আজকে অনেকদিন বাদে একটা রান্নার পদ্ধতি নিয়ে হাজির হয়েছি। নাম চেনা তবে তৈরির পদ্ধতি পাঞ্জাবি নিয়মে করা নয়, বলা যেতে পারে আমার গবেষণায় তৈরি এই পরোটা।
এই পরোটা অনেক বেশি সমাদৃত ভারতের পাঞ্জাবে তথা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশেও।
অনেকেই তাই নামের সাথে পরিচিত।
তবে, প্রকৃত পদ্ধতিতে তৈরি না করে নিজের মত করে তৈরি করে দেখলাম, বেশ সুস্বাদু তাই আপনাদের মাঝে নিজের আবিষ্কার উপস্থাপন করতে হাজির হয়ে গেলাম।
খাওয়া শেষ কাজেই এখন নজর দিলেও বিশেষ ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। অবশ্য কতজন এই পরোটা তৈরি করেছেন, খেয়েছেন মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
চলুন তাহলে আমার রান্নাঘরে প্রবেশ করা যাক!
সামগ্রী/ উপকরণ/ Ingredients:- |
- পুর তৈরির জন্য উপকরণ (For stuffing)
Method to prepare stuff (পুর তৈরির পদ্ধতি):-
- Step 1(প্রথম পর্যায়ে):-সেদ্ধ করা আলু খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে। মাখার সময় আমি কিছুই ব্যবহার করিনি।
এরপর একটি কড়াই বসিয়ে তারমধ্যে সর্ষের তেল দিয়ে ধোঁয়া না ওঠা পর্যন্ত তেল গরম করতে হবে।
- Step 2( দ্বিতীয় ধাপে):- তেল গরম হবার পরে, আঁচ কমিয়ে কুচানো পেঁয়াজ দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে, কাঁচা গন্ধ দূর হয়ে গেলে নুন দিয়ে দিতে হবে, এতে করে নুনের জলে পেঁয়াজ পুড়ে যাবে না, পাশাপশি নরম থাকবে।
- Step 3( তৃতীয় ধাপে):- এবার আদা রসুন বাটা দিয়ে কম আঁচে রান্না করতে হবে, কাঁচা গন্ধ উবে গেলে, আমচুর পাউডার, সেদ্ধ আলু, ম্যাগী মশলা দিয়ে সমস্ত উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
Step 4(চতুর্থ ধাপে):- সামান্য পরিমাণ মিশ্রণ নিয়ে দেখে নিতে হবে নুনের পরিমাণ সঠিক আছে কিনা! যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে এই পর্যায়ে নুন দিতে হবে। তবে, আমার প্রয়োজন পড়েনি কারণ কেন আদা রসুন বাটা এবং ম্যাগীর মশলায় নুন থাকে।
অবশেষে কাসুরি মেথি যোগ করে খানিক মিশিয়ে কড়াই ঢাকনা দিয়ে চাপা দিয়ে আঁচ বন্ধ করে রেখে দিতে হবে।
এখানে জানিয়ে রাখি, আমি মাল্টিগ্রেইন আটা ব্যবহার করেছি, আপনারা চাইলে সাধারণ আটা অথবা আটা এবং ময়দা সম পরিমাণে ব্যবহার করে মণ্ড তৈরি করতে পারেন।
তবে আমি কিন্তু এই আটা মাখতে কেবলমাত্র সামান্য পরিমাণ নুন ব্যবহার করেছি।
কোনোরকম তেল অথবা চিনি ব্যবহার করিনি।
তবে, আটার মণ্ড একটু নরম করে মাখতে হবে।
এরপর ছবির মত গোলাকার রুটির মতো বেলে নিয়েছিলাম লেচি কেটে রাখা আটা দিয়ে। সাধারণ রুটির চাইতে একটু বড় আকারের রুটি তৈরি করতে হবে, সেই হিসেবে লেচি থেকে নিতে হবে।
এবার শুকনো আটা দিয়ে রুটি তৈরি করে তার এক পাশ ছুরির সাহায্যে কেটে নিতে হবে।
ঠিক ছবির মত!
এরপর, রুটির উপরের বাদিকে তৈরি করা আলুর পুর ঠান্ডা হয়ে গেলে পরিমাণ মতো রাখতে হবে।
এবার, ঠিক সিঙ্গারার আকারে গড়ে নিতে হবে ভাজে ভাজে রুটিকে;
এরপর পুনরায় শুকনো আটা দিয়ে ত্রিকোণ পরোটার আকারে গড়ে নিয়ে দুপাশ ভালভাবে সেঁকে নিতে হবে।
যখন দুপাশ সোনালী রঙ ধরা শুরু হয়ে যাবে, পরিমাণ মোট বাটার দিয়ে, ভেজে নিতে হবে দুপাশ।
এরপর, আপনার পছন্দের খাবারের সাথে অথবা শুধু শুধু খেতে পারবেন এই পরোটা।
এটি তৈরির ভিন্ন পদ্ধতি আছে, তবে একদিন এইভাবে তৈরি করে দেখবেন, ভীষণ সুস্বাদু লাগে খেতে।
আলু পরোটা আমাকে প্রায়ই সন্ধ্যার দিকে বানাতে হয় আমার দুই ছেলের জন্য। োর খুব পছন্দ করে এই আলু পরোটা। অবশ্য শুধু ওদের নাম বললে ভুল হবে ,আমি নিজেও পছন্দ করি। তবে আমি কখনো মাগি মশলা ও হলুদ ব্যবহার করি নাই। সাথে শুকনো মরিচ ভেজেও ব্যবহার করি। এতে শুকনো মরিচের ভাজা একটা সুগন্দ্ব যোগ হয়।
তবে আপনার মতো করে একবার বানিয়ে দেখবো কেমন লাগে খেতে। চমৎকার এই রেসিপিটা আমার থেকে কিছুটা ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন ও এমন করে আবারো নতুন নতুন সব রেসিপি দিবেন।
0.00 SBD,
2.79 STEEM,
2.79 SP
Thank you so much for your encouraging support, @ngoenyi ma'am.
আমি লেখায় উল্লেখ করেছি আলুর পরোটা তৈরির গতানুগতিক পথে নয় নিজের গবেষণায় তৈরি করেছি।
আর ঝালের বিষয়টি নিজের নিজে পছন্দের যেহেতু ম্যাগির মশলায় ঝাল থাকে, আর আমি খুব বেশি শুকনো লঙ্কা খাই না, পরিবর্তে আমি কাঁচা লঙ্কা বেশি ব্যবহার করি।
প্রতিটা মানুষেরই খাবারের অভ্ভাস ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এর পেছনে তার পারিবারিক ও পরিবেশের ভূমিকা অনেক।
তাই আপনার আলু পরোটা আর আমার পরাটা বানানোর পদ্ধতিও খানিকটা আলাদা। তবে ইদানিং এধরণের রেসিপি শেয়ার করার একটা ভালো দিক হলো মাধ্যমে একজনের রন্ধনপ্রণালী ছড়িয়ে পড়ছে আরেকজনের কাছে।
আর একারণেই আপনি কিভাবে বানান সেটা জানা সম্ভব হলো।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনি একটু অন্যরকম ভাবেই নতুন করে আবিষ্কার করে আলু পরোটা তৈরি করেছেন।আলু পরোটা আমি অনেকবার বানিয়েছি, বিশেষ করে বিয়ের আগে থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত। কারণ আমার বড় ছেলে আলু পরোটা অনেক বেশি পছন্দ করে।
তবে আপনার তৈরি করা পদ্ধতি একেবারেই অন্যরকম, আমি বিশেষ করে শুকনো মরিচ দিয়ে তৈরি করি, যার কারণে খেতে অন্যরকম লাগে। ইনশাল্লাহ একদিন আপনার তৈরি করা পদ্ধতি অনুসরণ করে, আলু পরোটা তৈরি করার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার আলু পরোটা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
0.00 SBD,
2.03 STEEM,
2.03 SP
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য। আপনাদের সাপোর্ট আমাদেরকে নতুন করে কাজ করার উৎসাহ দেয় ভাল থাকবেন।
আমি লেখায় উল্লেখ করেছি যে পদ্ধতিতে আলুর পরোটা তৈরি করা হয় সেই পদ্ধতিতে নয়, আমি আলুর পরোটা তৈরি করেছি ভিন্ন পদ্ধতিতে।
আসল আলুর পরোটার মধ্য আলুর পুর আমি যেভাবে ভরেছি, অথবা যে আকারে তৈরি করেছি আসলে সেভাবে তৈরি করা হয়না।
এটা আমার গবেষণায় তৈরি বলতে পারেন।
আপনার রেসিপি সত্যিই চমৎকার! আলু পরোটা খুব পরিচিত, কিন্তু আপনার পদ্ধতিতে একটা নতুন টুইস্ট দেখলাম। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে -ধাপে কিভাবে আলুর পরোটা তৈরি করতে হয়, তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের সাথে, যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
এই ধরনের খাবার দেখলেই যেন জিভে জল চলে আসে। কয়েক ধরনের পরোটা এখন পর্যন্ত খেয়ে থাকলেও আলু পরোটা খাওয়া হয় নাই। দেখেই অনেক লোভনীয় লাগছে। নিশ্চয়ই খেতেও অনেক সুস্বাদু।
অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটা ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দিদি। যে কেউ এটা দেখে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পাররবে কারণ পরিমাণ সহ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতো সুন্দর ভাবে পোষ্টটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
দিদি আলুর পরোটা কনো একটি সময় খেয়ে ছিলাম এখন তার সাধ টাও ভুলে গেছি,,, তবে আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে সেটি উপভোগ করতে পারছি,,, আমি যদি কখনো আপনার ওখানে যেতে পারি,,,তো আপনি অবশ্যই আপনার হাতের এই আলুর পরোটা আমাকে খেতে দিবেন,,,, এবং আপনার এই আলুর পরোটা দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না,,, অনেক ভালো লাগলো আপনার এই নতুন পদ্ধতি আলুর পরোটা রেসিপি,,, শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
একবার এসেই দেখুন না, আপনার দিদি বেগুন নয়, কিছু গান আছে!শুধু আলুর পরোটা কেন, আপনি যেটা খেতে চাইবেন রান্না করে খাওয়াবো।
দিদির কাছে ভাইয়ের আবদার ভেবে মন খুলে জানাবেন অসুবিধা নেই।
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP