Better Life With Steem | The Diary game ,june , 9, 2025।
এবারের ঈদের ছুটি দশ দিনের। আমার বুদ্ধি হবার কখনো এতদিনে ছুটির দেখছি বলে মনে পরে না। আমার হাবি অবশ্য তার ব্যাংকে ডিউটি করেছে আরো এক্সট্রা দুই দিন।
এছাড়া ব্যাংকের বেশ কিছু শাখাতে বিশেষ করে গার্মেন্টস এর মত শিল্পাঞ্চলের কর্মচারীরা কাজ করেছে ঈদের আগ পর্যন্ত।
যাই হোক , ছুটি থাকার কারণে ঘুম থেকে উঠতেও দেরি করতেছি, ইচ্ছা মত ঘুমাচ্ছি সকালবেলা।
আজকে উঠেছি অনেকটাই বেলা করে। বারান্দায় গিয়ে দেখলাম গাছগুলোর খুবই খারাপ। দ্রুত গাছগুলোতে পানি দিলাম।
কেউই ঘুম থেকে ওঠেনি বলে আর নাস্তার ঝামেলাতেও যাই নাই। একবারে দুপুরের খাবারের জন্য ঢুকলাম। অবশ্য সেখানেও খুব একটা ঝামেলা করিনি। কারণ আগের দিনের মুরগির মাংস ছিল, সেটাকে গরম করলাম। শুধু আম ডাল, লাউ আর করলা ভাজি করলাম।
এটুকু করতে গিয়ে অবস্থা খারাপ আমার। এমন বিটঘুটে রকমের গরম পড়েছে আজকে। এর মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়ে গরম যেন আরো বেড়ে গেছে।
কেন শেষ করে পরে ছেলে এসে বললো যে, ক্যারামেলকে গোসল করাবে আজকে। ওকে গোসল করানোর কথা শুনলেই ভয় লাগে আমার।ওকে গোসল করানো মানে রীতিমতো যুদ্ধ করা।
একদিকে চিৎকার করে আরেক দিকে আচড় কাটে ও কামড়ায়। গোসল করানোর পরও ভয়ে করে কাপতে থাকে আর এটা প্রায় আধা ঘণ্টার ওপরে চলে।হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে দ্রুত শুকানো যায় কিন্তু ও প্রচন্ড রকমের ভয় পায় হেয়ার ড্রায়ারকে। ওর দিকে হেয়ার ড্রায়ার ধরলেই ও রুম থেকে দৌড়ে পালায়।
দুপুরে সবাই একসাথে খেয়ে নিয়েছি। এরই মাঝে আমার ছেলে তার বাবা প্ল্যান করতেছে যে আগামীকাল কোথাও বেড়াতে যাবে। এই প্ল্যানটা আসলে ওরা ঈদের আগে থেকেই করতে ছিলো। আসলে আমরা প্রতিবছরই কয়েক দিনের জন্য ঢাকা ছাড়ি। কিন্তু করোনার পর থেকে আর ঢাকার বাইরে খুব একটা থাকা হয়নি আমাদের।
এবার ওরা বলেছিল ঠিকই কিন্তু খুব একটা জোর ছিল না কারো কথায়। কারণ হলো ক্যারামেল। ওকে ফস্টারে রাখা যেত কিন্তু আমরা ভয় পাই এই কারণে যে অন্য বিড়াল ওকে মারতে পারে। কিংবা অন্য বিড়ালের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অসুখেও আক্রান্ত হয়ে আসতে পারে।
তাই ঠিক করা হলো যে আমরা খুব ভোরবেলা বের হয়ে যাব বাসা থেকে। আর ভাইয়ের ছেলেদের বলে যাব যাতে ওকে দিনের বেলা এসে খাবার দিয়ে যায়।
সন্ধ্যার পরে ভাবলাম আমাদের কমিউনিটির জন্য লেখা শুরু করি। কিন্তু এরই মাঝে কাজিন ও তার হাজব্যান্ড ফোন করলো যে ওদের বাসায় এখন যেতেই হবে। কাটানোর অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত যেতেই হল। বাসায় অবশ্য খুব একটা দূরে না, আমাদের গলির ভেতরেই।
এখানে গিয়ে দেখি আমার বড় ভাইয়ের ছেলেরা, তার নানা-নানী ও আরো দুই কাজিন এসেছে। ওরা বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন করেছেন।ভাতও খেয়ে আসতে বলেছিলো কিন্তু সেটা আর আমরা খাইনি।
দশটার দিকে আমরা বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে ক্যারামেলকে খাবার দিয়ে ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম। এভাবেই আজকের দিনটা কাটালাম।