Incredible India monthly contest of March1 by @tanay123 | Family.
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
এই কনটেস্ট পোস্টে যখন অ্যানাউন্স করা হয়েছিলো, তখন থেকেই এটিতে অংশগ্রহণ করবো ঠিক করেছিলাম। তবে মাঝখানে কিভাবে যে একটা সপ্তাহ পার হয়ে গেলো বুঝতেই পারিনি।
তাই একেবারে শেষ দিনে এসেই অংশগ্রহণ করছি। ইতিমধ্যে আশাকরি আপনারা সকলে কনটেস্ট পোস্টটি পড়ছেন। তবে পরিবার সম্পর্কে আপনাদের সকলের নিজস্ব অনুভূতি এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করার অপশন থাকা সত্ত্বেও, খুব কম সংখ্যক ইউজারের অংশগ্রহণ চোখে পড়েছে।
যাইহোক আজকের দিনটা সময় আছে, যদি আপনারা চান অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে পারেন। আমি অংশগ্রহণের আগে কনটেস্টেরর নিয়ম অনুসারে আমার তিনজন বন্ধু @pinki.chak, @sifat420 ও @nemerem01 কে আমন্ত্রণ জানাই। আশাকরি তারা অবশ্যই পরিবার সম্পর্কে নিজেদের অনুভূতি এই কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেয়ার করবেন।
|
---|
"পরিবার" চার অক্ষরের এই শব্দের মধ্যে একটি মানুষের গোটা জীবন লুকিয়ে থাকে। জন্মগ্রহণ করার দিন থেকে শুরু করে, মৃত্যু পর্যন্ত আমরা সকলে এক বা একাধিক মানুষের সাথে নিজের জীবন কাটাই এবং সেই মানুষগুলি সমষ্টিগতভাবেই আমাদের পরিবার হিসেবে চিহ্নিত হয়।
তবে সবকটি মানুষের ক্ষেত্রে পরিবারের পরিভাষা সমান হয় না। এ কথা সত্যি রক্তের সম্পর্কের মানুষদের সাথে যে শুধুমাত্র আমাদের পরিবার গড়ে ওঠে এমনটা নয়। যদি তাই সত্যি হতো, তাহলে আমাদের মেয়েদের পক্ষে কখনোই বাপের বাড়ি থেকে বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে এসে আলাদা একটা পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে, আরেকটা পরিবার গড়ে তোলা সম্ভব হতো না।
হিসাব করলে দেখা যাবে আমরা বিয়ের আগের থেকে বিয়ের পরবর্তী সময়টা অর্থাৎ জীবনের বেশিরভাগ সময়ই এমন মানুষদের সাথে পারিবারিক সূত্রে আবদ্ধ হয়ে থাকি, যাদের সাথে জন্ম থেকে কোনো পরিচয় থাকে না।
তাই ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, পরিবার সেই সকল মানুষদের সান্নিধ্যে গড়ে ওঠে, যাদের সাথে শুধুমাত্র রক্তের সম্পর্ক নয় বরং ভালোবাসা, দায়িত্ব ও সম্মানের সম্পর্ক তৈরি হয়।
|
---|
জন্মের পর থেকে আমরা কেউই নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে পারি না। তখন বাবা-মা হিসেবে বা পরিবারের অন্যান্য বড়রা আমাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন এবং আমাদেরকে বড় হতে সাহায্য করেন। ধীরে ধীরে বড় হওয়ার মাধ্যমে আমরা নিজেদের প্রতি যেমন দায়িত্ববান হতে শিখি, ঠিক তেমনি লেখাপড়া ও পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে অন্যের প্রতি আমাদের থেকে দায়িত্ববোধ থাকা উচিত, সে সম্পর্কে অবগত হই।
জীবন চক্রের মাধ্যমে একটা সময় আমরাও বাবা মায়ের প্রতি নিজেদের দায়িত্ব পালন করা শিখি, আবার একই রকম ভাবে নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মকে এই পৃথিবীতে আনি এবং জন্মের পর থেকে তাকে আমরা লালন পালন করে বড় করে তুলি, ঠিক যে ভাবে আমাদের বাবা মায়েরা আমাদেরকে বড়ো করে তুলেছিলেন।
জীবন চক্রের এই প্রক্রিয়া আসলেই খুব সহজ। এই ভাবেই পৃথিবী এগিয়ে চলেছে বছরের পর বছর ধরে। তাই এই সহজ ও সাধারণ বিষয়কে যারা খুব সহজে মেনে নিয়ে এগিয়ে চলে, জীবন তাদের কাছে অনেক সহজ ও সরল।
সত্যি বলতে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেককেই ভালো-মন্দ বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় একথা ঠিক। কিন্তু সেই সকল জিনিস আমরা যদি পরিবারের সাথে শেয়ার করতে পারি তাহলে, খারাপ সময় যেমন একে অপরকে সাপোর্ট করে কাটাতে পারবো। ঠিক তেমনি আনন্দের সময় গুলো একে অন্যের সাথে খুশি ভাগ তা করে উদযাপনও করতে পারবো।
পরিবারের প্রতি দায়িত্ব গুলো অন্যের ওপরে চাপিয়ে দিলে বা নিজের উপরে বোঝা মনে করলে, জীবনে এগিয়ে চলা খুব কঠিন। এটা আসলে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব, নিজের কাছের মানুষগুলোর ভালো-মন্দ সময় তাদের পাশে থেকে, তাদের প্রতি দায়িত্ব পালন করে, জীবনের ভালো-মন্দ সময় পার করা।
|
---|
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আসলে অনেক মুহূর্তের কথাই মনে পড়ে গেলো। কিন্তু সবগুলো এখানে শেয়ার করা সম্ভব নয়। বর্তমানে যদি আমি ভাবি তাহলে আমার ছোটবেলার প্রতিটি দিনই কেন জানি না অনেক বেশি মনে পড়ে। মা কে হারানোর পর এখন মনেহয়, আমার মায়ের সাথে কাটানো সব মুহূর্তই যেন আমার কাছে অনেক বেশি আনন্দের ছিলো। এখন মাঝেমধ্যে মন ভারাক্রান্ত হয়, যখন ভাবি এই জীবনে আর কখনোই মায়ের সাথে দেখা হবে না, বা কথা বলা হবে না। সম্প্রতি এই একই অনুভূতি আমার ঠাকুরমাকে নিয়েও হয়।
মায়ের সাথে কাটানো একটা আনন্দের স্মৃতি এই মুহূর্তে শেয়ার করা আসলে অনেক কঠিন। তবুও আমি আপনাদের সাথে একটা ঘটনা শেয়ার করতে চাই। আমার ছোট দিদির বিয়ের পর, বৈশাখ মাসে আমাদের ওখানে অনুষ্ঠিত একটি মেলাতে যাওয়ার প্ল্যান হয়েছিলো। বাড়ি থেকে আমি আর মা গিয়েছিলাম, আর দিদিরা ওর শ্বশুরবাড়ি থেকে এসেছিল। আমরা চারজন মিলে খুব মজা করেছিলাম।
সেবার আমি অনেক কাঁচের চুড়ি কিনেছিলাম। দিনটা আমার কাছে এইজন্যই অনেক আনন্দের ছিলো- প্রথমত ওটাই ছিল মায়ের সাথে আমার কোথাও ঘুরতে যাওয়ার শেষ স্মৃতি। দ্বিতীয়ত ঐদিন আমি যা যা কিনতে চেয়েছিলাম, আমার জামাইবাবু সবকিছু কিনে দিয়েছিলো।
আমার বিয়ের পরে নতুন পরিবারের সাথে অনেক ভালো মুহুর্ত কাটিয়েছি। তবে সদ্য কাটানো সব থেকে আনন্দ স্মৃতি ছিলো শ্বশুরমশাই ও শাশুড়ি মায়ের ৪২ তম বিবাহবার্ষিকী পালনের মুহূর্ত। শ্বশুরমশাই অনেক দিন ধরে অসুস্থ, এমন একটা দিন যে আমরা কাটাতে পারবো সেটা আসলেই ভাবিনি। তাই ছোট্ট করে হলেও ওই দিনটাকে আমরা প্রত্যেকে খুব আনন্দ সহকারে কাটিয়েছিলাম। এমনকি শশুর মশাই ও শাশুড়িমা ও খুব খুশি ছিলেন ঐদিন।
|
---|
পরিবার মানেই তো এইরকম ছোট ছোট আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। ঝগড়া-বিবাদ, মতবিরোধ সব সংসারেই থাকে এবং আগামীতেও থাকবে, কিন্তু তাই বলে পরিবার বিহীন জীবন কাটাতে পারব না আমরা কেউই। সেই পরিবারের সদস্য সংখ্যা এক হোক বা একাধিক, সকলের সাথেই ভালো মন্দ সময় পার করেই আমাদের জীবন অতিবাহিত হবে।
তাই রাগ, অভিমান, অভিযোগ সবকিছু ভুলে অনেক কিছু মানিয়ে নিয়ে, অনেক কিছু মেনে নিয়ে, খুব কাছের মানুষদেরকে আগলে রেখে, শাসন করে, সমস্যা গুলো সমাধান করে, জীবনে এগিয়ে চললেই বোধহয় সত্যিকারের পরিবার গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
ভালো থাকবেন সকলে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজের মতামত শেয়ার করার জন্য। আমিও আপনার সাথে সহমত আসলে পরিবারের মধ্য সম্মান ভালোবাসা না থাকলে কখনো সেই পরিবার এক থাকে না এবং রক্তের সম্পর্কে শুধু পরিবারের মানুষের সাথে যুক্ত হয় এটা আমি বিশ্বাস করি না। আপনি যে উদাহরণ গুলো দিয়েছেন সত্যি মন ছুয়ে গেছে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি আমি পরিদর্শন করতে পেরে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পরিবার নিয়ে আপনার মনের অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ ভাবে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনি ঠিকই বলেছেন আসলে পরিবার চার অক্ষরের শব্দ হলেও এর মধ্যে মিলে থাকে আমাদের ভালোবাসা আনন্দ বেদনা জন্মের পর থেকে আমরা কেউই নিজেদের দায়িত্ব নিতে পারি না সেটা একমাত্র পরিবার পালন করে থাকে ধন্যবাদ প্রতিযোগিতার প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর এত সুন্দর ভাবে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।