সৃষ্টির নিদর্শন!Signs of creation!

যা কিছু সৃষ্টি হয় ইহো জগতে, একদিন তা ধ্বংস হবে, এটাই সৃষ্টির নিয়ম!
তবে, যদি সেই সৃষ্টির আড়ালে স্বার্থের গন্ধ থাকে, তাহলে সেটির বিচার হয় অন্যত্র এবং ভয়ানক!
অপরদিকে, কিছু সৃষ্টি পৃথিবী ত্যাগের পর অথবা ধ্বংসের পরেও অমর হয়ে থাকে।
উদাহরণ হিসেবে, এই মুহূর্তে লতা মঙ্গেশকর এর খুব সুন্দর একটি গান প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে কানে ভেসে আসছে, সেটি এখানে উদাহরণ হিসেবে উৎকৃষ্ট!
" নাম গুম জায়েগা, চেহেরা য়ে বদল জায়েগা!"

আজকের লেখার শীর্ষক আমাকে জুগিয়েছে আমার গাছে ধরা নতুন পিস লিলির (peace Lily) কুড়ি!
প্রথম অনলাইন থেকে গাছের চারাটি এসেছিল একটি ক্ষুদ্র টবে, আমার মনে আছে হাতে গোনা কয়েকটি পাতা ছিল!
এর খানিক দিন পর দেখলাম, চারাটি আমাকে পছন্দ করতে শুরু করেছে! কি করে বুঝলাম?
কিভাবে আবার! তার আমার ঘরের নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে বেড়ে ওঠা দেখে!
এরপর, একদিন মনে হলো, যে টবে গাছটি এসেছে, সেটি বড্ডো ছোটো!
তাই গাছটিকে বাজার থেকে কেনা একটি তুলসী মঞ্চের মধ্যে প্রতিস্থাপিত করি!
অনেকেই, হয়তো অবাক হবেন, তবে, গাছটির নাম অনুসারে তার জায়গা আমি নির্বাচন করেছি, সবাই তুলসী মঞ্চে তুলসী গাছ লাগিয়ে থাকেন, আমি নয় একটি ব্যতিক্রমী হয়ে থাকি!
এরপর, আমার ভয় ধরতে শুরু করলো, কারণ কোনো নতুন পাতা গাছটিতে আসছিল না, তবে ধৈর্য্য ধারণ করে তার যত্ন নিয়ে যাচ্ছিলাম, এরপর একটি একটি নতুন পাতার আগমন দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম!

সেই নতুন পাতা আসার পর পরই চোখে পড়লো, তার গা ঘেঁষে সাদা সাদা কিছু দেখতে পাচ্ছি!
হ্যাঁ! একেবারেই সঠিক ধারণা করেছিলাম, এই প্রথম আমার সাধের গাছে কুঁড়ি ধরেছে।
তবে, বড্ডো ছোটো বলে তখন ছবি তুলিনি, এখন খানিক বড় হয়েছে, তাই আজকের লেখায় সে আমাকে বলল শীর্ষক বেছে নিতে সৃষ্টির নিদর্শন!
ধৈর্য্যের পরীক্ষা সব ক্ষেত্রেই দিতে হয়, এটাই জীবনের চলার পথের কঠিন শিক্ষায় আমাদের শিক্ষিত করে।
এই ফুলের আগমন যেমন একদিকে মনে সৃষ্টির আনন্দ বয়ে এনেছে, পাশাপশি দেখাচ্ছে সৃষ্টির সবটাই ক্ষণিকের, এবং তার স্থিতিশীলতা কখনোই চিরস্থায়ী নয়!
চোখের সামনে জন্মানো এই ফুলটি বড় হবে এবং একদিন ঝরেও যাবে তার সময় সীমা শেষ হলে।

শুভ্র এই ফুল শান্তির প্রতীক, যেটি আমাকে স্থির থাকার বার্তা দেয়, আবার চুপিচুপি আমায় বলে, যত্ন করলে রত্ন মেলে!
তবে, প্রকৃতির শিক্ষা আজ আর কেউ নিতে ইচ্ছুক নন! লাভ লোকসানের হিসেব কষার পরে আর বিশেষ সময় বাঁচে না!
এই মানসিকতার আগাছাগুলো ছেটে ফেলাই শ্রেয়, তাহলেই প্রকৃত গাছটি সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়!
জানিনা, যাওয়ার সময় কি কি সঙ্গে নিয়ে যাবে তার তালিকা হয়তো নিত্যদিন তৈরি করতে ব্যস্ত!
অথচ, বিধির বিধান অনুযায়ী এই পৃথিবীতে সমস্ত কিছু নির্ধারিত হয়, নইলে কি আর একসাথে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় এতজনের প্রান অকালে ঝরে যায়?
এরকম একাধিক নিদর্শন আছে, যেদিন যার হিসেব নিকেষ সম্পূর্ণ হবে সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে সেদিন কড়ায় গণ্ডায় হিসেব মিলিয়ে দেবেন তিনি!
আর, শেষটা নির্ধারিত করে রেখেছেন স্বয়ং তিনি, যেটি দৈনন্দিন মানসিকতা, কাজের উপরে নির্ধারিত।
ঝরে পড়তে হবে সবকিছুকেই, তবে সৃষ্টির নিদর্শনের ছাপ পিছনে কে কিভাবে রেখে যাবে সেটা তো নির্ভর করে কর্মের উপর!
আমার শিক্ষা সেটাই বলে, তবে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করতেই পারে!
যখন আঙুলের ছিল প্রয়োজনীয়তা
দাঁড়াবার জন্য করতে হতো নির্ভর;
মেরুদণ্ড সোজা হতেই নিখোঁজ স্বার্থপর!


SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.