Incredible India monthly contest of May #1| How do we control the loneliness of our parents?

in Incredible Indialast month
1000057105.png

জীবনের অঙ্ক বড় শক্ত;
নীতি এবং কর্মের যে ভক্ত!
আজকে যা কিছু দেবে;
কালকে সুদে আসলে পাবে।

চার লাইনের কিছু শব্দ সমষ্টি দিয়ে আজকে প্রতিযোগিতার সূত্রপাত করছি।
যারা বুঝতে সক্ষম আজকে বুঝবেন, আর যারা বুঝবেন না তাদের জন্য আগামী দিন অপেক্ষারত।

অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন তবুও এখনও পর্যন্ত যাদের নজরে প্রতিযোগিতার আয়োজন নজরে পড়ে নি, তাদের উদ্দেশ্যে পুনরায় উল্লেখ করে দিলাম, সাথে আশা রাখছি তারা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করবেন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবার মাধ্যম

আজকের এই প্রতিযোগিতায় আমি আমন্ত্রণ জানাতে চাইবো @stef1, @chant এবং @sampabiswas দের।



Do you hold the view that, over time, parents develop a longing for the presence of their children? Please elaborate.
1000045868.jpg

বিষয়টি সংবেদনশীল অন্ততঃপক্ষে আমার ক্ষেত্রে এবং আমার মত অনেকের ক্ষেত্রেই যারা হয়তো অসময়ে নিজেদের মাতা পিতা হারিয়েছেন।

একটা বিষয় আমি লক্ষ্য করেছি, সেটা হলো যার কাছে যেটা আছে, সে সেটির সঠিক মূল্যায়ন খুব কম করতে পারেন নির্দিষ্ট সময়!

আর আমার দূর্ভাগ্য যে, আমার মা এবং বাবা উভয়েই স্বল্প পরিসরে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।

তবে, কাজের সুবাদে, সামাজিক নাগরিক তথা পৃথিবীর বর্তমান চিত্রের দিকে তাকালে উপরিউক্ত প্রশ্ন অস্বীকারের কোনো জায়গা নেই।

সম্পর্কে যদি আত্মিক টান কমে গিয়ে সেটিকে বোঝা মনে হতে শুরু করে, তখনই চিড় ধরতে শুরু করে যেকোনো সম্পর্কে।

  • উপরিউক্ত বিষয়টি সবসময় ইচ্ছেকৃত হয় বলে আমি বিশ্বাস করি না।
  • আবার অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছেকৃত সেটাও অনস্বীকার্য।

প্রথমটি দেখা যায়, লেখা পড়ার কারণে, নিজের পরিবারকে আর্থিক পরিপূর্ণতায় রাখতে গিয়ে প্রায়শই সন্তান ভুলে যায়, আবার কখনও মাতা পিতা ভুলতে বসেন উভয়পক্ষের আদপে ও চাহিদা কি?

তারা কি চায়? তাদের চাহিদার পরিধি কতখানি?
ইত্যাদি।
তাদের কাছে সুখের পরিভাষা, উন্নত জীবনযাপন যখন অধিক প্রাধান্য পায়, ঠিক তখন শুরু হয় একাকিত্ব।

দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, যেটির আধিক্য অধিক সেখানে মাতা পিতার বয়স গিয়েছে, এখন তাদের সাথে জেনারেশন গ্যাপ এর অজুহাতে নিজেদের জীবনের দৈনন্দিন রুটিনে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয় যায়, এক্ষেত্রে মাতা পিতাকে দেবার সময় তাদের হাতে থাকে না!

এই সময় মাতা পিতারা চোখের সামনে তিল তিল করে গড়ে তোলা তাদের সন্তানের এই পরিবর্তন কখনও নিজেদের যৌবনে করা নিজেদের কর্মের স্মৃতিচারণে অতিবাহিত করেন!
নতুবা, শৈশবে সবক্ষেত্রে নিজের সন্তানের তাদের উপর নির্ভরশীলতা তাদের আজকের মানসিকতায় পরিবর্তনের কারণ খোজায় ব্যয় করে থাকেন।



How do we control the loneliness of our parents?
IMG_20250513_005539.jpg

প্রতিদিনের ব্যস্ত সময় থেকে খানিক সময় তুলে রাখুন সেই মানুষগুলোর জন্য যাদের কারণে আপনি এই ধরায় পদার্পণ করতে সক্ষম হয়েছেন।

সময় বড় কঠিন শিক্ষক, আজকে যেটা অন্যের সাথে করবেন, আগামীতে সেটার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
অস্থায়ী জীবনের সবচাইতে বড় সত্য হলো, একদিন সকলকেই বৃদ্ধবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, কাজেই সেটা মাথায় রেখে আপনাকে নিজের পায়ে হাঁটতে শেখানো মানুষগুলোর পাশে থেকে হাত ধরবার পালা আপনার।

যখন বৃদ্ধ বলে ঘরে তাকে ফেলে রেখে বাকিদের নিয়ে ঘুরতে যাবেন, একবার ভেবে দেখবেন, যখন আপনি ভালোভাবে হাঁটতে পারেন না, তখন আপনাকে অন্যের দায়িত্বে রেখে আপনার মাতা পিতা অন্যত্র ঘুরতে গিয়েছিলেন কিনা?

তাই বৃদ্ধাবস্থাকে বোঝা নয়, শৈশবের পুনরাবৃত্তি ভেবে তাদের পাশে থাকুন, তাদের মানসিক অবসাদ ভুলতে সাহায্য করুন।

আমার মনে হয় জীবনের শেষ পর্যায়ে খুব বেশি কিছু চাওয়ার থাকে না, নিজের সন্তান তথা প্রিয় মানুষদের সঙ্গ ছাড়া।



What are the main reasons behind the loneliness of parents?

1000031215.jpg

প্রথমত, একাকিত্ব দুর করবার পূর্বে একাকীত্বের কারণ খুঁজে বের করবার চেষ্টা করতে হবে।
অনেক সময় একটা বয়সের পর একজন জীবনসঙ্গীর অনুপস্থিতি অপরজনের মানসিক অবসাদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এই তো সেদিনের কথা আমার ফ্ল্যাটের একটি পরিবারে মহিলার শ্বশুর গত হবার ৮৩ দিনের মাথায় মহিলার শ্বাশুড়ি গত হলেন!

দ্বিতীয়ত, প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝে অনেকেই মা বাবাকে জিজ্ঞাসা করতে পর্যন্ত সময় পান না তারা কেমন আছেন!
কথা বলার সময়, গল্প করবার সময়, নিজেদের ভাব বিনিময়ের সময় কমতে থাকা অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম!

কি আলোচনা করবো? এখানেই গণ্ডগোল!
জানবেন জীবনের অভিজ্ঞতার একটা নামকরা পাঠশালা ঘরেই রয়েছে, শুধু সদিচ্ছার প্রয়োজন আপনি সেখান থাকে কতখানি রসদ কুড়োতে সক্ষম।

আমি আর আমার এর মাঝে আমাদের ভুলতে বসেছে মানুষ তাই যৌথ পরিবার ভেঙে তৈরি হয়েছে বদ্ধ পরিসরে আবদ্ধ নিজস্ব পরিবার যেখানে মা বাবাকে দেবার না আছে জায়গা আর না সময়।
তাই বোধহয় বাংলার নচিকেতা বৃদ্ধাশ্রম গানটি রচনা করেছেন, যার প্রতিটি শব্দ বাস্তব।

যারা বাংলা বোঝেন অথচ গানটি শোনেন নি, তারা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন!

আজ তাহলে এখানেই ইতি টেনে বিদায় নিলাম।অনেক কিছুই বাকি রয়ে গেলো লেখার তবে গানটি সেটা সম্পূর্ণ করে দেবে।

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...