The May contest #1 by sduttaskitchen| Way to decrease pollution on Earth!

in Incredible India2 months ago

nature-2548082_1280.jpg
pixabay

এমন একটি সময়োপযোগী চমৎকার বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য @sduttaskitchenম্যামকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি আমাদের কমিউনিটির বাকি সদস্যরাও চমৎকার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদেরকে তাদের মতামতের সাথে পরিচিত করবেন।

প্রতিযোগীতার নিয়ম অনুযায়ী আমি আমার বন্ধু @baizid123 @jahidul21@karobiamin71 কে এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

How can we execute zero waste in our lifestyle? Describe.

বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশের মানুষই বর্জ্য নিয়ে সমস্যায় ভুগছে । একটি রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি নির্দেশিত হয় সে রাষ্ট্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেমন তা দিয়ে। বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই রাষ্ট্র হিসেবে দেশটি কতোটা মানবিক এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে এবং তার সম্পদের কতোটা সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারছে তা নির্দেশ করে থাকে ।
অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। দূষিত বায়ু, পানি এবং নিরাপদ জীবনযাত্রার অভাব তাদের প্রতিদিনের বাস্তবতা।এছাড়াও এগুলোর প্রভাবে বিভিন্ন অসুখতো লেগেই থাকে।
এসকল কারণে আমাদের দৈনিন্দন জীবনে জিরো ওয়েস্ট লাইফস্টাইল অনুসরণ করা উচিত। এজন্য আমরা নিন্মোক্ত বিষয়গুলি করতে পারি।

  • আমরা প্রায়শই নানাধরণের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে থাকি। এই অভ্ভাসটা পরিবর্তন করা উচিত। এমন কিছু ব্যবহার করবেন না বা নিবেন না যেটা আপনার প্রয়োজন নেই কিংবা আপনাকে কেউ এমন কোনো উপহার দিলো যেটা আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় , আপনি সেটা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করুন ।

  • অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে বিদায় দিন জীবন থেকে। এগুলোকে কাউকে দেন করে দিন অথবা বিক্রি করে দিন। এতে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে পারবেন এবং আপনিও ভালো থাকবেন।

  • গাছের জন্য রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে চায়ের পাতা ,ডিমের খোসা ইত্যাদি জমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করা যায়। আমার নিজের গাছগুলোর জন্য আমি এটাই করে থাকি।

  • যেখানে -সেখানে ময়লা ফেলার অভ্ভাস পাল্টে ফেলুন। নির্দিষ্ট জায়গাতে ময়লা ফেলুন এবং কোথাও গেলে সাথে ময়লা ফেলার ব্যাগ সাথে রাখুন যাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় ।

glasses-5971835_1280.jpg
pixabay

  • আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসই আছে যেগুলো আমার একটু মেরামত করে আবারো ব্যবহার করতে পারি। উদাহরণ হিসেবে বলা যাই আমাদের জুতো ছিঁড়ে গেলে সেটাকে একটু মেরামত করলেই কিন্তু আবারো ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠে।

  • পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগ, বোতল ও কফি কাপ ব্যবহার করতে পারি খুব সহজেই ।এছাড়া প্লাস্টিকের বদলে কাচ, ধাতব বা বাঁশের পণ্য ব্যবহার করুন।একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিকের জিনিস এড়িয়ে টেকসই জিনিস ব্যবহার করুন।

  • নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মধ্যে পচনশীল দ্রব্য ব্যবহার করুন। এমন জিনিস ব্যবহার থেকে চেষ্টা করুন যেটা সহজেই পচে যায়। পচনশীল দ্রব্য ব্যবহার করলে এটাকে যেখানেই ফেলা হোক না কেন নিজে নিজে পচে গিয়ে সার উৎপাদন করবে এবং পৃথিবীর জন্য নতুন কিছু তৈরি করবে।

  • এমন জিনিস ব্যবহারের জন্য কিনুন যেটাকে আবার রিসাইকেল করা যায়।

  • কিছু কিনতে গেলে সাথে নিজের কাছে পাটের তৈরী ব্যাগ রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়াও বাইরে গেলে নিজের খাবার ,পানির বোতল কিংবা গ্লাস সাথে রাখতে পারেন।

  • এছাড়াও আরঅনেক ছোটছোট জিনিস যেমন ,রাসায়নিকবিহীন ক্লিনিং প্রোডাক্ট ,কাপড়ের ন্যাপকিন বা তোয়ালে ,বাচ্চাদের জন্য কাপড়ের ডায়াপার ব্যবহার করতে পারেন।কোথাও গেলে জ্বালানি সাশ্রয়ী যাতায়াত পদ্ধতি বেছে নিন। একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্য এড়িয়ে চলুন।।

dental-care-4528583_1280.jpg
pixabay

What are the ways to decrease carbon dioxide in the environment?

বেশ কয়েক বছর ধরেই কার্বন নিঃসরণ শব্দটি বেশি শোনা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের মতে ,

বায়ুমণ্ডলের অন্যতম একটি গ্রিন হাউজ গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ উনবিংশ শতকের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। যা গত দুই দশকে বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক বর্তমানে গবেষণা হচ্ছে এবং বিষয়টি সম্পর্কে ক্রমশ মানুষের জ্ঞান বাড়ছে।পরিবেশকে ভালো রাখতে হলে অবিলম্বে মানুষের উচিত কার্বন জাতীয় যাবতীয় নির্গমনের পরিমাণ যতটা সম্ভব কমানো।কার্বন নিঃস্সরণ আমরা পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবো না তবে প্রতিদিনের জীবনে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমেই আমরা কিছুটা হলেও কমাতে পারব।

  • আমাদের মাঝে অনেকেরই স্বভাব থাকে, ফ্যান কিংবা আলো না নেভানোর। যখন ঘরে থাকবেন না তখন অবশই এসব বন্ধ রাখুন। এর ফলে বিদ্যুৎ এর সাশ্রয় হবে। বিদ্যুৎ এবং তাপশক্তির উৎপাদন হয় কয়লা, খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে আর এগুলো সবই কার্বনজাত দ্রব্য। তাই এদের ব্যবহার যত কম হবে কার্বন নির্গমন ততই কম হবেএবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে। সাধারণ আলোর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন এলইডি লাইট কারণ এতে বিদ্যুৎ শক্তি কম খরচ হয় এবং একই সঙ্গে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমবে।
  • বনায়ন করতে হবে কারণ গাছ CO₂ শোষণ করে অক্সিজেন ছাড়ে। তাই বেশি করে নতুন গাছ লাগাতে হবে এবং পুরাতন বনগুলোকেও সংরক্ষণ করতে হবে।

man-6542646_1280.jpg
pixabay

  • দেশের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ও জলাভূমিগুলোকে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ বিজ্ঞানীদের মতে এইসব অঞ্চল কার্বনডাইঅক্সাইড শোষণ ও ধরে রাখতে পারে।

  • জ্বালানির ব্যবহার কমাতে গাড়ির পরিবর্তে হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং প্রাইভেট কার এর পরিবর্তে সম্ভব হলে বাস, অটো, রিকশার মতো গণপরিবহন ব্যবহার করুন।

  • সম্ভব হলে ব্যাটারি চালিত যানবাহন ব্যবহার করুন।

  • শাক-সবজি খাওয়া বাড়ান এবং মাংস খাওয়া কমান।
  • যতটা সম্ভব পুরোনো জিনিসপত্র ঠিক করে ব্যবহার করুন। এতে নতুন করে উৎপাদনও করতে হবে না আর এতে কার্বন নির্গমনও হবে না।
  • এসির ব্যাবহার যতটা সম্ভব কম করা।

" What are the main reasons behind this changing climate? Share some tips to lower pollution on Earth!"

বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন একটি ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীর বিভিন্ন গতিশীল প্রক্রিয়া, সৌর বিকিরণের মাত্রা, পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক-পরিবর্তন কিংবা সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অবস্থান এর মতো প্রাকৃতিক কারণে হলেও বর্তমান সময়ে মনুষ্যজনিত গ্রিনহাউজ গ্যাসের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়নকেই জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ ধরা হয়। শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই ব্যাপকভাবে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে নিন্মোক্ত কারণগুলোকে উল্লেখ করা যায়।

  • বর্তমানে সমস্ত পৃথিবী জুড়েই বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন বেড়ে গেছে। গাছপালা কার্বন ধরে রাখে ফলে, সেই গাছ যখন কাটা হয় বা পোড়ানো হয় তখন সঞ্চিত সেই কার্বন বায়ুমণ্ডলে নিঃসরিত হয়।বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রিন হাউজ গ্যাস কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ উনবিংশ শতকের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে এবং গত দুই দশকে যা বেড়েছে ১২ শতাংশ।

fire-102450_1280.jpg
pixabay

  • সাইবেরিয়ার মত অঞ্চলে মাটিতে জমে থাকা বরফ গলতে থাকায় বরফের নিচে আটকে থাকা মিথেন গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পরতেছে। এই গ্যাসের কারণেও জলবায়ুর পৰিবৰ্তন ঘটতেছে।

  • যত্রতত্র প্লাস্টিকের ব্যবহার ও যথাযথভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় মাটি পানি ও বায়ু দূষিত হচ্ছে।

  • শিল্প বিপ্লবের পর থেকে মানব সৃষ্ট কলকারখানা, যানবাহন, শীতে ঘর গরম রাখতে তেল, গ্যাস এবং কয়লা পোড়ানো ইত্যাদি কর্মকান্ডের ফলে পূর্বের তুলনায় পৃথিবীর উত্তাপ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়ে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।

  • পেট্রল ,কয়লা ,অকটেনের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণেও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটতেছে।

  • পৃথিবী জুড়ে গাড়ি ,জাহাজ ও বিমান এর মতো যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত কার্বন-দেয়-অক্সাইড ছেড়ে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটিয়ে চলতেছে ।

  • বিশ্বজুড়ে বর্জ্য অব্যবস্থাপনা বিশেষ করে ময়লা-আবর্জনা পচে মিথেন গ্যাস সৃষ্টি করে, এবং প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে।

climate-change-6888538_1280.jpg
pixabay

পৃথিবীর দূষণ কমানোর কিছু কার্যকর উপায় নিন্মে দেয়া হলো।

  • বনভূমি কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞানীদের মতে , পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের ২০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত আমাজনের চিরহরিৎ বন থেকে। তার থেকেও বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয় এই বনভূমি। তাই প্রতিটা মানুষের উচিত বছরে অন্তত একটা গাছ লাগানো এবং একটা গাছ কাটলে তার পরিবর্তে ৪টা গাছ লাগানো।

  • প্লাস্টিকের পরিবর্তে যতটা সম্ভব পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী ব্যবহার করা উচিত।

  • জীবাশ্ম জ্বালানিযুক্ত যানবাহন যেমন ,গাড়ি ,মোটরবাইক কিংবা ট্রেন এর পরিবর্তে যতটা সম্ভব হেঁটে, রিকশা ও সাইকেল ব্যবহার করা উচিত।

hand-4082009_1280.jpg
pixabay

  • অপ্রয়োজনীয়ভাবে আলো ,ফ্যান ও এসির মতো জিনিসের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে হবে।

  • দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের বদলে কাপড়ের ব্যাগ, স্টিল বা কাঁচের জিনিসপত্রের ব্যবহার বাড়াতে হবে
    *বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোতে বিশেষ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিল্প কারখানার বর্জ্যযুক্ত পানি ফসলি জমি ,নদী-জলাশয় পানি ও এতে বসবাসকারী মাছ ও বিভিন্ন জলজ জীবজন্তুর জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিষাক্ত পানিকে পরিশুদ্ধ করার প্রতি নিয়ম-কানুন জোরদার করতে হবে।

  • পানির অপচয় কমাতে হবে।
  • স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাবার খেতে হবে সেই সাথে মাংস খাওয়ার উপর নির্ভরতাও কমাতে হবে।

environment-3751682_1280.png
pixabay

পৃথিবীটা যেহেতু আমাদের সবার তাই একে বসবাসযোগ্য করার দায়িত্বও সবার। আর এজন্য আমাদের সবারই উচিত আমাদের দৈনিন্দিন জীবনে কিছু পরিবতন এনে এই পৃথিবীকে আমাদের ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাস উপযোগী করে গড়ে তোলা।



Thank You So Much For Reading My Blog

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZgaQoCtGeKVqRDUGfrmTXsfxHraVeGpEUQ6HjQHG9igTSfqGMVa6WEJmNoG7kyP96MeJqwySjh1g.png[

Sort:  
Loading...

I wish you all the luck there is to have in this contest

 last month 

thank you so much .

You're welcome ma

 last month 

আপনি খুব সুন্দর ভাবে দূষণের কারণ এবং তা রোধ করার কার্যকর উপায়গুলি সম্বন্ধে লিখেছেন। এই প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য আমার তরফ থেকে অশেষ শুভকামনা রইলো।

 last month 

এত সুন্দর করে শুভকামনা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।