খবর! News!

in Incredible India5 days ago (edited)
1000057898.jpg

News -খবর!

বলে যাই দরাজ কণ্ঠে তব সাথে;
যদি ভুল হই শুধরে নিও নিজ হাতে!

লজ্জায় আজ ঢাকি মুখ
শান্তি নয়, ঐশ্বর্য্য, স্বার্থে যাদের সুখ;
মানব জন্মের অর্থ বিলুপ্ত
সংঘাত আজ সমাজের অসুখ!

বলে যাই দরাজ কন্ঠে সাথে তব;
পেয়েছি যত বেদনা, অসম্মান যত
সঞ্চিত হেথা হতে সমস্ত রকম ক্ষত!
সময়ের সাথে রইবে সদাই অক্ষত।

জমা রাখা আছে সযত্নে
আগলে রেখেছি তাদের;
উন্মাদনায় মত্ত, কৃতজ্ঞতা বোধ
হারিয়েছে বহু পূর্বেই যাদের!

রঙ্গ মঞ্চে অভিনয়ের পর্দা ফাঁস,
যত জারিজুরি পেয়েছি তার আভাস।
মেকি চেহারা আজ সর্বৈব উন্মুক্ত;
ধ্বংসের সাথে যাদের অভিলাশা যুক্ত!


1000057893.jpg

(খবর নয়,রঙ্গমঞ্চ)
👇

1000057899.jpg

আগে খবরের কাগজ পড়বার অভ্যেস ছিল। সেটার মধ্যে ক্রসওয়ার্ড এর সমাধান করা, কমিক্স পড়া, এছাড়া কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে নিজেদের জ্ঞান বৃদ্ধি সাথে ইংরিজিতে রিডিং এর দক্ষতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ইত্যাদি কারণ গুলো ছিল এর পিছনে।

আমার বাবা বিভিন্ন ইংরিজি ম্যাগাজিন নিয়ে আসতো যেগুলো থেকে ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স সম্পর্কে তথ্য পেতাম।

বর্তমানে কিছু পছন্দের সংবাদ চ্যানেল যারা অন্ততঃপক্ষে প্রমাণ দেখিয়ে সংবাদ প্রচার করে:-

1000057911.jpg

1000057912.jpg
1000057910.jpg

সময়ের সাথে হাতে মোবাইল এসে গেছে, টিভিতে একাধিক খবরের চ্যানেল হয়ে গেছে, কাজেই এখন আর সেই খবরের কাগজ পড়বার অভ্যেস হারিয়ে গেছে সাথে হারিয়ে গেছে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে খবর প্রচার এর প্রবণতা!

আমি বেশ কয়েক দেশের ইউটিউব এর মিথ্যে প্রচার দেখে, রীতিমত বিরক্ত হয়ে নালিশ জানিয়ে দিয়েছি সেই ইউটিউবার দের সম্পর্কে।

অর্ধেক সত্য বড্ডো ভয়ংকর! আর বিস্ময়কর কিছু দেশের খবরের চ্যানেল এই সকল ইউটিউবের খবরের ভিত্তিতে শুধু সংবাদ নিজেদের চ্যানেলে প্রচার করছেন তাই নয়, পাশাপশি যখন কোনো উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার কাছে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে তার বক্তব্যের পিছনের সত্যতার, তখন তার উত্তর, তার সমস্ত খবরের মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া!

ভাবা যায়? কিসের ভিত্তিতে মানুষ কথা বলে, কিসের ভিত্তিতে মানুষ হিংস্রতা দেখায়?

এই সমস্ত মিথ্যে খবরের ভিত্তিতে যার মধ্যে শূন্য ভাগ সত্যতা নেই।
আসলে বিদ্বেষী মনোভাব কোনো প্রমাণের পরোয়া করে না, আর তাই যার যেটা মনে হচ্ছে বলে যাচ্ছে ওই সুকুমার রায়ের আবোল তাবোল এর মতো।

আচ্ছা দাঁড়ান দাঁড়ান!
এখানেই শেষ ভেবেছেন?
আরে না না, দুর্বৃত্তদের দূর্বৃত্তি এত তাড়াতাড়ি শেষ হয় বলে মনে হয়, এবার তাদের ভিউয়ার্স বৃদ্ধি করবার পালা, তাই এআই (AI) এর সহযোগিতায়, ভিডিও এডিটর এর সাহায্যে পুরোনো যুদ্ধের অংশ জুড়ে একটি আস্ত ভিডিও পাবলিশ করে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে তাই নিয়ে পার্টি করে ফেললো!

মজা তখন হলো, যখন সেই মিথ্যে রীতিমত বৈদেশিক নামকরা গণ মাধ্যম ফেইক বলে প্রতিটি চ্যানেল ব্যান করে দিলো, পিটিআই এর সহযোগিতায়।

আসলে বাইরের শত্রুর সাথে মোকাবিলা করা সম্ভব তবে শত্রু যদি ঘরেই থাকে সেক্ষেত্রে মনে পড়ে যায় ইতিহাস, যখন ইংরেজদের সময় মীরজাফর দের পুনরাবৃত্তি নজরে পড়ে!

লোভ, লালসা আর অন্ধ প্রীতি ক্ষতি ছাড়া কখনও ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসে না।
আজকে অশান্ত গোটা পৃথিবী, কারণ উপরিউক্ত বিষয়গুলো, একটু মনোযোগ দিয়ে, নিজেদের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার বোঝা যায়, কিন্তু ওই অন্ধ প্রীতি বাধ সাধে!

আমার কাছে আধুনিক সংঘাতের মুল কারণগুলো বিভিন্ন ভাবে ব্যক্ত করেছি, যার মূল সূত্রপাত ঊর্ধ্বে উল্লেখিত সহমতের প্রত্যাশা ছাড়াই।

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
 4 days ago 

আপনার লেখা সব সময় চিন্তাশীল প্রতিবাদী এবং সমাজের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো এক ধরনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। এই পোস্টেও আপনি নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন কিভাবে সংবাদ আজ রঙ্গমঞ্চে পরিণত হয়েছে। যেখানে সত্য নয় দর্শক বাড়ানোই মুখ্য হয়ে উঠেছে। সাহসের সাথে মিথ্যা প্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিপক্ষে আওয়াজ তুলেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। আজকের পৃথিবীতে যেখানে বিভ্রান্তির নৈমিত্তিক সেখানে আপনার মত মানুষদের সৎ ও নির্ভীক কলমে আশার আলো। আপনার কথাগুলো সত্যিই ভাবিয়ে তোলে। আপনার জন্য অনেক অনেক অভিনন্দন রইল।

Loading...