The March contest #2 by sduttaskitchen|School life Vs college life!
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে। আজ আমি অংশগ্রহণ করতে চলেছি, কমিউনিটিতে অ্যাডমিন ম্যাম কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক কনটেস্টে, যার বিষয়বস্তু অন্যান্য সপ্তাহের মতোই আকর্ষণীয়।
আমার বিশ্বাস ইতিমধ্যে আপনারা সকলেই পোস্টটি পড়েছেন এবং নিজেদের জীবনের স্কুল ও কলেজ জীবনের বেশকিছু স্মৃতি উঁকি দিয়েছে। আপনাদের মনেও অসংখ্য স্মৃতির ভিড় জমা হয়েছে। চোখের সামনে এমন অনেক মুখ ভেসে উঠেছে যাদের সাথে দীর্ঘদিন দেখা হয় না।
আজ এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেই সকল স্মৃতি, সেই সকল মুহূর্তগুলোর আরও একবার পুনরাবৃত্তি হোক। সকলেই অংশগ্রহণ করে নিজেদের স্কুল ও কলেজ জীবনের স্মৃতির কথা শেয়ার করুন, এইটুকুই কাম্য। আমিও এবার আমার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো,
|
---|
প্রশ্নটি আমার জন্য খুবই কঠিন। কারণ আমার জীবনের স্কুল ও কলেজ দুটির ভূমিকাই যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমন সুন্দর স্মৃতিতে ভরা। সত্যি বলতে আজ যখন পিছনে ফিরে তাকাই, কোনো খারাপ স্মৃতির কথা মনে পড়ে না।
তখন যা খারাপ লাগা ছিলো সেটাও যেন আজ ভালোলাগার খাতায় জমা হয়েছে। কারণ তখনকার খারাপ লাগা গুলো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শাসন, খেলার ছলে বান্ধবীদের সাথে করা ঝগড়া মারামারি, সবকিছুই যে জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, আজ অনেকগুলো বছর পেরিয়ে তা উপলব্ধি করতে পারি। তাই এই সকল কারণকে ঘিরে তখনকার খারাপ লাগা গুলো আজ ভালোলাগা হিসেবেই গণ্য করি।
তবে যদি বেছে নিতেই হয় তাহলে আমি কলেজ জীবনকেই বেছে নেবো। কারণ স্কুল জীবনে অনুশাসন থাকবে, নিয়মানুবর্তিতা থাকবে এটা সকলেই জানতাম। তবে সেই সময়ে সবথেকে আগ্রহী ছিলাম কলেজ জীবনে যাওয়ার জন্য। যখন দেখতাম দিদিরা নিজেদের মতো কলেজে যায়, সময়ের আগেই বাড়িতে ফিরে আসে,বান্ধবীদের সাথে মাঝেমধ্যে সিনেমা দেখতে যায়, তখন স্কুল জীবনের এই নিয়মগুলো বড্ড বিরক্ত লাগতো। তবে বিশ্বাস করুন যখন শাসন বিহীন কলেজ জীবনে প্রবেশ করলাম, তখন কোথাও যেন পাখির মতো নিজেকে মুক্ত মনে হতো।
দীর্ঘদিন খাঁচায় বন্দি থাকার পর যখন পাখিকে ছেড়ে দেওয়া হয়, ঠিক তখনকার পাখির মতন নিজেকেও একেবারে স্বাধীন মনে হয়েছিলো। যখন প্রথম কলেজে গিয়েছিলাম তখন নিয়মিত ক্লাস করতেই হবে, ভালো না লাগলে ক্লাসে বসে থাকতেই হবে, এই বিষয়গুলি জীবনে নেই। এটা ভাবতেই তখন ভালো লাগতো।
বন্ধুদের সাথে অবাধ আড্ডা, ঘন্টার পর ঘন্টা কলেজ ক্যান্টিনে বসে গল্পের আসর, আর সব থেকে যে বিষয়টা উপভোগ করেছি সেটা হলো ছেলে মেয়ে একত্রে বন্ধু হয়ে ওঠা। কারণ গার্লস স্কুলে পড়ার সুবাদে কখনো ছেলে বন্ধু তেমন ভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই একই ক্লাসের ছেলে মেয়ে উভয়ে ক্লাস করা যায়, আড্ডা মারা যায়, ঘোরা যায়, এই বিষয়গুলো কলেজ জীবনে সবথেকে বেশি অনুভব করেছি।
স্কুলে যাওয়ার সময় বরাবরই পায়ে হেঁটে যেতে হতো। তবে ইলেভেন টুয়েলভে পড়ার সময় দু'বছর সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করেছি। কিন্তু কলেজে যাওয়া মানে বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে ট্রেনে করে আড্ডা দিতে দিতে কলেজে পৌঁছানো, তার আনন্দ অন্যরকম ছিলো। তবে ওই যে শুরুতেই বললাম, আমার জন্য স্কুল কলেজ দুটোই আনন্দের স্মৃতি বহন করে। তবে ভিন্ন ধর্মী আনন্দের স্বাদ প্রথম কলেজে পেয়েছিলাম, এই কারণেই কলেজটাকে প্রাধান্য দিলাম।
|
---|
একদিকে আমি স্কুল জীবনের দিদিমণিদের সেই শাসনগুলো মিস করি, যেগুলো আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার জন্য, ওনার করতেন। তবে একথা অস্বীকার করব না যে, সেই সময় ওনাদের সকলের উপরে যথেষ্ট রাগ ও বিরক্তি তৈরি হতো। কারণ তখন এটা বোঝার মতনই বয়স হয়নি যে, এই সবটাই আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ওনরা করছেন। আজ যখন সত্যিই তেমনভাবে শাসন করার কেউ নেই, তখন ফেলে আসা সেই মানুষগুলোকে খুব মিস করি, যারা নিজের সন্তানের মতন স্নেহের শাসনে দিনের বেশিরভাগ সময় আমাদেরকে আগলে রাখতেন।
একই রকম ভাবে কলেজ জীবনের সেই অবাধ স্বাধীনতাকেও মিস করি। যেখানে বাড়ি থেকে বেরিয়ে, বাড়িতে ফেরার আগে পর্যন্ত স্বাধীন ভাবে আড্ডা দেওয়া, গল্প করা, ইচ্ছে হলে ক্লাসে যাওয়া, ইচ্ছে না হলে ক্যান্টিনে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা সমস্ত কিছু চলতো। আজ জীবনের এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, যেখানে সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য শাসন করার যেমন কেউ নেই, তেমনি অবাধ স্বাধীনতায় মন খুলে আড্ডা দেওয়ার মত মানুষেরও খুব অভাব। তাই এই দুটো জিনিসকেই ভীষণভাবে মিস করি।
|
---|
স্কুল জীবনের একটা ঘটনা আমার খুব মনে পড়ে, পড়াশোনায় খুব একটা খারাপ ছিলাম না প্রথম থেকেই। কিন্তু ক্লাসের প্রথম সারির মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব কখনো সেই ভাবে গড়ে ওঠেনি। কারন যারা আমার প্রিয় বান্ধবী ছিলো, তারা পড়াশোনায় ততখানিও ভালো ছিল না। ফলতো ক্লাস চলাকালীন তারা বেশিরভাগ সময় পিছনের দিকেই বসতো এবং তাদের সাথে আমিও সঙ্গ দিতে পেছনের সারিতে বসতাম।
বাংলা বরাবর আমার খুব প্রিয় বিষয় ছিলো। ক্লাসে যারা প্রথম হতো, তারা অন্যান্য বিষয়ে আমার থেকে এগিয়ে থাকলেও বাংলায় আমার থেকে বেশি নম্বর আমার ক্লাসে কেউ পেতো না। প্রতিবার রেজাল্ট বেরোলে আমার শিক্ষিকা একটু অবাক হতেন এবং আমাকে বারংবার সামনের দিকে বসতে বলতেন। এক দুদিন বসার পর আবার সেই পিছনে গিয়েই বান্ধবীদের সাথে বসতাম।
আজও আমার সেই দিনের কথা মনে পড়ে, যখন মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পর রেজাল্ট আনতে গিয়েছিলাম এবং বাংলা শিক্ষিকা আমাকে পেছন থেকে ডেকে নিজে কথা বলেছিলেন। তার কথায় আমাকে নিয়ে তার গর্ব স্পষ্ট ছিলো। তিনি অন্য আরও দুজন টিচারকে ডেকে বলেছিলেন, -"এই মেয়েটি আমার ক্লাসে কখনোই নিয়মিত পড়া দিতো না কিন্তু, বরাবর ও বাংলায় সবার থেকে বেশি নম্বর পেতো। মাধ্যমিকেও যে ও এটা ধরে রাখতে পেরেছে, এটা ভাবতেই আমার ভালো লাগছে।" ম্যামের ওইটুকু কথাই সেদিন আমার সবথেকে বড় প্রাপ্তি ছিলো।
কলেজ জীবনের কথা যদি বলি, এই মুহুর্তে একটা দিনের কথা ভীষণ মনে পড়ে। যেদিন কোনো একটা কারণে ধর্মঘট চলছিল এবং ট্রেন বন্ধ ছিলো। তবে ওই যে বললাম মুক্ত পাখির মতন তখন আমরা সকলেই স্বাধীনতায় মত্ত ছিলাম। যদিও জানতাম সেদিন ট্রেন চলবে না, তথাপি আমরা ঠিক করেছিলাম সকলে হেঁটে হলেও কলেজে যাবো। যেহেতু একটা স্টেশনের দুরত্বেই আমাদের কলেজ ছিলো।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ, সাইকেল নিয়ে মসলন্দপুর স্টেশন পর্যন্ত এসে সাইকেল গ্যারেজ করে, আমরা রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করেছিলাম। যে রেল লাইনের উপর দিয়ে আমরা ট্রেনে করে প্রতিদিন কলেজ যেতাম, সেই লাইন বরাবর হেঁটেই আমরা কলেজ পৌঁছেছিলাম সেদিন। সে এক অদ্ভুত আনন্দ।
একসাথে দল ধরে ছেলেমেয়েরা হেঁটে চলেছে কলেজের উদ্দেশ্যে, দেখে খানিক মনে হচ্ছিলো যেন কোনো রেলি বেরিয়েছিল। সত্যি বলতে তখনকার দিনে ফোন ছিল না বলে হয়তো সেই স্মৃতিগুলোকে ছবিতে ধরে রাখা হয়নি। এটা ভেবে কখনো কখনো আফসোস হয়। আবার কখনো কখনো মনে হয় ছবি থাকলে হয়তো ঐ দিনগুলো স্মৃতিতে এতো উজ্জ্বল থাকতো না।
|
---|
যাইহোক এরকম আরও অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে, যেগুলো একটা পোস্টের মধ্যে লিখে শেষ করা সম্ভব নয়। তবে যেগুলো এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি মনে পড়ল, সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের জেনে ভালো লাগবে সেই স্কুল এবং কলেজের বন্ধুদের সাথে আজও যোগাযোগ আছে আমার। হয়তো সবসময় আমাদের দেখা করা সম্ভব হয় না, কিন্তু আমাদের প্রায়শই কথা হয় স্মৃতিতে স্মৃতিতে।
"আমি আমন্ত্রন জানাই -@adylinah , @mou.sumi ও @sairazerin কে |
---|
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
আর জায়গা থেকে আপনি ২ জীবনটাকে অনেক বেশি মিস করছেন সেটা হচ্ছে স্কুল জীবন এবং আপনার কলেজ জীবন তবে আপনার স্কুল জীবনে আপনার বড় দিদিদের কথা আপনার অনেক বেশি মনে পড়ছে যারা কেনা পড়াশোনার জন্য আপনাকে অনেক বেশি চাপ সৃষ্টি করত আপনার আবার তাদের উপর অনেক রাগ হত যেটা আপনার পোস্ট করে দর্শন করে বুঝতে পারলাম অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ভালো থাকবেন।