ফোনের গ্যালারিতে পাওয়া কিছু ছবি ও তার সাথে কিছু এলোমেলো ভাবনা।

in Incredible India3 months ago (edited)

IMG_5738.jpeg

এক ছুটির দিনের প্রচন্ড গরম এক দুপুরে আমরা হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেই যে কোথাও যাবো ।বেশিরভাগ সময়ই আমাদের বেড়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এভাবেই নেয়া হয়ে থাকে ।কই যাবো সেটা না ভেবেই বের হয়ে পরি।সেদিনও এমনি ভাবেই গিয়েছিলাম তুলনামূলক ভাবে নির্জন নদীর ধারে ।নদী অবশ্য একটা ছিলো না এই জায়গাতে ।৩টা নদী এসে মিলিত হয়েছে ।
এই ৩ নদীর একটার নাম বুড়িগঙ্গা ছিলো এটা মনে আছে । নদী সবসময়ই কাছে টানে আমাকে।সেদিন অবশ্য আমাদের সাথে আমার বড় ভাই , ভাবি ও আমার ২ ভাতিজা সাথে ছিলো।
চমৎকার একটা বিকেল আমরা সেখানে কাটিয়ে ফেরত আসি বাসায়।

IMG_6507.jpeg

এই জায়গাগুলো আমাদের দেশের ফ্লাডজোন।এমন জায়গা শুধু আমাদের দেশেই না পৃথিবীর অনেক দেশেই থাকে।কিন্তু আমাদের দেশে খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন জায়গা ,ছোট্ট দেশ আর ঘনবসতিপূর্ণ জনসংখ্যার কারণে।ফোনের গ্যালারিতে ছবিগুলো দেখতে দেখতে এই প্রসঙ্গটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো ।
খুব বেশিদিন হয়তো আর এইরকম জায়গাগুলো খুব বেশি থাকবে না।অবশ্য উল্টোটাও হতে পারে ।কারন প্রকৃতি কোনকিছুরই বাড়াবাড়ি পছন্দ করে না।সে তার মতো করে সবকিছু ঠিক করে নেয়।

একসময় পুরো পৃথিবীতে গাছেরা রাজত্বে করেছে।তখন পৃথিবীজুড়ে ঠান্ডা নেমে এসেছিলো ।সেই ঠান্ডায় সব গাছ মারা গিয়েছিলো।সেই সব গাছ এর মৃত্যু অবশ্য আমাদের জন্য লাভজনক হয়েছে ।আমরা পেট্রল ,অকটেন ইত্যাদির মতো জ্বালানি পাচ্ছি আর তার উপর ভর করেই আমাদের সভ্যতার চাকা এগিয়ে চলেছে তরতর করে।

আবার এখন আমরা বাড়াবাড়ি করছি ।যার ফলে পৃথিবী জলবায়ু আবারও পাল্টে যাচ্ছে।আর এর ভয়াবহ পরিনতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।১৯৭৪ সালের পর থেকে ষষ্ঠ অবলুপ্তি শুরু হয়েছে ।এতে করে ৭৫% জীবজন্তু ,উদ্ভিত সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে ।

IMG_6433.jpeg

এগুলো অবশ্য আমার কথা না, বিজ্ঞানীদের কথা । কয়েকদিন আগে কোন এক নিউজ চ্যানেলে দেখলাম এক ভারতীয় বিজ্ঞানি বলতেছিলো যে , আগামী ১০/১২ বছরের মাঝে সুন্দরবন ও মাঝে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল পানির নিচে চলে যাবে।
এটাতো তিনি শুধুমাত্র তার দেশের কথা বলতেছিলেন।
আামাদের দেশেওতো এমন প্রভাবই পরবে। আরেক টিভি নিউজে দেখলাম ,আর কিছুদিন পরে মৃদু ভূমিকম্প বলে আর কিছু থাকবে না।সবই বড়ো বড় ভূমিকম্প হবে ।শুধু ভূমিকম্প না সবকিছুর ঝড় , আগ্নেয়গিরি সবকিছুর ক্ষেত্রেই একই রকম হবে।

IMG_6497.jpeg

জলবায়ুর পরিবর্তন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ফল্টলাইনগুলোকে এমনকি সুপার ভলকানোগুলোকেও ক্রমশ একটিভ করে তুলছে।এজন্যই হয়তোবা বিজ্ঞানি হকিংস বলেছিলেন যে এখন সময় হয়েছে উপর দিকে তাকানোর।
সত্যি বলতে আমি প্রচন্ডরকম ভয় পাই।আমার ছেলেরা বলে ,এসব নিয়ে ভাবো কেন।আমি আসলেই ভাবতে চাই না কিন্তু ভাবনা এসে পরে।
ইন্টারস্টেলার মুভিতে যেমন নতুন বসবাসযোগ্য গ্রহের খুঁজে বের হয়ে সত্যি সত্যি একদিন খুঁজে বের করেছিলো ,বাস্তবেও যদি এমন হতো তাহলে ভালোই হতো ।হয়তো একদিন মুভির বাস্তবেই পরিনত হবে ।



Thank You So Much For Reading My Blog

3KyYabPY3g77mhATvBAAUF5zNR1CtqkeWauN9MRyWDCSJJeN9WZVXxTFs1osy6uhZisoaiFyWVDNasfkuL6TCt1ktBsbpzwrjDQjD5Whfk...ZaM9uuYHaeW4UUPGGgs2cmDJiTjepqhtQSaepYYFHTcDDjyKwJFNySU1pqwEMpSESQC3Gn7hqBvLRjSYsY6BdDKRgFVbQR2Yp7VjXiG9Wvs5d8nxs9LuoDTwMx.png

Sort:  
Loading...
 3 months ago 

আপনার মত আমারও ফোনের গ্যালারিতে বিভিন্ন ধরনের ছবি দেখলেই এলোমেলো চিন্তাভাবনা মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়ায়। আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লাগছে। তবে মাঝে মাঝে এমন ধরনের চিন্তাভাবনার মাথায় ঘুরপাক খায় এমনি অস্বস্তি লাগে চার দেওয়ালের মধ্যে নিজের দম বন্ধ হয়ে আসে। আপনার এলোমেলো চিন্তাভাবনা গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।