মনোযোগ নাকি অভিযোগ?Attention or complaints?

in Incredible Indialast month (edited)
1000054028.png

কোনোটাই বিয়োগ নয়, সবটাই যোগ!
যদি শব্দ দুটির শেষ দুটি অক্ষর দেখেন।

তবে, একটি আমাদের জীবনকে উন্নত করতে সহযোগিতা করে, অপরটি জীবনে অধঃপতন ছাড়া কিছুই নিয়ে আসে না!

মনোযোগ
অভিযোগ
১.সফলতার প্রথম সিঁড়ি!১. সাধারণত অসফল হলে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়!
২.যেকোনো কাজ তথা দায়িত্ব পালনে প্রয়োজন!২.দুর্বলতার লক্ষণ!
৩.ভালবাসা না থাকলে ধরা দেয় না!৩.যোগ্যতা ছাড়াই অর্জিত!
৪.দক্ষ হতে গেলে আবশ্যকীয়!৪.কোনো দক্ষতার প্রয়োজন নেই!
৫.একটি মানুষকে ভিন্ন পরিচিতি দেয়!৫. হতাশা ছাড়া কিছুই দেয় না!
IMG_20250404_013832.jpg
Example of attention:- The Manoj Kumar Sharma(search Google to know more about him)

মনোযোগ:-

শৈশব থেকে মা বাবা লেখাপড়া করবার সময় এই শব্দটি তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে প্রায়শই ব্যবহার করে থাকেন।

কারণ তারা জানেন

মনোযোগ
এমন একটি হাতিয়ার যেটিকে জীবনের চলার পথে সঠিক কাজে ব্যবহার অথবা প্রয়োগে করতে শেখাতে পারলে, তাদের সন্তান একদিন মানুষের মতো মানুষ হতে সক্ষম হবে।

শৈশবে ভয়ে হোক অথবা বাধ্য হয়ে খানিক মনোযোগী হলেও সময়ের সাথে সাথে স্বেচ্ছাচারিতা এতটাই জীবনকে ঘিরে ধরে যে, অধিক মানুষের শব্দকোষ থেকে মনোযোগ শব্দ প্রায় মুছতে শুরু হয়ে যায়।

যারা, এটিকে পাথেয় করতে সক্ষম হয়, একমাত্র তারাই জীবনের পথে সফলতার মুখ দর্শন করতে পারেন।

আপনারা যেকোনো সফল মানুষের সফলতার ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন, সেখানে পরিশ্রমের পাশাপশি যেটা পাবেন সেটা হলো, লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগ!

যারা শৈশব থেকে বিষয়টি রপ্ত করতে পারে না, মাঝপথে দিক পরিবর্তন করে নেয়, তাদের জীবনে কি পড়ে থাকে জানেন?👇

1000051389.jpg
1000051388.jpg
Complaining only brings loneliness! Even in the crowd!

অভিযোগ:-

কর্ম সম্পাদন না করে, ভাগ্যকে দোষারোপ করে কপালে নেই এই অভিযোগ জগতে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেয়েছে!
এমন উদাহরণ আমার জানা নেই, আপনাদের আছে?

এরপর, নিজেদের ভুল কাজ তথা সিদ্ধান্ত যখন ভবিষ্যতে বিপদ বয়ে নিয়ে আসে;
তখন নিজের সিদ্ধান্তকে দোষারোপ না করে আসে পাশের মানুষের খুঁত ধরার প্রবণতা অধিক চোখে পড়ে।

জীবনে কি কি পাওয়া হয়নি সেই নিয়ে অভিযোগ!

সব না পাওয়ার অভিযোগ অন্যের, আর সব পাওয়ার কৃতিত্ব নিজের! কি অদ্ভুত বিষয় না?

এরকম একরাশ অভিযোগের ঝুলি নিয়ে যারা দিন যাপনে অভ্যস্ত, তারা সমস্ত কাজে শুধু অদক্ষ তাই নয়, এরা প্রতিষ্ঠিত হবার তালিকাভুক্ত কোনোদিন হতে পারে না।

কারণ, এরা নিজেদের উন্নত করবার প্রয়াস করতে ইচ্ছুক নয়, বরঞ্চ অভিযোগ নিয়ে এদের অধিক সময় অতিবাহিত হয়।

যে মুষ্টিমেয় মানুষ হয়তো লেখাটি পড়বেন, তাদের মনে এই প্রশ্ন উদয় হতে পারে, আমার কি কোনো বিষয় নিয়ে অভিযোগ নেই?

সাবাশ! সঠিক প্রশ্ন মনে আসার জন্য!

আমারও অভিযোগের তালিকা এইবার মেলে ধরছি।
তার মানে উত্তর হলো, আমারও অভিযোগ আছে!

তবে সেটার বেশিরভাগটাই কর্ম জীবন এবং কর্মস্থলে বেশ কিছু মানুষের অমনোযোগী এবং উদাসীন আচরণের প্রতি!

এই অভিযোগ আত্ম স্বার্থের জন্য আমার মনে উদিত হয় না, আর এটিকে অভিযোগ এখন না বলে বিরক্তির কারণ বললে সঠিক বলা হবে।

কারণ, একটা সময় জানতাম পাগল ও নাকি নিজের ভালো মন্দের বুঝ বোঝে!
তবে এখন বুঝতে পারি, আসলে পাগল জানে তাকে দেখার কেউ নেই, তবে যাদের সেই অসুবিধায় পড়তে হয়না, তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের উদাসীনতা অধিক চোখে পড়ে।

যদি ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দের কথা বলতে হয়, তাহলে বলবো, ব্যাক্তি জীবন তথা কর্ম জীবন দু'ক্ষেত্রেই মনোযোগ কেই প্রাধান্য দিয়েছি অভিযোগের তুলনায়।

তাই হয়তো সাত বার অসফল হয়েও অভিযোগ না করে দরখাস্ত লিখে অষ্টমবার প্রথম কিউরেশান এর জন্য মনোনীত হয়েছি!

মন খারাপ আর অভিযোগের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য আছে!
মন খারাপ সকলের ক্ষেত্রে এবং সব বিষয় হয় না!

এটি কেবলমাত্র ক্ষণিকের জন্য হোঁচট খেতে পড়ে যাবার মত অনুভূতি, যদি উঠে দাঁড়াবার শক্তি জোগান নিজেকে নিজে দিতে পারেন, তাহলে পুনরায় দেখবেন লড়াইটা মনোযোগ দিয়ে করতে পারছেন।

পরিশেষে যে বার্তা দিতে চাই সেটা হলো, লক্ষ্য বিহীন জীবনের আদপেই কোনো মূল্য আছে কিনা একবার ভেবে দেখবেন!

এখানে হাতে গোনা কিছু মনোযোগী মানুষ আমার নজর কেড়েছে এবং নিজেকে উন্নত করতে উৎসাহিত করেছে!

আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দৃষ্টিগোচর হয়েছে অভিযোগ, আর উদাসীনতা!
তৈরি ভাতের জোগান থাকলে চালের মূল্যায়ন কতজন করে? তাদের শুধু অভিযোগ মনের মত চাল পেলো কি পেলো না তাই নিয়ে!
মনোযোগ এদের শব্দকোষ থেকে মুছে গেছে!

1000010907.gif

1000010906.gif

Sort:  
Loading...
 last month 

Thank you @steemcurator09 and @aviral123 for your support!

Loading...
 last month 

কর্ম সম্পাদন না করে, ভাগ্যকে দোষারোপ করে কপালে নেই এই অভিযোগ জগতে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেয়েছে!
এমন উদাহরণ আমার জানা নেই, আপনাদের আছে?

আপনার পোষ্টের মধ্যে থেকে ওপরের লাইনটি আমি উঠিয়ে নিয়েছি। আসলে আমরা মানুষ তো নিজেদের দোষ কখনো নিজেদের কাছে রাখতে চাই না। তাইতো আমরা বেশির ভাগই ভাগ্যের ওপরে দোষারোপ দিয়ে এড়িয়ে যায়।

নিজেদের দোষ গুলো যদি খুঁজতে থাকি কর্ম না করে সফলতা অর্জন বা যে কোন একটি জায়গায় ভালো কিছু করার চিন্তা নিয়ে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাদের সেখানে পরিশ্রম করতে হবে। তবে আমরা অল্প কিছু দিন পরিশ্রম করে আবার কোথাও হারিয়ে যাই। এবং ভাগ্যের উপরে দোষ দিয়ে চলে যায়।

কথায় আছে হতাশ হইয়ো না এক বার না পারিলে দেখো শতবার কিন্তু আমরা তো এক বার হেরে গিয়েই হাল ছেড়ে দিয়ে চলে যায় ভাগ্যের উপরে দোষ দেখিয়ে।

 last month 

চমৎকার একটা লেখা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি আমরা যদি কোন কাজের প্রতি সঠিকভাবে মনোযোগ দিতে পারি। তাহলে কিন্তু আমরা সেই কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারি। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মা আমাদেরকে শিখিয়েছেন, পড়াশোনা করতে হলে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করলে সেখানে সফলতা অবশ্যই আসে।

আমরা যখন কোন কাজের মধ্যে মনোযোগ দেই না, তখন কিন্তু আমরা সেখানে অসফল হই। সঠিকভাবে আমরা সেই কাজ সম্পন্ন করতে পারি না। তখন আমাদের অভিযোগের শেষ থাকে না। আমার কাছে মনে হয় কোন কিছুর উপর অভিযোগ করার আগে, নিজের মনোযোগ সঠিকভাবে দেয়া হয়েছে কিনা সেই জিনিসটা যাচাই করা অনেক বেশি প্রয়োজন। ধন্যবাদ চমৎকার লেখা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। ভালো থাকবেন।