Better Life With Steem | The Diary game ,june , 6, 2025।
গতকাল রাতে আগে-ভাগেই শুয়ে পড়েছিলাম কারণ ঈদের আগের দিন হবার কারণে পরের দিন অনেক কাজ করতে হবে। এতো আগে সাধারণত আমি ঘুমাই না যার কারণে রাতে ঘুম আসতেও সমস্যা হয়েছে কিছুটা। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই হাবিকে ডেকে তুললাম।
এবার ঈদের লম্বা ছুটি ,আর এই ছুটিতে ঢাকা শহর একদম ফাঁকা হয়ে যাবে। লোকজন ঢাকা ছাড়তে শুরু করছে গতকাল থেকেই। হাবিকে আগেই বলে রেখেছিলাম আজকে বাজারে যেতে হবে। কারণ বাজার পুরোপুরি কবে চালু হবে সেটা জানা নাই।
আর এই সময়টাই আমরা চলতে পারলেও আমার বিড়াল ক্যারামেল এর জন্য মাছ লাগবে। আর ওর জন্যই মূলত বাজারে পাঠানো।
ওরা বাজারে যাওয়ার পরপরই কলিং বেল বেজে উঠলো । খুলে দেখি ছোট ছেলে তার বিধ্স্ত চেহারা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সত্যি বলতে এই সময়ে ওকে আশা করি নাই আমি।
ও এবং আমার ভাইয়ের দুই ছেলে গতকাল দুপুরের দিকে আমার গ্রামের বাড়িতে কোরবানির পশু কেনার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিল
কিন্তু কোরবানির হাট ও ঢাকা ছাড়া ঘরমুখী মানুষের জন্য প্রচন্ড জ্যামের কারণে ওদের গ্রামে পৌঁছাতে পৌঁছেতে বিকেল হয়ে যায় এবং ওরা হাতে গিয়ে পছন্দমতো কোনো পশু পায় নাই।
ওর কাছে জানতে পারলাম যে ওরা ধামরাই থেকে রাত দুইটার দিকে গাবতলী হাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে গরু কিনে বাসায় পৌঁছেছে।
ও বললো যে , ও সকালে আর কোনো নাস্তা করবে না এবং ফ্রেশ হয়ে ঘুমাবে। আমার বড়ো ছেলে ও তার বাবা বাজার থেকে আসার সময় নাস্তা নিয়ে এসেছিলো। এরপর ঘরের কাজ করতে করতে ও দুপুরের রান্না শেষ করতে করেত প্রায় দেড়টা বেজে গেলো।
আমার যদিও অন্য মানুষের মতো এই ঈদে তেমন কাজ করতে হয় না। কারণ আমি গ্রামে যাই না ,বরং ঢাকাতেই থাকি। যদিও সবাই আমাকে গ্রামে যেতেই বলে কিন্তু পশু জবাই আমি দেখতে পারি না। এই দৃশ্য আমাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে ফেলে। তাই আমায় ঢাকাতে এসব থেকে কিছুটা নিরাপদ দূরত্বে থাকি। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে আমি এই দিন বাসা থেকেও বের হই না।
দুপুরে খাওয়ার পরে ছেলেকে বললাম যে , চল ঢাকা দেখে আসি। সত্যি বলতে এই সময় ঢাকাতে ঘুরতে ভালো লাগে। কারণ এমন ফাঁকা ঢাকা ঈদ ছাড়া খুব একটা দেখা যায় না।
দুপুরে খাওয়ার পরে ছেলেকে বললাম যে , চল ঢাকা দেখে আসি। সত্যি বলতে এই সময় ঢাকাতে ঘুরতে ভালো লাগে। কারণ এমন ফাঁকা ঢাকা ঈদ ছাড়া খুব একটা দেখা যায় না।
আমরা ঘুরতে ঘুরতে গুলশানের দিকে গেলাম। সবকিছু ঠিকই চলতেছিলো কিন্তু একসময় আমারা ভুলে গরুর হাটের রাস্তায় ঢুকে পরি।এখান থেকে বের হতে গিয়ে আমাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
ফেরার পথে মিনাবাজারের সামনে থেকে ছেলেরা মোমোও বার্গার কিনলো। ফেরার পথ ভাইয়ের বাসায় গেলাম। কারণ ভাইয়ের শাশুড়ির জন্য একটা শাড়ি কিনেছিলাম সেটা আর দেয়া হয় নাই। ভাই-ভাবি বর্তমানে হজ পালনের জন্য সৌদিআরবে আছে এজন্য ভাইয়ের শশুর শাশুড়ি ভায়ের বাড়িতেই অবস্থান করতেছে।
তাই এই সুযোগে শাড়িটাও দিয়ে আসলাম। বাসায় এসে ডায়েরি গেম লিখতে বসলাম। আর এভাবেই দিনটা কাটালাম আমি।
@pandora ,
Thank you so much for your encouraging support ,ma'am.