Start challenging yourself to achieve every dream of your life! স্বপ্নপূরণের প্রতিযোগিতায় সামিল হন!
![]() |
---|
যারা নিজেকে ভালবাসেন, নিজেকে উন্নত করতে সর্বদাই সচেষ্ট, তারাই বোধহয় সাধারণ ভিড়ে ঠাসা মানুষের উৎসাহের পথিকৃৎ!
গতকাল কমিউনিটির প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জানিয়েছিলাম, রন্ধনশিল্প আমার ভালো লাগা বিষয়ের একটি অন্যতম বিষয়।
টেলিভিশনের পর্দায় কিছু ভালোলাগা শিক্ষামূলক অনিষ্ঠানের পাশাপশি, আমার ইউজার নাম এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বর্তমানে যে অনুষ্ঠানটি সোমবার থেকে শুক্রবার দেখি সেটা সেলিব্রেটি মাস্টার শেফ!
এই মুহূর্তে অনুষ্ঠানটি শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
তিনজন বিচারকের মধ্যে ছিলেন বিকাশ খান্না, ফারহা খান এবং রানভির ব্রার!
আজকে থেকে অনুষ্ঠানটির অন্তিম মুহূর্তে এসে পৌঁছেছে, মানে গ্র্যান্ড ফিনালে শুরু হয়েছে।
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
আর, মধুরেনো সমাপয়েত একেই বলে, যেখানে শেষ পর্বে এসে পৌঁছান স্বনামধন্য, পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত শেফ সঞ্জীব কাপুর!
সর্বদা মুখে হাসি আর অতি সাধারণ আচরণ বুঝিয়ে দেয় কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক হবার পরেও, গোটা পৃথিবীতে নিজের রেস্তোরাঁ থাকার পরেও মাটিতে পা রেখে কিভাবে চলতে হয়।
খানা খাজানা বলে একটি অনুষ্ঠান টেলিভিশনে রেকর্ড করেছিল, যে অনুষ্ঠানের শেফ হিসেবে প্রতিদিন তার আবিষ্কার আমাকে তাক লাগিয়ে দিত।
অনেক তাবড় তাবড় শেফ যাকে নিজেদের গুরু মনে করেন, অনেক সময় বাদে তার উপস্থিতি আজকে আমি তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছি।
কিছু মুহূর্তের কথা ভিডিও করে রেখেছি, আগামীকাল অনুষ্ঠানের অন্তিম পর্ব, তাই ধরে রাখলাম মানুষটির মূল্যবান কিছু কথা।
এই প্রথম সেলিব্রেটি মাস্টার শেফ অনুষ্ঠান আয়োজিত করা হয়েছে, যেটা কোথাও না কোথাও আমাদের একই সাথে একাধিক কাজ করা সম্ভব সাথে সফলতা, সেই শিক্ষা দিয়ে গেলো!
একটা দায়িত্বের ভার বইতে যেখানে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেন, সেখানে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সেলিব্রেটিরা অভিনয়ের পাশাপাশি, এই প্রতিযোগিতায় উপস্থিতি আমাদের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে গেলো;
সময়ের নিরিখে সকলের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত হলেও, চাইলে সেই সময়ের মধ্যেই কত কাজ সম্পন্ন সম্ভব যদি শেখার আগ্রহ থাকে।
যদি চোখে থাকে অফুরন্ত স্বপ্ন আর তাকে ছোঁয়ার উদ্যম আগ্রহ।
সেই স্বপ্নে থাকে না পুরুষ মহিলার ভেদাভেদ, থাকে না বয়সের বেড়াজাল, আর না থাকে লড়াইয়ের মধ্যে একফোঁটা ফাঁকি!
একজন এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন যার বয়স ছিল ৭৯ বছর!
কি স্ফূর্তি! কি চরম ধরনের ইচ্ছে শক্তি!
স্বপ্নের কোনো সময় নেই! আর না আছে বয়স; যেটা প্রয়োজন এই স্বপ্ন পূরণের জন্য, সেটা হলো দৃঢ় সংকল্প আর একাগ্রতার অঙ্গীকার।
আজকে অনুষ্ঠানের দুটো ভিডিও আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম, এটা বোঝাতে উপরে উঠতে হলে, নিজের অনিচ্ছার সাথে নিজেকেই লড়াইটা জয় করতে হবে।
নিজেদের বিফলতার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী, কারণ পড়ে গিয়ে পুনরায় উঠে দাঁড়ানোর যে চেষ্টা প্রয়োজন;
সেটা খুব কম মানুষ নিজেদের মধ্যে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হয়।
ভেবে দেখবেন, একবার একসাথে অনেক কাজ কতটা নিজেকে উন্নত করতে আর কতটা বিরক্তির সাথে করছেন প্রতিদিন, তাহলে বুঝবেন এই সফল মানুষগুলোর সাথে আপনার পার্থক্য কোথায়!

