মায়ের পছন্দের কুচো চিংড়ির ভর্তা বানালাম (কুচো চিংড়ির ভর্তা) রেসিপি //৩০-০১-২০২৫
আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি।আমি এবং আমার ছেলে খুবই অসুস্থ ছিলাম যার জন্য কোন কাজ করা হয়নি।প্রত্যেকটা মায়ের কাছেই সন্তান অসুস্থ হওয়া মানে তাদের পুরো পৃথিবী উলটপালট হয়ে যাওয়া। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে,সবার দোয়াতে আমার ছেলে এবং আমি সুস্থ আছি।
আমরা বাঙালিরা গরম ভাতের সাথে ভর্তা খুব পছন্দ করি। আমার কাছে বিভিন্ন রকমের ভর্তা ভালো লাগে।আমি প্রায় সময়ই খাবার মেনুতে অনেক রকমের ভর্তার আইটেম রাখি।তো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে আমার নিজ হাতে বানানো কুচো চিংড়ির ভর্তা রেসিপি তুলে ধরার জন্য।
কুচো চিংড়ির ভর্তা বানানোর জন্য। আমার যা যা উপকরণ লেগেছে আমি সব নিচে তুলে ধরলাম।👇
নং | উপকরণ |
---|---|
১. | কুচো চিংড়ি |
২. | পেঁয়াজ কুচি |
৩. | রসুন কুচি |
৪. | কাঁচা মরিচ |
৫. | ধনেপাতা |
৬. | লবন ও সরিষার তেল |
প্রথমে আমি কুচো চিংড়ি গুলো লবণ দিয়ে কড়াই এর মধ্যে ভেজে নিয়েছি।চুলার জ্বাল একেবারে কম তাপে রেখে আমি কুচো চিংড়ি গুলো ভেজেছি।অনেক বার নাড়াচাড়া করে যখন চিংড়ির পানি গুলো শুকিয়ে আসে তখন আমি নামিয়ে নিয়েছি। তারপর কাঁচা মরিচ এবং রসুন কুচি গুলো অল্প তেলের মধ্যে ভেজে নিয়েছি।
ভর্তা বানানোর জন্য আমি শিলপাটা ব্যবহার করেছি।প্রথমেই আমি পাঠাতে কাঁচা মরিচওরসুন ভাজা গুলো দিয়েছি অল্প পরিমাণ লবণ দিয়ে।তারপর আমি এগুলো বেটে নিয়েছি খুব ভালো করে। প্রথমবার বাটাতে কাঁচা মরিচের বিচি গুলো মিশে যায়নি,তাই আমি আরেকবার বাটা দিয়েছি কাঁচামরিচগুলো।তারপর আমি একটি চামচের সাহায্যে এগুলো এক সাইডে রেখেছি।হাতে ধরলে হাত অনেক জ্বালাপোড়া করে তাই আমি চামচ ব্যবহার করেছি।
তারপর আমি আগে থেকে ভেজে নেওয়া কুচো চিংড়ি গুলো বাটার জন্য শিলপাটাতে দিয়েছি।আমি খুব ভালো করে চিংড়িগুলো বেটে নিয়েছি যাতে একটুও দানা না থাকে।তারপর আমি পেঁয়াজ কুচি দেই।তারপর সবগুলো একসাথে বেটে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে মেখে নিয়েছি ।
আমি সব ভর্তাতেই সরিষার তেল ব্যবহার করি।তারপর আমি ধনেপাতা দিয়ে ভর্তা গুলো মিশিয়ে নিয়েছি।এভাবেই আমি বাসায় কুচো চিংড়ির ভর্তা বানিয়ে থাকি।
গরম ভাতের সাথে চিংড়ির ভর্তা আমার খুবই ভালো লাগে।আমার পরিবারের সবাই এভাবে ভর্তা বানালে খেতে পছন্দ করে।রান্নাবান্না আমার খুব ছোটবেলা থেকেই ভালো লাগে।আমি সব সময় নতুন নতুন রান্না শিখতে ভালোবাসি। ছেলের অসুস্থতার জন্য নিজেরও শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না যার জন্য কোন কিছুই পোস্ট করতে ভালো লাগেনি।গতকাল থেকে আবার নতুন দায়িত্ব কাধে দিয়েছি।যার দরুন নিজেকে আরো ব্যস্ততার মধ্যে জড়িয়ে ফেলেছি।
আজ এখানেই শেষ করছি। আপনাদের সবার জন্য দোয়া এবং আশীর্বাদ রইলো।
Device | captured by | Location |
---|---|---|
RealmeC63 | Myself | Bangladesh |
X promotion link
https://x.com/EmaEm21101/status/1884940769817141401
চিংড়ি মাছ খেতে ভীষণ ভালোবাসি, সেটা ক্ষুদ্র চিংড়ি হোক বা বড় চিংড়ি। অনেক সময় তো চিংড়ি মাছ ভাজতে ভাজতে খাওয়া শুরু করে দিই। আজকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে চিংড়ি মাছের ভর্তা শেয়ার করেছেন। এভাবে বাড়িতে কোনদিন বানিয়ে খাওয়া হয়নি। আপনি উপকরণ ও ছবিসহ সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি একজন ভর্তা পাগল মানুষ আমি সর্বদাই চেষ্টা করি যত রকমের ভর্তা আছে সব রকমের ভর্তা বানিয়ে খাওয়ার জন্য চিংড়ির ভর্তা তার মধ্যে অন্যতম তবে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে যে ভর্তা তৈরি করা হয় সরিষার তেল দিয়ে ওই ভর্তা অনেক মজা লাগে তার সাথে যদি একটু মাছ ব্যবহার করা হয় তাহলে তার কোন কথাই নেই।
আজকে আপনি চমৎকারভাবে চিংড়ি ভর্তা কিভাবে তৈরি করতে হবে সেই রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আমিও ঠিক একইভাবে শেয়ার করি তবে অতিরিক্ত ঝাল দেয়ার কারণে আমার ফ্যামিলির সবাই আমাকে বকাবকি করে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চিংড়ি ভর্তা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।