কারোর প্রিয় হতে পারে না, কারণ মেকি শব্দটি তাদের শব্দকোষ এ নেই!

তাই অপছন্দের মানুষদের সামনে তারা পছন্দের কথাগুলো ঠিক গুছিয়ে বলতে পারে না, আর এখন তো সবটাই মেকি, তাই আমাদের মত মানুষ আজ অচল।

যন্ত্রের সাহায্যে যেখানে প্রায় সব কাজ সম্পাদন করা হয়, সেখানে অনুভূতির মূল্যায়ন আশা করা বাতুলতা!

মিথ্যের জয় জয়কার, ক্ষমতার চাটুকারতার বাজার এখন অধিক বিক্রি হয় বাজারে।
তবে, প্রশান্তির জীবন তথা মৃত্যু কোনোটাই এদের জন্য লেখা নেই!
কথাটি দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, কারণ নিজের বাবার মৃত্যু থেকে শিখেছি সৎ থাকলে, সমাজের মঙ্গল নিঃস্বার্থ ভাবে চুপিসারে করে গেলে একজন অন্তরালে তার হিসেব রাখেন।
আর সেই মানুষগুলোকে ভুগে পৃথিবী ছাড়তে হয়না।

জীবন নয়, মৃত্যু একমাত্র সত্যি। তাই সেটা শান্তির হোক এটাই আমার কামনা, আর তাই মেকির দলে আজও নিজেকে সামিল করিনি।
আমার বাবা বলতেন,

অর্থাৎ মাথা উঁচু করে শেষ সময় পৃথিবী ছাড়বো, বিছানায় শুয়ে ভুগে পৃথিবী ছাড়বো না।
তার সেই আত্ম বিশ্বাস স্বার্থক করেছেন সৃষ্টিকর্তা, কারণ তিনিও মেকি দলভুক্ত ছিলেন না।
আমিও যে তারই কন্যা!