"আমার পছন্দের ডিম আলুর কষা রেসিপি "
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আমার সারাদিন মোটামুটি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে।
সকালবেলাতে হসপিটালে আসার পর বেশ কিছু কাজ ছিলো। সেগুলো শেষ করার জন্যে একটু ব্যস্ততা ছিলো। যাইহোক সেগুলো কিছুটা গুছিয়ে নেওয়ার পর, কমিউনিটির কাজ শুরু করেছিলাম এবং তার মাঝে মাঝেই আজকের পোস্ট লেখা শেষ করেছি। যাইহোক আজ অন্য কিছু নয় আপনাদের সাথে ডিম দিয়ে তৈরি একটি রেসিপি শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করি, -
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | ডিম | ৫ টে |
২. | পেঁয়াজ | ৩ টে |
৩. | আদা | ছোট্ট এক টুকরো |
৪. | রসুন | ৮-৯ কোয়া |
৫. | টমেটো | ১টি মাঝারি সাইজের |
৬. | আলু | ২ টি বড় সাইজের |
৭. | সরষের তেল | ৪ চা চামচ |
৮. | হলুদ গুঁড়ো | ১চা চামচ |
৯. | জিরে গুঁড়ো | ১ চা চামচ |
১০. | কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো | ½ চা চামচ |
১১. | ধনে গুঁড়ো | ½ চা চামচ |
১২. | উষ্ণগরম জন | পরিমাণ মত |
১৩. | গরমমশলা গুঁড়ো | ½ চামচ |
১৪. | লবন | স্বাদ অনুসারে |
|
---|
প্রথমে ডিম ও আলু গুলোকে সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে, জল ঝরিয়ে রাখতে হবে। এরপর ওর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ এবং হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মেখে রাখতে হবে। লবণ হলুদ মাখার আগে ছুরির সাহায্যে আমি ডিমের গায়ে হালকা করে দু তিনটে চেড়া লাগিয়ে রাখি, যাতে ভিতরে লবন ও মশলা ঢুকতে পারে। অবশ্যই কাজটি সাবধানে করতে হবে, না হলে ডিমের ভিতরের কুসুম বেরিয়ে আসতে পারে।
এরপর পেঁয়াজ ও টমেটো গুলোকে ভালো করে কুচিয়ে নিতে হবে। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে রাখতে হবে। পরিমাণমতো কাঁচা লঙ্কা, জিরে ও ধনে ভালো করে বেটে নিতে হবে। আমাদের শিলনোড়ায় আমরা রসুন বাটি না, এই কারণে ডিম ও সয়াবিন এগুলো রান্না করতে হলে, আমি অল্প পরিমাণ রসুন থেঁতো করেই ব্যবহার করি। তবে পরিমাণে বেশি হলে সেটা মিক্সিতে পেস্ট করে নিই।
এরপর গ্যাস জ্বালিয়ে কড়াই বসিয়ে, তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে, প্রথমে ডিম গুলোকে হালকা ভেজে তুলে রাখতে হবে। তারপর আলু গুলোকে ওই তেলের মধ্যে দিয়ে লাল লাল করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
বাদবাকি তেলের মধ্যে গুছিয়ে রাখা পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে সামান্য পরিমাণ লবণ ছড়িয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে এরপর আগে থেকে থেঁতো করে রাখলে রসুনগুলোকে দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভালো করে ভাজতে হবে যতক্ষণ কাঁচা গন্ধ না চলে যায়।
পেঁয়াজ রসুনগুলো ভাজতে ভাজতে অন্যদিকে বেটে নেওয়া মশলার মধ্যে পরিমাণ মতো কাশ্মীরি লঙ্কা ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ বাদে সেই মিশ্রণটা পেঁয়াজ রসুনের মধ্যে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ খুব ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে, যতক্ষণ না মশলা থেকে তেল বের হয়।
ভালোভাবে কষা হয়ে গেলে ওর মধ্যেও একটু উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করতে হবে। চাইলে আপনারা ঠান্ডা জলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে আমি একটু উষ্ণ গরমজল করেছিলাম। এরপর আগে থেকে ভেজে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিতে হবে এবং একটু বাদে ডিমগুলো দিয়ে দেবেন। যাতে ঝোলের মধ্যে ভালোভাবে ডিম ও আলু গুলো ফুটতে পারে।
আমি ডিমের ঝোল পছন্দ করলেও শুভ ডিম কষা খেতেই ভালোবাসে। তাই এদিন আমি ডিম কষাই করেছিলাম। সেই কারণে ঝোলগুলোকে ফুটিয়ে একেবারে কমিয়ে নিয়েছিলাম এবং মশলাটা ডিম ও আলুর সাথে মাখামাখা অবস্থায় আসার পর, বাড়িতে তৈরি করে রাখা গরম মশলার গুঁড়ো, ছোটো এক চা চামচ ব্যবহার করেছিলাম।
বাড়িতে তৈরি গরম মশলার এইটা একটা গুণ, সামান্য পরিমাণে দিলেই গন্ধটা খুবই সুন্দর আসে। গরম মশলা দেওয়ার পর কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে গ্যাসের ফ্লেম বন্ধ করে দিয়েছিলাম। আর এই ভাবেই তৈরি করেছিলাম নতুন আলু দিয়ে ডিমের কষা।
আগেই জানিয়েছি রান্নাটা বাড়িতে থাকাকালীনই করেছিলাম, তখনই ছবিগুলো তুলেছিলাম আপনাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। কিন্তু এর মাঝে আর করা হয়ে ওঠেনি। তাই ভাবলাম আজ আপনাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করা যাক। আপনারা কারা কারা এইভাবে ডিমের কষা খেতে পছন্দ করেন অবশ্যই জানাবেন। এইভাবে রান্না করলে আমি ডিমের থেকেও রান্না করার পর আলুগুলোই বেশি ভালো খাই।
যাইহোক এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি। সেটি পড়ে আপনাদের কেমন লাগলো সেটা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। সকলে খুব ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। সকলের আজকের দিনটি খুব ভালো কাটুক, সেই প্রার্থনা করে আজকের লেখা শেষ করছি।
ধন্যবাদ দিদি। এত সুন্দর ভাবে প্রতিটা স্টেপ আপনি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন যে, যে-কেউ চাইলে আপনার রেসিপিটি দেখে বাড়িতে খুব অনায়াসেই এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে নিতে পারে।।
আপনার রান্নাটি দেখে বোঝাই যাচ্ছে রান্নাটা অনেক বেশি টেস্টি হয়েছে। আমাদের বাড়িতেও একই রকম হবে ডিম আলু কষা রান্না করে। আপনার রেসিপিটি খুব ভালো লাগলো।।
ডিম আলু কষা আমার কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে এবং রান্নার পদ্ধতি দেখে খুব ভালো লাগছে একদিন অবশ্যই আপনার পদ্ধতি অবলম্বন করে ডিম আলু কষা রান্না করার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন রঞ্জন প্রণালী আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।