The March contest#1 by sduttaskitchen|Children are replicas of the almighty.
![]()
|
---|
Hello,
Everyone
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। যদিও এই মুহূর্তে আমি হসপিটালেঈ বসে আছি, তবুও ভাবলাম আজ আমি কমিউনিটিতে চলমান একটি কন্টেস্টেই অংশগ্রহণ করবো।
যদিও ভেবেছিলাম আগেই অংশগ্রহণ করবো, কিন্তু বিভিন্ন কারণে হয়ে ওঠেনি। তারপর তো হসপিটালেই আসতে হলো। যাইহোক ইতিমধ্যে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তবে যারা এখনো অংশগ্রহণ করেননি প্রত্যেককে অনুরোধ করবো এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনাদের সকলের জন্য পোস্ট লিঙ্কটি আরও একবার শেয়ার করলাম। চলুন এবার আমি আমার নিজস্ব মতামত উপস্থাপন করি,-
|
---|
অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি শিশুরা ঈশ্বরের প্রতিরূপ। কথায় আছে যারা শিশু এবং ফুল ভালোবাসে না, তারা কখনোই ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে না। কারণ এদের মতো নিষ্পাপ এই পৃথিবীতে আর কিছুই নেই।
একটু গভীরভাবে ভাবলে এই বিষয়টির সত্যতা সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে। ফুলের কাছে যেমন কোনো জাতী, ধর্ম, বর্নের পার্থক্য নেই, ঠিক তেমনিই বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও তাই। শুধু ভালোবাসা ও যত্ন দিয়ে এই দুটি জিনিসকেই আগলে রাখা সম্ভব।
তাই সেই দিক থেকে যদি বলি বাচ্চাদের কাছে আপন-পর, কাছের-দূরের কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। ওদের জন্য যেটা জরুরী সেটা হলো তাতে কে ভালোবেসে আগলে রাখছে। কারন বাচ্চারা মানুষের মনের ভিতরের অনুভূতি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে।
তাই খুব কাছের মানুষ হয়ে যদি তাকে কেউ ভালো না বাসে সেটা যেমন ওরা বুঝতে পারে, তেমনি নিজের কেউ না হয়ে ও যারা সত্যিই মন থেকে ওদের ভালোবাসে, তাদের কাছে ওরা খুব সহজেই চলে যায়। বড়রের মতন হিসেব নিকেষ ওরা বুঝতে পারে না, ওরা শুধু বোঝে কারা নিঃস্বার্থভাবে ওদের ভালোবাসে, আর তাদের কাছেই ওরা খুব ভালোভাবে থাকে।
ঈশ্বরও ঠিক তেমনিই। ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য অনেক টাকা পয়সার প্রয়োজন নেই, তাকে খুশি করতে যা প্রয়োজন তা হলো ওনার প্রতি ও অন্যান্য মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালোবাসা, নমনিয়তা ও মানবিকতা। তাই এ কথা বলা একেবারেই ভুল হবে না যে, শিশুরা ঈশ্বরেরই প্রতিরূপ।
|
---|
একটি শিশু জন্মের পর থেকে তার আশে পাশের সকল বড়দের দেখলে সবকিছু শেখা শুরু করে। তাই যখন শিশুর একটু বোঝার মত বয়স হয়, তখন সবার প্রথম বড়দের উচিত নিজেদের ব্যবহার, কথাবার্তা ও আচরণের প্রতি সতর্ক হওয়া। আমরা শুধু যদি এটা করতে পারি, তাহলে শিশুরা অনেক গুলো জিনিস আমাদেরকে অনুকরণ করে শিখতে পারবে।
আমাদের জীবনে ভালো ভবিষ্যতের জন্য পুঁথিগত বিদ্যা অবশ্যই জরুরী। আজকালকার দিনে বড়রা সেই দিকটাতেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।তাই পড়াশোনা শেখানোর প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে আমার মনে হয় পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পর্কেও প্রতিটি শিশুকেই বড়দের শেখান উচিত।
একটি শিশু তার পরিবার পরিজনদের কাছে অনেক আদরের হয়। তবে এই আদর করার পাশাপাশি শাসনের পরিভাষাও বাচ্চাদের শেখানো উচিত। আদরের আড়ালে অনেক সময় আমরা বাচ্চাদের খারাপ অভ্যাস গুলোকে প্রশ্রয় দিই, যেটা একেবারেই করা উচিত নয়। কারণ ভবিষ্যতে সেই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করাই সবথেকে কঠিন হয়। শিশুদের প্রতি আদর এবং শাসনের ভারসাম্য যদি আমরা বড়রা বজায় রাখতে পারি, তাহলে শিশুদের জীবন সম্পর্কে সঠিক ধারণা তৈরি হয়।
সামাজিক জীব হিসেবে আমাদের সমাজের মানুষের প্রতিও কিছু দায়বদ্ধতা থাকে, যেটা প্রতিটি শিশুকেই ছোটবেলা থেকে সেখানে উচিত। বড়দের প্রতি আচরণ ,ছোটদের প্রতি আচরণ, ও সমবয়সীদের প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে কি কি জিনিস আমরা করতে পারি, কি কি ভাষা ব্যবহার করতে পারি, আর কি কি করা একেবারেই অনুচিত, সেই সম্পর্কে ধারণা খুব ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদেরকে শেখানো প্রয়োজন। তাহলেই অন্যদের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করতে শিখবে ওরা।
আমার মনে হয় জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে সৎ থাকা কতটা জরুরী, সততার সাথে জীবন কাটালে কতখানি আত্মতৃপ্তি নিয়ে বাঁচা যায়, সেই স্বাদ খুব ছোটবেলা থেকেই বাচ্চাদেরকে বুঝতে দেওয়া উচিত। তাহলে তারা কখনোই অসৎপথ অবলম্বন করার ইচ্ছা প্রকাশ করবে না।
উপরোক্ত সমস্ত বিষয় বাচ্চাদেরকে শেখানোর মানে এই নয় যে, বাচ্চারা কখনো কোনো ভুল করবে না। তবে ভুল করা যতটা না অন্যায়, ভুল করে সেটা স্বীকার না করাটা আরো বেশি অন্যায়। তাই ভুল করা এবং সেটাকে স্বীকার না করার মধ্যে যে পার্থক্য আছে, সেটা অবশ্যই প্রতিটি বাচ্চাকে ছোটবেলা থেকে বোঝাতে হবে।
তাহলে ভুল করার পরও সেটাকে স্বীকার করতে তাদের মধ্যে কোনোরকম দ্বিধা কাজ করবে না। আমার মনে হয় এই বিষয়গুলি যদি একটা শিশুকে ছোটবেলা থেকে শেখানো যায়, তাহলে সেই বাচ্চাটি ভবিষ্যতে নিজের জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
|
---|
একদমই তাই পারিবারিক পরিবেশ একটা বাচ্চাকে সঠিকভাবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে জরুরী। এই কারণেই বোধহয় পরিবারকে শিশুর প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র বলা হয়। কারণ পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে আমাদের জীবনের যা কিছু শিক্ষনীয় বিষয়, তার সবটাই আমরা শিখি পরিবারের কাছ থেকে। তাই সেই ক্ষেত্রে পরিবারই আমাদের জীবনের সঠিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
এই কারণেই আমি শুরুতেই এই কথাটি বলেছি যে, বাচ্চাদেরকে বড়রা কি কি শিক্ষা দিতে পারে এই বিষয়টি যতটা জরুরী, ঠিক ততখানি জরুরী হলো বড়রা যাতে নিজেদের আচরণের ভুলটা বুঝতে পারে এবং সেটা পরিবর্তন করতে পারে। তাহলেই বাচ্চাদের অর্ধেক শিক্ষা পরিবার থেকেই প্রাপ্য হবে।
কারণ বাচ্চারা যখন এই পৃথিবীতে আসে তারা সম্পূর্ণ নিষ্পাপ থাকে। প্রত্যেকটা জিনিস তাদের নতুন করে শিখতে হয়, যেটা দিয়ে তারা তাদের ভবিষ্যৎকে সাজাতে পারে। তাই শুরু থেকে তারা যদি পরিবারের প্রত্যেককে সঠিক আচরণ করতে দেখে, সঠিক শব্দ ব্যবহার করতে শোনে, তাহলে এমনিতেই আচরণগত দিক থেকে ও ভাষা ব্যবহারের দিক থেকে, তার শিক্ষাটা একেবারে ছোট বয়স থেকেই শুরু হবে। আর পরবর্তী প্রয়োজনীয় শিক্ষাগুলো খুব সহজেই তারা আয়ত্ত করতে পারবে।
|
---|
যাইহোক এই ছিলো কনটেস্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত, যা আমি উপরে আপনাদের সাথে নিজের মতো করে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। শেষ করার পূর্বে অবশ্যই আমি আমার তিনজন বন্ধু @papiya.halder @isha.ish ও @leonciocast কে এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আশারাখি তারাও তাদের মতামত অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। সকলের সুস্থতা কামনা করি। ধন্যবাদ।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
Hello,
@sampabiswas
Our team would like to appreciate you for taking part in the community contest;
which is enduring in the Incredible India Community.
আপনি ঠিকই বলেছেন, যারা শিশুদের ভালোবাসেন না তারা কখনও ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অনুভব করতে পারেন না। শিশুদের ন্যায় পবিত্র আর কিছুই নেই এই পৃথিবীতে। ওদের মন হলো ফুলের মতো পবিত্র। তাই শিশুরা অবশ্যই ঈশ্বরের প্রতিরূপ।
শিশুরা ছোটবেলা থেকে যেটা দেখে সেভাবেই বড় হয়৷ ছোটবেলায় তার চারপাশের মানুষজন যেমন আচার ব্যবহার, বা কথা বার্তা বলে সেটাই ওরা শিখে থাকে আর মানসিকতাও তেমনই হয়। তাই বাড়িতে শিশুরা থাকলে বড়দের এমন কোনো কিছু করার উচিত নয় যাতে করে ওদের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কনটেস্টে অংশগ্রহণ করে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
The overall presentation of your content is admirable, and you have suitably used the markdowns. I wish you the best of luck with the challenge.
Thank you for your support @abdullahw2 Sir. 🙏
শিশুদের প্রতি ভালোবাসা এবং তাদের শেখানো উচিত যে তারা সমাজে কীভাবে সৎ এবং মানবিক হতে পারে-এই চিন্তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার পোস্টটি একটি শিক্ষামূলক পোস্ট ও বাচ্চাদের সঠিক পথে গড়ার জন্য বড়দের দায়িত্বশীল আচরণ এবং শাসনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আপনার বক্তব্যটি অনেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি!
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দিদি, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আপনার সাথে আমিও সহমত পোষণ করছি শিশুরা অবশ্যই ঈশ্বরের প্রতিরূপ হয়ে থাকে সেই সাথে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র কিন্তু তাদের পরিবার অনেকেই বলা হয়ে থাকে শিশুদের সবচাইতে বড় শিক্ষক হচ্ছে তাদের মা-বাবা কারণ শিশুরা তার বাবা মা তার পরিবারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে অসংখ্য ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ভালো থাকবেন।