প্রতিবিম্ব! Repercussions!

in Incredible India5 days ago (edited)
1000056723.jpg
Repercussions!

আয়নার সামনে দাঁড়িয়েছেন কখনও? এটাও আবার কোনো প্রশ্ন?
নিত্যদিন দাঁড়াতে হয়! আচ্ছা এই প্রশ্নের কারণ কি?
উত্তর দেবো বলেই তো প্রশ্নের উত্থাপন।

আয়না একদিকে যেমন নিজেদের প্রতিবিম্ব দেখায়, সঙ্গে নিজেদের বিভ্রান্ত করে থাকে!
কি অবাক হচ্ছেন?

আমরা নিজেদের যে স্বরূপ দেখি তার আড়ালেও একটা প্রতিবিম্ব আয়না দেখাবার প্রয়াস করে, অর্থাৎ যেটা আয়নায় সরাসরি দেখা যাচ্ছে তার অন্তরালে একটা বিপরীত বিষয় কাজ করে।

মানে, ডানদিক কে বা দিক দেখায়, এবং উল্টো বিষয়টি বাস্তব! অথবা, বিজ্ঞানের দিক থেকেও প্রমাণিত।
আজকে, এই বিষয়টি উল্লেখের কারণ, আমরা অথবা আমি কোন বিষয়টি দেখবো, যেটি সরাসরি দেখা যাচ্ছে, নাকি প্রতিবিম্বের সাহায্যে যেটি আমাদের সামনে ভেসে উঠছে?

বিষয়টি ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত, তবে এটাও ঠিক প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে বলেই হয়তো সামনে যে বিষয়টি দেখা যাচ্ছে তার অন্তরালেও একটা বাস্তব সুপ্ত থাকে, যেটি দেখতে গেলে অন্তর্দৃষ্টি থাকাটা প্রয়োজন।

যে দৃষ্টির মধ্যে থাকবে বিচক্ষণতা, যে দৃষ্টির মধ্যে থাকবে নিরপেক্ষতা, যে দৃষ্টির মধ্যে থাকবে কৃতজ্ঞতাবোধ, সঙ্গে মানবিকতা।
নইলে, মানবতার সংজ্ঞা বদলে যাবে অবলীলায়!

ছোটো ছোটো শিশুদেরকে হাতিয়ার করে, সাধারণ নিরীহ মানুষকে সামনে রেখে, ছলনার খেলায় সামিল হয়ে অনেকেই নিজেদের চতুর মনে করতে পারেন,
তবে ভুলে গেলে চলবে না, সহ্য একটা সময় পর্যন্ত সম্ভব, মেনে নেওয়ার ও তেমনি একটা সীমা আছে।

নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হতে হলে, প্ররোচনা, মিথ্যাচারিতা, হিংসতা, এবং আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বর সাথে বস্তবিকতাকে দেখতে হবে, তবেই সামনের চেহারার অন্তরালে আবৃত প্রকৃত রূপ এর ভেদাভেদ বুঝতে পারা যাবে।

যেখানে একশ্রেণী স্বীকার করছে, তারা পড়ুয়াদের সন্ত্রাসবাদী হবার ট্রেনিং দিচ্ছে, এবং ভবিষ্যতেও দেবে, যেখানে পৃথিবী কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী দের সন্ধান একই জায়গা থেকে পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে সাধারণ নিরীহ মানুষের প্রতিবাদ দেশের শাসক গোষ্ঠীর প্রতি খুবই স্বাভাবিক।

যা বুনবেন, তাই ফলবে, এটাই বাস্তব। তাই ইতিহাস থেকে আজ পর্যন্ত অনেকেই দেশের মধ্যেই আলাদা হতে প্রস্তুত।

সাধারণ মানুষ শান্তি চায়, পেট ভরে খেতে চায়, যেগুলো দেবার ক্ষমতা যাদের নেই, তারা ওই প্রবাদের মত, "ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার এর মত!"

একবার পৃথিবীর তাবড় তাবড় দেশের দিকে তাকিয়ে দেখতে হবে, তারা কি বলছেন, কতখানি নিন্দনীয় নারকীয় কাণ্ড শুরু করেছে, এবং সমানে ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়ে চলেছে, তবে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে পরিণতি ভোগ করতে হবে!

এটাই বোঝার, বাস্তবে ঘড়ি বা হাতে পড়ে আছে, কিন্তু মনে করছে ডান হাতে! ক্ষমতার বড়াই নয়, বাস্তবকে মেনে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলার পথ দেখাতে হবে নব প্রজন্মকে, সন্ত্রাসী তৈরি না করে।

নিজেদের যতখানি চাদর, পা ততখানি বাড়ানো উচিত, শুধরানোর বহুবার সুযোগ দিয়েও প্রমাণিত কিছু লেজ কোনোদিন সোজা হয় না।

তাই খেলনা পাঠিয়ে নিজেদের হাস্যকর প্রমাণিত করে চলেছে প্রতিদিন, আর সেই খবর কে বিকৃত করে আসল হাতের ঘড়ি না দেখিয়ে, বিপরীত হাতের কব্জি তুলে ধরছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই।

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...
Loading...