"Better life with steem// The Diary Game// 5th June,2025"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন, আর আপনাদের আজকের দিনটা খুব ভালো কেটেছে। যদিও আমার সারাদিন আজ কেমন যেন আলসেমির মধ্যে দিয়ে পার হয়েছে। শরীরটাও আসলে খুব একটা ভালো নেই, আর তার সাথে মনটাও। সবকিছু মিলিয়ে দিনটা কেমন কাটালাম সেই গল্পই আজ শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। চলুন তাহলে সকাল থেকে শুরু করি,-
|
---|
সকালে আজ কিছুতেই ঘুম থেকে উঠতে পারছিলাম না। বলতে পারেন অনেকটা কষ্ট করে নিজেকে জোর করে বিছানা ছাড়তে বাধ্য করলাম। বেশ কয়েকবার অ্যালার্ম বেজে গেছে, প্রতিবার বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়েছি। দু মিনিট বাদে উঠবো, পাঁচ মিনিট বাদে উঠছি, এমনটা করতে করতে প্রায় কুড়ি মিনিট বাদে বিছানা ছাড়লাম।
সারারাত কি যে ভেবেছি, আর আধো ঘুমের মধ্যে কেমন যেন সব অবাস্তব স্বপ্ন দেখেছি, এখন তা আর মনেও নেই। গতকালের দিনটা সত্যিই অনেক বেশি খারাপ কেটেছে। আর সেই খারাপ চিন্তা ভাবনা গুলোই রাতের বেলায় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো বলেই বোধহয় সারারাত ভালো করে ঘুমাতেও পারিনি। আর এই কারণে সকালের দিকে কিছুতেই ঘুম ভাঙতে চাইছিল না।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখলাম শাশুড়ি মা উঠে পড়েছেন। বাইরের ফুল গাছ থেকে ফুল তোলা হয়েও গেছে। এমনকি শ্বশুর মশাইকে চাও দিয়ে দিয়েছেন। তাই আমি শুধু জন্য শুভর চা করলাম। এরপর ওকেও ডেকে দিলাম। গতকাল ও বেশ অনেক রাত পর্যন্তই জেগেছিলো, কোনো একটা সিনেমা দেখছিলো। তাই একপ্রকার জোর করেই ঘুম থেকে তুললাম ওকেও।
ওদের অফিসে আগুন লাগার পর থেকেই ও দুপুরে লাঞ্চের জন্য রুটি নিয়ে যায়। আজকে একটু পরোটা নিয়ে যাবে বললো, তাই নীচে এসে ময়দা মেখে পরোটা তৈরি করলাম। শ্বশুর মশাই আবার ময়দার জিনিস খাবেন না। অবশ্য আটা আগে থেকেই মাখা ছিলো ফ্রিজে, সেটাই বের করে রুটি করে ফেললাম।
এরপর শুভ অফিসে বেরিয়ে গেলে ভেবেছিলাম একটু কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসবো। কিন্তু যেহেতু বৃহস্পতিবার এবং আমার ঘরের বেশ কিছু কাজও বাকি ছিলো, তাই আগে সেগুলো করলাম। তারপর ঠাকুরের বাসনপত্র মেজে, ঠাকুরের ঘর মুছে, সম্পূর্ণ ঘর, সিঁড়ি সবটাই মুছতে হলো। বৃহস্পতিবার দিন ঘরের কাজ গোছাতে অনেকটা সময় ব্যয় হয়ে যায়। এমনকি পুজো দিতেও অনেকটা সময় লাগে। তাই সপ্তাহের এই দিনটি অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটে।
|
---|
ঘরের কাজ এবং ঠাকুর ঘরের সমস্ত কিছু গুছিয়ে দিয়ে আমি স্নান করতে গেলাম। তখন মনে পড়লো শ্বশুরমশাইয়ের ওষুধেরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আসলে যে প্যাকেট গুলোতে ওষুধ থাকে, প্রতিদিন সেগুলো থেকে ওষুধ বের করতে করতে প্যাকেটগুলো প্রায় ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে, তাই সেগুলোকেও ঠিক করতে হবে।
কিন্তু তখন পুজো দেওয়ার তাড়া ছিলো, তাই আর সেই কাজটি তখন করা সম্ভব হয়নি। বেলাও ততক্ষণে বেড়ে যাচ্ছিলো, তাই আমি তাড়াতাড়ি স্নান সেরে এসে আগে পুজো দিতে বসলাম। যথারীতি পুজোর সমস্ত কিছু জোগাড় করে, লক্ষী ব্রত পালন করার পর, পাঁচালী পড়ে পুজো সম্পন্ন করতে করতে শাশুড়ি মায়ের রান্না এবং শ্বশুর মশাইয়ের স্নান হয়ে গিয়েছিল।
শাশুড়ি মা কিছু জামা কাপড় ভিজিয়েছিলেন তাই উনি সেগুলো ধুয়ে, স্নান করে আসতে আসতে আমি শ্বশুর মশাইকে লাঞ্চ দিয়ে দিলাম। ততক্ষণে আমার নিজের প্রচন্ড খিদে পেয়ে গিয়েছিলো। আসলে সকালের দিকে আজ আমি ব্রেকফাস্ট করিনি।
কারণ তখন খুব একটা খিদে পায়নি। আবার আমার একা খেতেও ভালো লাগছিলো না, তাই দুটো বিস্কুট খেয়ে একটু জল খেলাম। তারপর শাশুড়ি মা আসলে দুজনে মিলে একসাথে লাঞ্চ শেষ করলাম। আকাশে তখন অনেক মেঘ করলো। ছাদে কিছু জিনিস মেলা ছিল সেইগুলো তুলে এনে, তারপর আমরা দুজনে একটু বিশ্রাম নিলাম।
|
---|
যেহেতু ওষুধের কাজ করা বাকি ছিলো, তাই আমি ঠিকই করে রেখেছিলাম সন্ধ্যাবেলায় বুমিংয়ের কাজ শেষ করে, ওই কাজগুলো আজ করবোই। কারণ সত্যিই প্যাকেট গুলোর অবস্থা বেশ খারাপ হয়েছিলো। তাই শ্বশুরমশাইয়ের ওষুধের ঝুড়িটা নিয়ে বসে পড়লাম। তার সাথে নতুন কিছু ওষুধের প্যাকেটও। সমস্ত ওষুধের প্যাকেটের গায়ে নাম লিখে, ওষুধ গুলো রাখলাম এবং পুরনো প্যাকেটগুলো ফেলে দিলাম।
এ কাজ করতে গিয়েই দেখলাম একটা ওষুধ আনা প্রয়োজন। তাই সেই ছবিটা তুলে আমি শুভকে পাঠিয়ে রাখলাম। যদি সম্ভব হয় ফেরার পথে নিয়ে আসবে। আর একান্তই যদি না আনতে পারে, তাহলে আগামীকাল যাতে নিয়ে আসে।
|
---|
শুভর আজ বাড়ি ফিরতে একটু লেট হলো। আসলে অফিস থেকে আগেই বেরিয়েছিলো, কিন্তু ওর যে বন্ধুর এক্সিডেন্ট হয়েছিল তাদের বাড়িতে গিয়েছিল ওর সাথে দেখা করতে। সাথে আরও একটা বন্ধু ছিলো। তাই ওই বাড়িতে একটু সময় কাটিয়ে বাড়ি আসতে লেট হলো।
ওখানেই চা এবং বিস্কুট খেয়েছে বলে বাড়িতে এসে আর কিছুই খায়নি। একেবারে ডিনার করবে বলেছে। তবে আসার সময় একটা দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলো, তাই সেখান থেকে দুটো আইসক্রিম নিয়ে এসেছিলো আমার ও শাশুড়ি মায়ের জন্য। আইসক্রিমটা খেয়ে আমি নিজে পোস্ট লিখতে বসলাম।
এর মাঝেই অবশ্য বান্ধবীদের গ্রুপ থেকে কল এসেছিলো। আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম দার্জিলিং যাওয়ার একটা প্ল্যান রয়েছে, সেই বিষয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো। তবে না বেরোনো পর্যন্ত আসলে বিশ্বাস করতে পারছি না যে, আদেও আমি যাচ্ছি। কারণ শ্বশুর মশাইয়ের শারীরিক অবস্থা ততটাও ভালো নয়।
একদিকে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ তো রয়েছে, তবে আনন্দটাও মন খুলে করতে পারছি না, কারণ যে কোনো মুহূর্তে আমার এই যাওয়াটা আটকে যেতে পারে। সবটাই ঈশ্বরের উপরে ছেড়ে রেখেছি। যদি ভাগ্যে থাকে যেতে পারবো, আর যদি না থাকে তাহলে আর কিছু করার নেই। সবটাই মেনে নিতে হবে এই আর কি।
যাইহোক এই রকম ভাবেই একটা দিন কাটিয়েছি। সমস্ত কাজই করেছি তবুও যেন শরীরের মধ্যে কেমন একটা আলসেমি কাজ করছিলো এবং সেটা গতকাল রাতে ঘুম না হওয়ার কারণেই, তা বুঝতে আর বাকি রইল না। যাইহোক এরপর ডিনার শেষ করে চেষ্টা করবো আজ রাতে একটু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাওয়ার, কিন্তু আদেও কি হবে সেটা তো কাল সকালেই বুঝতে পারবো।
ভালো থাকবেন আপনারা সকলে, সুস্থ থাকবেন। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, তাই চেষ্টা করবেন বাইরে বেরোলে সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করার। শুভরাত্রি।
Thank you for your support @pandora2010 .🙏