Incredible India monthly contest of February #1|Things we should maintain to boost moral values!

in Incredible India6 days ago (edited)
1000049712.jpg

এর আগের প্রতিযোগিতায় ইংরিজিতে অংশগ্রহণ করেছি, তাই আজকে ঠিক করলাম এই ভালোবাসা দিবসে প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু
নিজের মাতৃ ভাষায় লেখা যাক!
অংশগ্রহণের মাধ্যম

এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাতে চাইবো @nishadi89, @wirngo এবং @sailawana দের।
সমস্ত নিয়মাবলী পালন সম্পন্ন হলো, এবার নিজের অভিমত পোষণ এর পালা!

Principles that we should maintain to enhance ourselves.

নীতিবোধ হোক, অথবা মূল্যবোধ প্রত্যেকের অভিধানে তার নিজস্ব সংজ্ঞা আছে।
আমি নিজের অনেক লেখায় আগেও উল্লেখ করেছি, পারিবারিক পরিবেশ এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন হবার কারণে এক এক মানুষের চিন্তাধারা, শিক্ষা তথা মূল্যবোধ ভিন্ন ধরনের।

হয়তো, আমি যে নীতি শিক্ষা এবং মূল্যবোধে বড় হয়েছি, যে বাস্তব শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছি;
অনেকেই বিপরীতমুখী ধ্যান ধারণায় শিক্ষিত হয়েছেন!

তবে, যেহেতু উপরিউক্ত প্রশ্নের জবাব দিতে উপস্থিত হয়েছি তাই সহমতের আশা না রেখেই নিজের অভিমত প্রকাশ করেছি।

1000049457.jpg
গাছ হোক ভিন্ন কিন্তু গোটা বছর অক্সিজেন সরবরাহ সকলেই করে থাকে!
Principles (নীতি):-
  • অন্তর এবং বাইরে থেকে একরকম থাকার প্রয়াস!
    এক কথায় মনের ভিতরে স্বচ্ছতা অব্যাহত রাখার প্রয়াস, কোনো পরিস্থিতিতেই যেন নিজস্ব সত্ত্বা হারিয়ে না যায়।

  • একটাই জীবন! সময় একবার অতিক্রান্ত হয়ে গেলে আর ফিরে আসবে না!
    কাজেই, বর্তমান সময়কে সম্মান করে প্রতিটি মুহুর্তকে গঠনমূলক কাজে লাগানো।

  • কোন শর্তেই যেনো সততার সাথে আপোষ না করা হয়।
    বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ লোভের হাতছানি এড়াতে পারেন না, আর সেই ফাঁদে পড়ে চোরা বালিতে নিমজ্জিত হতে হতে বিলীন হয়ে যায় একটা সময়!

  • সত্য বলার সাহসিকতা থাকতে হবে, সামনে যতবড় ক্ষমতাধারী মানুষ থাকুক না কেন সৃষ্টিকর্তার চাইতে বড় কেউ নন!
    এই বিশ্বাসকে পাথেয় করে প্রতিদিনের লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে!

ক্ষমতা আছে বলে বেঠিক কে সঠিক বলতে হবে, এমন যেন কখনোই না হয়।
চিরদিন চেষ্টা করতে হবে যেন সৃষ্টিকর্তা তথা বিবেকের কাছে আমরা যেনো স্বচ্ছ থাকতে পারি।
দিনশেষে নিজের চোখের সাথে চোখ মেলাতে গিয়ে যেন গর্ব হয়, লজ্জা নয়!



Which things help us to boost our moral values?
1000049537.jpg
সূর্যের দীপ্তি আর বৃক্ষের ন্যায় সোজা মেরুদন্ড নিয়ে সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে!
  • আত্মসম্মান বোধ:- যেদিন আমরা অহংকার আর আত্ম সম্মানের বিভেদ বুঝতে শিখবো, সেদিন থেকে নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষার হাতে খড়ি হবে!
    লালসার প্রবৃত্তিকে ঝেড়ে ফেলে মাথা উঁচু করে বাঁচার অদম্য আগ্রহ আমৃত্যু বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

  • হার না মানার জেদ:- নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবার জেদ কে সজীব রাখতে হবে! ভাবতে হবে, পৃথিবী ত্যাগের পূর্বে কি এমন করে যাওয়া যায়, যেটি শুধু নিজের নয় সামাজিক উন্নয়নের পরিপূরক হতে পারে। বাড়ির বাইরের জগতকে নিজের পরিবার ভাবতে শিখতে হবে।

  • পরিস্থিতিকে অজুহাত নয়, অভিজ্ঞতা মনে করে এগিয়ে যাওয়া:-
    দৈনন্দিন সমস্যাকে অজুহাত করে, অনেক দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার প্রবৃত্তি প্রায়শই আমার নজর কাড়ে!
    আর এখানেই সাধারণ মানুষের সাথে সেই মানুষগুলোর তফাত যারা এই সমাজে তাদের আবিষ্কারের ছাপ রেখে গেছেন।
    প্রতিটি মানুষকে দৈনন্দিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয়, কেউ তাকে শিক্ষার অঙ্গ ভেবে সাদরে সেই লড়াই জিতে দেখিয়ে দেন, আর বেশিরভাগ মানুষ হার মেনে পিছিয়ে পড়েন!
    কাজেই, নিজেকে কোন দলভুক্ত করবো, সেটা সম্পূর্ণ নিজের সিদ্ধান্ত।

  • অর্থ, বিত্ত নয় মনুষ্যত্বের শিক্ষা :-
    অদ্ভুত বিষয় হলো! একটা মানুষ তার সামাজিক অবস্থান নির্ধারণ করে নিজের অর্থ তথা বিত্ত দিয়ে! শুধু সেই মানুষটি নয়, সমাজের অধিক মানুষের দৃষ্টি বদলে যায়, বিত্তশালী মানুষের ক্ষেত্রে।
    আচরণে পার্থক্য, সম্মানে পার্থক্য, এমন সমীহ করে কথা বলেন বিত্তশালী মানুষদের সাথে যেন তাদের সংসার খরচ এরাই চালাচ্ছেন!
    কি অদ্ভুত বিষয় তাই না?
    অথচ, যাদের মনুষ্যত্বের শিক্ষা আছে তারা কিন্তু এই অর্থের দাম্ভিকতা সংবরণ করতে জানেন।
    তারা জানেন, অস্থায়ী জীবনে এই অর্থ, বিত্ত সবটাই ক্ষণিকের! কাজেই, যদি সৃষ্টিকর্তা ক্ষমতা দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই সুযোগকে আত্মস্বার্থে নয়, বরঞ্চ সামাজিক উন্নয়নের কাজে ব্যয় করতে হবে।

তাই, তারা চুপচাপ নিজের দায়িত্ব পালন করে যান, এরকম বহু মানসিকতার ধারণ করা ব্যক্তিত্বের উদাহরণ আমি আগেও দিয়েছি।
রতন টাটা, সুধা মূর্তি, APJ Abdul Kalam সহ বহু নজির রয়েছে।



If you got an opportunity to change anything for society, what would you want to change?
1000045883.jpg
1000044685.jpg
1000044686.jpg
এমন একটি মসৃণ পথ তৈরি যেখানে সকলে একসাথে হাঁটতে সক্ষম, অসময় ঝরে পড়বে না ফুলের কুঁড়ি, প্রস্ফুটিত হবার সুযোগ পাবে!

আমার অনেক সাধ আছে, তবে সাধ্য বড্ডো সীমিত!
তবে অনেকের অর্থ থাকলেও যে কাজ ক্ষমতাবান মানুষ এড়িয়ে যান, অথবা করতে চান না!
এমন অনেক কাজের সুযোগ সৃষ্টিকর্তা আমায় করবার সুযোগ দিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংস্থার সাথে যুক্ত থাকার ফলে।

সত্যি যদি সৃষ্টিকর্তা আমাকে কখনো ইচ্ছে পূর্তির সুযোগ দেন, তাহলে এই সমাজে কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষদের জন্য এবং সেই সকল মহিলা, যারা ঘরোয়া হিংসার শিকার তাদের স্বাবলম্বী করে তোলার প্রয়াস অবশ্যই করতে চাইবো।

মাথা উঁচু করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বাঁচতে পারার পিছনে যে আত্মতৃপ্তি আছে, সেটা তাদের আস্বাদনের সুযোগ করে দিয়ে যেতে চাই।

খারাপ লাগে, অনেকেই অর্থের অভাবে ভালো জায়গায় চিকিৎসা করাতে পারেন না, যদি কখনো সুযোগ পাই, বিনামূল্যে মানুষের চিকিৎসার বিষয় যেটা খানিক আছে সেটাকে আরো বিস্তার লাভ করাতে চাইবো।

মেয়েরা দিন হোক অথবা রাত সুরক্ষিত থাকবে, ঘরে তথা বাইরে!
সেই বিষয়টিকে শক্ত হাতে ধরতে চাইবো।

সামাজিক পরিবর্তনের আগে ঘরোয়া শিক্ষার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা অনেকেই জানেন না, তাই সামাজিক পরিবর্তন করবার পূর্বে, ঘরের শিক্ষাকে মজবুত করতে হবে বলে আমি করি।

এই ছিল আমার অভিমত প্রয়াসের একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস।

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
 6 days ago 

দিনশেষে নিজের চোখের সাথে চোখ মেলাতে গিয়ে যেন গর্ব হয়, লজ্জা নয়!

  • কথাটা খুবই সাধারণ তবে এর গভীরতা বোঝার মত মানুষের আজকালকার সমাজে বড্ড বেশি অভাব। কারণ প্রতিনিয়ত সকল মানুষ এমন কাজ করে‌ চলেছে যেখানে নিজের বিবেকের কাছে উত্তর দেওয়া কঠিন।

  • আমার তো মনে হয় তারা প্রতিদিন নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করার সময় পান না। কারণ সমস্ত সময়টা ব্যয় হয় অন্যের ক্ষতি সাধনের ফন্দি‌ আঁটায়। অথচ তারা ভুলে যায় যে উপরে যিনি আছেন তিনি আমাদের প্রত্যেকের মনের কথা শুনতে পারেন।

  • তাই আমরা অন্যের প্রতি কি মানসিকতা বহন করি, সেটা সেই‌ মানুষরা জানতে‌ না‌ পারলেও ওপরওয়ালা ঠিক জানেন। তাই কাজ এমন করা উচিত যেখানে নিজের বিবেকের কাছে নিজে পরিষ্কার থাকা যাবে, নিজের চোখে চোখ রেখে কথা বলা যাবে, তাহলেই দেখা যাবে উপরওয়ালার কাছেও আমাদের কর্ম সঠিক কর্মের খাতায় লিখিত হচ্ছে।

সামাজিক পরিবর্তনের আগে ঘরোয়া শিক্ষার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা অনেকেই জানেন না, তাই সামাজিক পরিবর্তন করবার পূর্বে, ঘরের শিক্ষাকে মজবুত করতে হবে বলে আমি করি।

  • আপনার লেখা উপরোক্ত লাইনটি একেবারে‌ই‌ সঠিক, আর‌ আমিও সেটাই বিশ্বাস করি। সামাজিক পরিবর্তনের আগে সত্যিই ঘরোয়া পরিবর্তন প্রয়োজন। সমাজের বেশকিছু ‌শিক্ষিত মানুষ এমনও আছেন যারা মনে করেন, তাদের নিজেদের ঘরের ছেলেরা সর্বশ্রেষ্ঠ, সব‌ ভুলের‌ উর্ধ্বে। আর এই ভুল ধারণা থেকেই তারা ঘরের মেয়ে বা বউদেরকে কখনোই নিজেদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেন না। অথচ তারাই সকলের সামনে সমাজের মেয়েদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হয়ে থাকে। সেই সকল মানুষদের মানসিকতার পরিবর্তন নিজের ঘর থেকে শুরু করা‌ উচিত।

  • আপনি‌ সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আপনাকে সেই সামর্থ্য দেন, যাতে আপনি নিঃস্বার্থভাবে কিছু মানুষের জন্য কাজগুলো করতে পারেন।কারণ যাদের সাধ্য আছে, তারা শুধু আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করতেই জানে।

  • ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে, ভালো থাকবেন ম্যাম।

TEAM 6

Congratulations!

Your comment has been supported by THE PROFESSIONAL TEAM. We support quality posts, Original quality comments anywhere, and any tags


1000048570.png

Loading...
Loading...

দিদি একটা পোষ্ট যে কত সুন্দর আঙ্গিকে উপস্থাপন করা যায় তা আপনার পোষ্ট দেখলে বুঝা যায়৷ আসলে পোষ্ট থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। লেখা থেকে শুরু করে, ভাষার দক্ষতা, লেখার ভঙ্গি, উপস্থাপ পদ্ধতি আরও কত কি। সব দিক দিয়েই যেন সেরা।

মানবিক মূল্য বোধ আর সময়ের সঠিক ব্যবহার যদি আমরা করতে পারি তাহলেই হয়ত সমাজের পরিবর্তন করা সম্ভব।

একটাই জীবন! সময় একবার অতিক্রান্ত হয়ে গেলে আর ফিরে আসবে না!
কাজেই, বর্তমান সময়কে সম্মান করে প্রতিটি মুহুর্তকে গঠনমূলক কাজে লাগানো।

এটা বাস্তব দিদি। জীবন তো আমাদের একটাই। এটাকে সঠিক ভাবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই আসল সফলতা আসবে। সমাজকে পাল্টানো যাবে। তবে সমাজ পাল্টানোর আগে নিজের ব্যক্তিত্ব ও পরিবারকে পাল্টাতে হবে। আমরা যদি নিজ নিজ পরিবারকে পাল্টায় তাহলে সমাজ আপনা আপনি পাল্টে যাবে।

অনেক সুন্দর দিক নির্দেশনামূলক কথা, এবং নিজের অভিব্যক্তিগুলো জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই দিদি আপনাকে, এতো সুন্দর ভাবে বিষয়টাকে উপস্থাপন করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।