Incredible India monthly contest of March #2| Do you acknowledge accumulating protection should be our birthright?
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
গতকাল আমার শেয়ার করা সাপ্তাহিক রিপোর্টে কমিউনিটিতে চলমান কনটেস্টের বিষয়ে জানিয়েছিলাম। পাশাপাশি এটাও জানিয়েছিলাম সেখানে অংশগ্রহণ করার আজ শেষ দিন। আমিও একেবারে শেষ দিন অংশগ্রহণ করছি, কারণ মাঝের দিনগুলোতে অনেক ব্যস্ততম সময় পার করেছি, তাই সময় নিয়ে কনটেস্টে অংশগ্রহণ করা হয়ে ওঠেনি।
যাইহোক কনটেস্টের নিয়ম অনুসারে আমার তিনজন বন্ধু @mou.sumi, @isha.ish ও @pinki.chak কে আমি আমন্ত্রণ জানাই। এরপর আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কন্টেস্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত।
|
---|
হ্যাঁ আমি বিশ্বাস করি নিরাপত্তা বা সুরক্ষা আমাদের সকলেরই জন্মগত অধিকার। সেটা নারী পুরুষ নির্বিশেষে। বর্তমান সমাজের পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করে, বয়স্ক মানুষদের কথা আমি আরও বেশি করে বলতে চাই। কারণ সব থেকে বেশি আজ বোধহয় এই বয়স্ক মানুষগুলোই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। সন্তান থাকা সত্ত্বেও তাদের আশ্রয় হয় বৃদ্ধাশ্রমে।
তাই আইন অনুসারে যদি সকলে নিজেদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষায় দাবি করেন, তাহলে হয়তো ওনাদের পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা হলেও সামাজিক চিত্র বদলাবে। অন্যদিকে মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আসলে আলাদা করে আর কিছু বলার নেই, কারণ মেয়ে হিসেবে সেই বিষয়ে আলোচনা করতে আমি নিজেও বেশ লজ্জিতবোধ করি। কারণ এমন একটা সমাজে আমরা বসবাস করি, যেখানে মেয়েদের নিরাপত্তা আজও প্রশ্নের মুখে। এমন অনেক উদাহরণ আপনারা টিভির পর্দায় কিংবা খবরের কাগজের পাতায় দেখে থাকবেন।
|
---|
সত্যি বলতে আমার মনে হয় শুধুমাত্র শিশুদের কি শেখানো হবে সেই দিকে মনোনিবেশ না করে, মায়েরদেরও সব বিষয়ে অবগত করা উচিত। কারণ সমাজে এখনও এমন অনেক মাকে খুঁজে পাওয়া যায়, যারা নিজের সন্তানের সাথে অন্যায় হচ্ছে জানার পরেও সন্তানকে চুপ থাকতে বলেন।
সন্তান যখন জন্মগ্রহণ করে তখন তার পরিচিতি পরিবারের মানুষের সাথে হয়ে থাকে। তবে তাদের কাছেও যে কন্যা সন্তানরা সুরক্ষিত নয়, তেমন ঘটনা আপনারা নিশ্চয়ই শুনেছেন। **তাই সন্তানকে স্পর্শ করার মধ্যে কোনটা আদর আর কোনটা অন্য ইশারা করা, সেই সম্পর্কে একদম ছোট থেকে শিশুকে অবগত করা মায়েদের দায়িত্ব।
অনেক সময় ভয়ের কারণে শিশুরা অনেক কিছু সহ্য করে। পরিবারের মান-সম্মানের কথা ভাবার জন্য শিশু অত্যাচার সহ্য করেও মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। তবে প্রতিটি শিশুকে সত্যি কথা বলা এবং সর্বসমক্ষে পরিচিত মানুষের মুখোশ খোলার মতন মানসিক সাহস অর্জন করা শেখাতে হবে।
যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের ওপরে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ভাষা শিশুদের শেখাতে হবে। বেশ কিছু কৌশল তাদেরকে শেখাতে হবে যাতে, সেই রকম অবস্থান থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারে।
শুধু নিজের সাথে নয়, অন্যের সাথে যদি অন্যায় হতে দেখে তাহলে সেই বিষয়টির প্রতিবাদ করাটাও নিজের দায়িত্ব। এই বিষয়গুলো শিশুদেরকে শেখাতে হবে এবং প্রত্যেকটি শিশুর মধ্যে যদি এই বিষয় গুলোর গুরুত্ব উপলব্ধি করার ক্ষমতা আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলেই কিন্তু অনেকাংশে এই চিত্র বদলানোর আশা করতে পারি।
|
---|
সত্যি কথা বলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা বাচ্চাদেরকে শেখাই বাইরের মানুষের কাছ থেকে কিভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করবে। তবে ঘরের মানুষদের কাছ থেকেও যে নিজেদের কখনো কখনো আত্মরক্ষার প্রয়োজন আছে, এটা শেখাতে ভুলে যাই। তাই শিশুদেরকে এটা বোঝাতে হবে কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল।পরিচিত মানুষও চাইলে একটা সীমা পর্যন্ত আমাদের সাথে কথা বলতে বা আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারেন। তার থেকে বেশি হলে সেটাই যে অন্যায়, এই বিষয়টি সম্পর্ক প্রত্যেকটি শিশুকে শেখাতে হবে।
ঘরের বাইরে অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে বা প্রাইভেট পড়তে গেলে, শিশুদেরকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে অন্যায় সহ্য করতে বাধ্য করা হয়। তাই যে বিষয়টি আমরা ঘরে শেখাবো সেই একই বিষয়ে যে বাইরের লোকেদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, এটা শেখাতে যেন আমাদের ভুল না হয়।
এমন কোনো বিপদে পড়লে কিভাবে বাড়ির লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে, সেই কৌশল গুলো বাচ্চাদেরকে শেখাতে হবে। সর্বোপরি ক্যারাটে, বক্সিং এই ধরনের আত্মরক্ষার কৌশল গুলিও তাদের শেখাতে হবে। যাতে ঘরের ভিতরে হোক বা বাইরে, এমন কোনো সমস্যায় পরলে, যাতে নিজেদের আত্মরক্ষা নিজেরাই করতে পারে।
|
---|
অবশ্যই আমার মনে হয় শিশু এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে দেশের আইন আরও কঠোর হওয়া উচিত। সত্যি বলতে কঠোর হওয়াতো পড়ে আসে, আগে আইনগুলো সঠিকভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় দোষী ধরা পড়তে পড়তেই অনেকটা সময় কেটে যায় এবং ধরা পড়ার পর থেকে শুরু করে, শাস্তি পাওয়ার আগে পর্যন্ত, সময়ের এতো বেশি ব্যবধান হয় যে, তার মধ্যেই দোষী ছাড়া পেয়ে যায়।
এই সকল বিষয় গুলিতে আইনি পদক্ষেপ আরও কঠিন হওয়া প্রয়োজন। যেমনটা আমি শুরুতেই বলেছি, শুধু শিশু ও নারীদের ক্ষেত্রে নয়, বয়স্কদের ক্ষেত্রেও আইনি ব্যাবস্থা কিছুটা শক্ত হওয়ার প্রয়োজন। যাতে করে সন্তানরা শেষ বয়সে বাবা-মায়েদের সাথে যথেচ্ছ আচরণ করতে না পারে। তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে না পারে। তাহলেই বোধহয় সমাজে অনেক পরিবর্তন আসবে।
|
---|
এই ছিলো আমার নিজস্ব মতামত, যা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। পোস্ট পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। সকলেই সচেতন হোন, নিজের সন্তানকে সচেতন করুন এবং সুস্থ জীবন যাপন করুন, এই প্রার্থনা করে আজকের লেখা শেষ করছি। ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 2/8) Get profit votes with @tipU :)