Living in an illusion! মায়ার মাঝে বাস!

in Incredible India4 days ago (edited)

IMG_20250711_135312.jpg

ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে মায়া,
ছেড়ে দিয়ে এই নশ্বর কায়া!

নিঃশব্দে হারিয়ে যাবো
কোনো ক্রন্দন ছাড়াই;
প্রতিদিন সেই সাধনায়
এক্ এক্ পা বাড়াই!

ধীরে ধীরে হচ্ছে জাগতিক টান লুপ্ত;
সেবা, সাধনা যা ছিল এতদিন সুপ্ত!

1000062311.gif

আজ বোধকরি অঙ্কুরিত
হচ্ছে সেই বীজ;
শ্রাবণের ধারার সাথে
নেমে এসেছেন স্বয়ং অদৃজ!

মনের মধ্যে থাকা যত ঝড়
আর যত অশান্তি;
সদুত্তর পাই অন্তরাত্মা হতে
ভক্তি, প্রভু নামেই একমাত্র শান্তি!

সত্যিই কি সঙ্গে কিছু যাবে?
যা কিছু সুখ সবই অগ্নিতে ভস্মিভূত হবে!
তবে, কিসের এত রেষারেষি?
কার ক্ষমতা কম, কার বেশি!

মানুষের সবচাইতে বড়ো শত্রু কি জানেন?
অনেকেই হয়তো উপরের প্রশ্ন পড়ে নিজের নিজের মতো করে ভাবতে বসেছেন!

যার যার জীবনের অভিজ্ঞতার নিরিখে শত্রু বেছে নিয়েছেন, আর সম্পূর্ণটাই নিজের এক তরফা ভাবনা দ্বারা!

তবে, প্রশ্ন যখন আমি তুলেছি, নিজেকে উত্তর দেবার থেকে বিরত রাখি কি ভাবে?

আমার কাছে এখন মনে হয়, মানুষের সবচাইতে বড়ো শত্রু হলো,

মায়া!

এই মায়া আমাদের লোভ বৃদ্ধি করে, সেই লোভ শত্রু বৃদ্ধি করে, আর শত্রু বৃদ্ধি সৃষ্টি করে হানাহানি!

জীবন থেকে যখন সময়ের আগে সব হারিয়ে যায়, তখন আসলেই জীবনের অর্থ বোঝা যায়।
নাহ্! আমি হারিয়ে যাওয়া মানে অর্থ হানি, ক্ষমতা হানি কিংবা সম্মান হানি ইত্যাদির কথা বলতে চাইছি না।

বর্তমানে আমি উপলব্ধি করছি, কায়ার মায়াতে পড়ে মানুষ উপরিউক্ত বিষয়গুলো অধিক পরিমাণে পেতে আগ্রহী!

অথচ, আত্মার পরিশুদ্ধি করণ প্রয়োজন এটা একার্থে ভুলতে বসেছি পৃথিবীর নিরানব্বই শতাংশ মানুষ।

সময়ের আগে যখন খুব আত্মিক সম্পর্ক গুলো হারিয়ে যায়, তখন অনেকেই নিজেদের নতুন সম্পর্কে আবিষ্ট করে নিয়ে আবার বাকি জীবনের পথ পাড়ি দেয়, এটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়।

তবে, এখন আমি বুঝতে পারছি শরীরের চাইতেও মূল্যবান আত্মা!
প্রতিদিন স্নানের দ্বারা যেমন আমরা শরীরকে স্বচ্ছ রাখি, তেমনি সুচিন্তা আমাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে।

যে যতই আমাদের ভালবাসুক, নিথর দেহের সাথে কেউ কি যাবেন সঙ্গে?
বরঞ্চ, পিছনে কিছু পুঁজি রেখে না গেলে সেই ব্যাক্তি বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয়!

আবার যদি রেখে যায়, সেই নিয়ে কাড়াকাড়ি, কার প্রাপ্য কতখানি!
ব্যক্তিটির মূল্য কোথায়?

চিন্তন যদি বিশুদ্ধ হয়, তাহলে অন্তরাত্মা থেকে পাপের কালিমা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়।
ঠিক যেমন ধুমপানে ফুসফুসের ক্ষতি সাধন করে, তেমনি ভাবনা কিংবা চিন্তন দূষিত করে মাথা এবং মনকে!

IMG_20250711_135322.jpg

(মায়া মুক্ত বিশুদ্ধ আকাশ যেখানে কালিমা বৃষ্টির ধারায় ধুয়ে গেছে)

আমাদের ভাবনা আমাদের শরীরে পরিচালকের কাজ করে, ঠিক যেমন ছায়াছবির নির্দেশক কে বলা হয় "ক্যাপ্টেন অফ দা শিপ!"

খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের ভাবনা বেশিরভাগ সময় আমাদের পরিচালনা করে!
অথচ, বিষয়টি উল্টো হবার কথা, অর্থাৎ আমরা আমাদের ভাবনাকে পরিচালনা করবো সেই শক্তি থাকে যদি আত্মা বিশুদ্ধ হয়, মায়াহীন হয়।

নইলে, অন্যের কথার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষতি সাধন ছাড়া কিছুই সম্পাদিত হবে না!
কারণ, সেখানে পরিচালক অন্য কেউ!

বোঝার বিষয় হলো, একলা অবতীর্ণ হয়েছি, মানব রূপে এই জাগতিক মায়ার মাঝে, এরপর সময়ের সাথে কেবল অপরাধ করে চলেছি সকলেই এই মায়ার টানে, যেদিন এই অপরাধের হিসেব হবে, সেদিন হবে আত্মার, এবং চিন্তনের নিরিখে সৃষ্ট কর্মের দ্বারা।

তাই, অনেক মহারথীর কি দুর্বিষহ সমাপ্তি একাধিক উদাহরণ থেকে পাওয়া যায়, কিন্তু সে তো অন্যের ক্ষেত্রে তাই সেখান থেকে শিক্ষা নিতে অধিক মানুষ নারাজ!

প্রত্যেকের নজরে প্রত্যেকে সেরা! কি অদ্ভুত?
অথচ, প্রতিনিয়ত পাপ, আর দুষ্কর্ম করে চলেছে বিভিন্ন ভাবে!
এখন, কারোর সাথে কথা বলার চাইতে চুপ থাকা শ্রেয়!
অতি নগণ্য আমার যোগ্যতা, আর ক্ষমতাহীন দীন আমি, তাই নিজেকে আগে অন্তর থেকে পরিপক্ক করে নিয়েই অন্যের ভুল ধরাবার প্রয়াস করা উচিত বলে মনে করি।

শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা একজনেরই আছে, তিনি সৃষ্টিকর্তা! বাকি কারোর আছে বলে আমি মনে করি না। আপনারা করেন?

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...

Thank you for sharing quality content on Steemit.
You have been supported by the Team 04:

Captura de pantalla 2025-06-30 202646.png

Curated by: @fantvwiki

 3 days ago 

@fantvwiki thank you 😊👍