Better Life With Steem | The Diary game ,june , 8, 2025।

in Incredible India26 days ago

IMG_0797.jpeg

গতকাল ঈদ থাকার কারণে সারাদিন প্রচুর ঝামেলার মাঝখান দিয়ে যেতে হয়েছে। যার কারণে রাতের বেলা খুব দ্রুতই ঘুমিয়ে পরেছিলাম। শুধু আমিই না বাসায় সবাই খুব ক্লান্ত ছিল, যার কারনে সবাই দ্রুত ঘুমিয়ে পরেছিলো।
তবে দ্রুত ঘুমালে যা হয়, মাঝরাতের পর থেকে বারবার ঘুম ভেঙ্গে যায়।

তবে সকালবেলা উঠেছিও অনেকটাই লেট করে। আমি উঠলেও অবশ্য বাকিরা উঠে নাই, তারা সবাই শুয়েছিল। যার কানে নাস্তার কোন ঝামেলা ও ছিল না।

এমনিতেও সকালবেলা আমার খুব একটা খাওয়া হয় না। আমার হাবি বাসায় থাকলে অবশ্য সে জোর করেই খাওয়ায়। কিন্তু আজকে সেও ঘুমিয়েছিলো যার কারণে আমিও নাস্তা করি নাই।

IMG_0789.jpeg

সকাল ১১ টার দিকে আমার ভাইয়ের ড্রাইভার এসে কাঁঠাল দিয়ে গেল।তাকে সেমাই খেতে দিলাম। তার জন্য আগের তিনি কোরবানির মাংস আলাদা করে রেখেছিলাম,সেটা দিয়ে দিলাম।

কথায় কথায় সে জানালো যে আজকে আমার ভাবি তার গ্রামের বাড়িতে যাবে বোনের বিয়ে উপলক্ষে। তাই আমরা যেন সম্ভব হলে আমার ভাইকে এয়ারপোর্টে দিয়ে আসি।

এটা শুনে আনি একটু অবাকই হলাম কারণ আমার জানা মতে আমার ভাই আগামীকাল শ্রীলংকা যাবে। পরে ড্রাইভার জানানোর জন্য আমার জানতে ভুল হয়েছে, সে আজকেই যাবে।

IMG_0790.jpeg

তারপরও ভাইকে কল দিয়ে শিওর হয়ে নিলাম যে আজকেই তার ফ্লাইট কিনা। ভাই জানালো যে, আজকে দুপুর একটার ফ্লাইটে এ শ্রীলংকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে।

ভাইকে দুপুরবেলা খেয়ে যেতে বললাম কিন্তু সে জানালো যে এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে খাবে। তারপরও দ্রুত রান্না শেষ করলাম এজন্য যদি বাসা থেকে সামান্য কিছু খেয়ে যায়।

কিন্তু ও দুপুরবেলা ফোন করে জানালো যে বাসায় খাবে না কিছুই।

IMG_0799.jpeg

একটার দিকেও আমাদের বাসায় চলে আসলো কারণ ওর বাসায় চাবি আমাদের বাসায় রেখে যাবে। আমি ভাবলাম যে আমিও ভাইয়ের সাথে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত যাই তাহলে আমারও একটু ঘোরা হয়ে যাবে। ঈদের কারণে পুরো ঢাকা শহর ফাঁকা হয়ে গেছে ফলে আমাদের এয়ারপোর্ট যেতে খুবই কম সময় লাগলো।

ওকে এয়ারপোর্ট টার্মিনালে নামিয়ে দিয়ে আমরা বাসার দিকে রওনা দিলাম।এসময় আমার ছেলে বলতে ছিল যে, একটু পরে তোমরা তিন ভাই বোন তিন দেশে থাকবে। এটা শুনে মনটা কিছুটা খারাপ হয়ে গেল।

IMG_0792.jpeg

বাসায় আসার আগে চলো যাই একটু সংসদ ভবনের দিকে ঘুরে যাই। শুরুতে দুপুর বলে ছেলে খুব একটা রাজি হচ্ছিল না। ও চাচ্ছিলো বিকেল বেলা আবার জন্য বের হই।

কিম্তু শেষ পর্যন্ত আমরা সংসদ ভবনের পেছনের দিকে কিছু সময়ের জন্য থামলাম। ওইখানে দাঁড়িয়ে আইসক্রিম খেয়ে আমরা বাসার দিকে রওনা দিলাম।

বাসায় এসে দেখি আবার কাজিনের ছেলে এসেছে। আমার দুইছেলে আর ও মিলে মুভি দেখলো আর ওইদিকে ওদের জন্য বিকেলের দিকে নাস্তা বানিয়ে দিলাম আমি।গ্রাম থেকে হাড়িভাঙ্গা আম এনেছে।

আমগুলো এমনিতে মিষ্টি কিন্তু সমস্যা হল উপরের শক্ত কিন্তু ভেতরে একদম নরম হয়ে গলে যায়। এগুলো কেটে ওদেরকে জুস বানিয়ে দিলাম আর সাথে কাজিনের জন্যও কয়েকটা আম দিয়ে দিলাম।

IMG_0810.jpeg

এমনিতে যদিও আমার দিনে ঘুমানোর অভ্যাস নেই কিন্তু আজকে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার সাথে সাথে ক্যারামেলও লম্বা ঘুম দিয়েছে।

ইদানীং ও ঘুমানোর একটা নতুন জায়গা পেয়েছে, বিছানার চাদরের নিচে ঢুকে ঘুমিয়ে থাকে। ঘুম থেকে উঠে ডায়েরি গেমের জন্য লিখতে বসলাম।
আর এভাবেই দিনটা কাটালাম



Thank You So Much For Reading My Blog

45GhBmKYa8LQ7FKvbgfn8zqd6W2YEX34pMmaoxBszxVcFZtXBBbvSyg7mut1UXDfs91vJBbjvRWniW7kqxJWyzxfBiUR15zUSmmBJcNfGq...Ht8czzm6jLNcmNtMoo5CkngVjPkfuaMSLwsyZ4C5H6d9jw4uJUs6CASqouF5fYyKSD1UQmTGYWz78pUD8S1PSYbAD7jA5t5jwPtEujVi2vgQth35XJdpamtpjp.png

Sort:  
Loading...