Better Life With Steem | The Diary game ,August , 16 , 2025।
সকালবেলার চোখ খুলেই মনে হলো ছেলেটার কি অবস্থা। কোন মতেই থেকে ওকে ডাক্তারের কাছে নিতে পারতেছি না। আমার মা বলতো বাচ্চারা যতদিন ছোট থাকে ততদিনই শান্তিতে থাকা যায়।কেন যে বলতো এখন সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
প্রতিদিনই শুধু আজ না কাল করে সময় নষ্ট করতেছে। গত রাতে ওর শরীরের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাওয়ার পরে আমার এক ডাক্তার ভাগ্নের বৌকে কল দিয়ে তার কাছ থেকে ওষুধ লিখে নিয়েছি। সেই সাথে রাত ১২ টার দিকে ভাইয়ের বাসা থেকে নেবুলাইজার মেশিন নিয়ে এসেছি।
বিছানা ছেড়ে ওর কাছে গিয়ে দেখলাম ঘুমাচ্ছে। এরপরে বারান্দায় গিয়ে গাছগুলোতে পানি দিলাম। ওরাও আমার কাছে সন্তানের মতোই।ঠিকমতো যত্ন না নিলে দুদিনেই শুকিয়ে মারা যায়।
চোখ পরলো আমার ঘাসের গাছের গাছগুলোতে।
এই ঘাসগুলো চিটাগং থেকে নিয়ে এসেছিল আমার ছেলে ক্যারামেলকে খাওয়ানোর জন্য। এতো দূর থেকে আনা ঘাসগুলো বাঁচবে এটা আমি ভাবি নি। আনার পর লাল হয়ে গিয়েছিল কিন্তু আবার নতুন করে পাতা গজিয়েছে।
বিড়ালেরা ঘাস খুব পছন্দ করে। এটা হয়তোওদের হজমেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আমার ছেলে ক্যারামেলের জন্য আনলেও ক্যারামেল খেতে পারেনি। কারন তার কয়েকদিন পরেই ক্যারামেল মারা গিয়েছিলো। এখন অবশ্য আ্যসগার্ডকে খাওয়াচ্ছি।
প্রকৃতিকে নষ্ট না করলল সে খুব সহজেই নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন। অরিগ্যানো গাছের দিকে তাকিয়ে থেকে এই কথাটাই মাথার মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ছোট্ট একটা ডাল ভেঙে এনেছিলাম ভাইয়ের বাসা থেকে।
যে টবে লাগিয়েছিলাম সে টবটাও খুব একটা বড় না কিন্তু ঘন হয়ে অরিগেনো গেছে ভরে গেছে পুরো জায়গাটা।ওর জন্য অন্য কোন গাছ খুব একটা জায়গা পাচ্ছে না।
অথচ এই অরিগ্যানো আমি যদি বাজার থেকে কিনতে যাই তাহলে আমাকে অনেক দাম দিয়ে কিনতে হবে।
বারান্দার পানি দেওয়া শেষ করে হাজবেন্ডকে ডেকে তুললাম বাজারে যাওয়ার জন্য। ডাকতে গিয়ে একজন অপরাধবোধে ভুগতে ছিলাম কারণ তারও শরীরটা খুব একটা ভালো না।
আজকে আমার কাজিনকে সাথে নিয়ে আমার ইয়ামাগাতা হসপিটালে যাওয়ার কথা। আসলে কাজিনকে আমরা দুইভাইবোনই মূলত কোন ডাক্তার দেখাতে হবে সেই দায়িত্ব পালন করতেছি।
একারনেই দ্রুত দুপুরের রান্না শেষ করার চেষ্টা করলাম।বাসা থেকে বের হবার কিছু সময় আগে ভাই কল দিয়ে জানালো যে আমার না গেলেও চলবে। ও যাবে কাজিনকে নিয়ে।
দুপুরের খাবারটা পরিবারের সবাই একসাথেই খেলাম।সপ্তাহের এই দুটো ছুটির দিন এই দুপুরের খাবারটা একসাথে খাওয়ার চেষ্টা করি আমরা।
এরই মাঝে ভাই কল দিয়ে জানালো যে, আমার কাজিনের পায়ে রক্ত চলাচল করতেছে না, পা একদমই ঠান্ডা যার কারণে হয়তো বা পা কেটে ফেলতে হতে পারে। অবশ্য আরো একজন ডাক্তার আসবেন তিনি দেখার পরে সিদ্ধান্ত দিবেন।
এটা শুনে মনটা একদমই খারাপ হয়ে গেল। আমাদের শরীরের অঙ্গ যতক্ষণ আমাদের সাথে থাকে ততক্ষণ আমরা তাকে গুরুত্ব দেই না। অথচ সামান্য কেটে গেলেই বোঝা যায় যে কতটা প্রয়োজনীয়।
এর পরে বিকেলের দিকে এক এই বেড়াতে এসেছিল। ছুটির দিন ছাড়া আসলে কেউই তেমন একটা বাসা থেকে বের হবার সময় পায়না। তাই তার সাথে অনেক দিন পরে একটা আড্ডা দেয়া হলো।
এভাবেই দিনের অনেকটা সময় কেটে গেল