"Better life with steem//The Diary Game// 29th September,2025"// দূর্গা পূজোর সপ্তমীর দিন
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে। দেখতে দেখতে যেন চোখের পলকে পুজোর দিনগুলো কেটে যাচ্ছে।
পূজো আসছে এটাই যেন সবথেকে বেশি আনন্দের ছিলো, অথচ দেখুন আজ দুদিন হয়েও গেলো। যাইহোক সবাইকে জানাই শুভ সপ্তমীর শুভেচ্ছা। রাত পোহালেই অষ্টমী। তবে এ বছর আর অষ্টমী পূজোর আলাদা করে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। কারণ এ বছর অষ্টমী পূজোর অঞ্জলি দেওয়া হবে না, যেহেতু আমার জ্যেঠি শাশুড়ি এবছর মারা গেছেন, তাই এক বছর পর্যন্ত আমাদের অশৌচ পালন করতে হবে।
যাইহোক আজ আমি সপ্তমীর দিনটি কিভাবে অতিবাহিত হয়েছে সে গল্পই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। চলুন তাহলে শুরু করা যাক, -
|
---|
![]()
|
---|
পুজো উপলক্ষ্যে গতকালই ননদের দুই ছেলে আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে। পুজোর সময় মামা বাড়িতে ঘোরার মতোই আলাদা। ছোটবেলায় আমরা সকলেও এই অপেক্ষাতেই থাকতাম। যাইহোক যেহেতু ছুটির দিন, তাই বেশ বেলা করেই ঘুম ভেঙেছে।
ঘুম ভেঙেই বাইরের ঝলমলে রোদ্দুর দেখে ভালো লাগলো। কারণ আবহাওয়া দফতরের কথা অনুযায়ী পুজোর সময় বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিলো, তাই সকলেই কমবেশি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলো। তবে এইরকম রোদ্দুর থাকার ফলে সকলে একটু নিজেদের মতো করে আনন্দ করতে পারছে, ঘুরতে পারছে, এটাই ভালো লাগা।
যাইহোক ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে চা বসালাম। ননদের দুই ছেলে তখনও ঘুমাচ্ছে। চা খাওয়ার পর্ব শেষ করে, ব্রেকফাস্ট বানাতে যাবো। তখন শাশুড়ি মা বললেন গতকাল রাত্রের রুটি হয়ে গেছে। তাই ওনাদের জন্য আলাদা করে আর কিছু বানাতে হবে না। ননদের ছেলেরা ঘুম থেকে উঠে হয়তো ম্যাগিই খাবে। শুভর জন্যেও রুটি ছিলো। আমি আর নিজের জন্য আলাদা কিছু তৈরি না করে, একটা ম্যাগিই বানিয়ে খেয়ে নিলাম।
|
---|
![]()
|
---|
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবকিছু গোছাতেই বেলা গড়িয়ে গেলো অনেকটা। দুটো পোস্ট ভেরিফিকেশন বাকি ছিলো, সেটা শেষ করার পর দুপুরের রান্নার আয়োজন শুরু হলো। আজ রান্নার দায়িত্ব আমার ওপরেই ছিলো, কারণ যে পদগুলো রান্না করা হবে সেগুলো আমার শাশুড়ি মা আবার ভালোভাবে করতে পারে না। আবদারটা ছিলো আমার ননদের বড় ছেলের, কাজের জায়গাতে একেবারেই ভালো ভাবে খেতে পারেনা।
আমার হাতের পনির বাটার মশলা তার খুব পছন্দের। তাই গতকালই জিজ্ঞাসা করছে, মামী একটু পনির বাটার মশলা করবে? আমিও আর আপত্তি করতে পারিনি। পনির যদিও আমি খাই না তবে গতকালের চিকেন রান্না করা ছিলো ফ্রিজে, আমি সেটা দিয়ে খেয়ে নেবো। তাই আজকে রান্না করেছিলাম ফ্রায়েড রাইস আর পনির বাটার মশলা, যেটা বাকিরা সকলেই খুব ভালো খায়।
শাশুড়ি মা ফ্রায়েড রাইস খেতে পছন্দ করেন না। ওনার জন্য অল্প ভাত করেছিলাম। বাকি ডাল, ভাজা, ও মাছের ঝোল ফ্রিজে রাখা ছিলো। সেগুলো গরম করলে ওনার হয়ে যাবে। তাই হিসেব মতো দুপুরে রান্নাটা তাড়াতাড়ি শেষ হয়েছিলো।
![]()
|
---|
খুব বেশি দেরি না করে আমি স্নান করে পুজোর দিতে বসলাম। তখনও পর্যন্ত ননদের দুই ছেলের কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি। একটু বাদে শাশুড়ি মা প্রায় রাগ করেই তাদেরকে ঘুম থেকে । দুপুর দুটোর পর ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ বসেই দুজন স্নান করে নিলো। সকালের টিফিন আর ওদের করা হয়নি, একেবারেই দুপুরের খাবার খেয়েছে।
আমরাও খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটু শুয়েছিলাম। আমি কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতে পারিনি। আসলে গতকাল রাতে আমার খুব একটা ভালো ঘুম হয়নি, তাই দুপুরে শোয়ার পরে হঠাৎ করেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
|
---|
আজ সন্ধ্যাবেলায় শাশুড়ি মা কখন সন্ধ্যা দিয়েছে বুঝতে পারিনি। ঘুম ভেঙ্গে দেখে ঘড়ির কাঁটায় সাতটা পাঁচ বাজে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে পোস্ট লিখতে বসবো, এমন সময় ননদ এবং ননদের হাসবেন্ড এলেন। আজকে আমাদের বাড়িতে থাকবেন।
আসলে শ্বশুরমশাই ফোন করে তাদেরকে আসতে বলেছেন। অনেকদিন হয়ে গেছে আমার ননদ আমাদের বাড়িতে থাকে না, আসলেও আবার রাতের বেলায় চলে যায়। পুজোর মধ্যে একদিন থাকার কথা বলাতে, ওরা আজকে থাকবে বলে ঠিক করেছে।
ওদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করতে করতে ননদ আবার বড় ছেলেকে পাঠিয়ে সন্ধ্যাবেলা খাওয়ার জন্য মোমো নিয়ে আসলো। একটা নতুন দোকান থেকেই মোমো নিয়ে এসেছে। তাই সকলে মিলে দুটো দুটো ট্রাই করেছি, খুব একটা মন্দ বানায়নি। বেশ ভালই লাগলো খেতে, বিশেষ করে স্যুপটা বেশ ভালো ছিলো।
যাইহোক আমাদের বাড়ির পাশে ননদের হাজবেন্ডের একটা বন্ধুর বাড়ি, কিছুক্ষণ আগে ননদ এবং ননদের হাসবেন্ড বন্ধুর বাড়িতে গেলো তার বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেই ফাঁকেই আমি বসে পরলাম পোস্ট লিখতে। কারণ ওনরা চলে আসলে আবার তাদের সাথে কথাবার্তা বলতে হবে।
আমাদের সকলের জীবনে এমন কিছু সম্পর্ক থাকে যেগুলো মন থেকে যতটা না পালন করি, তার থেকে অনেক বেশি করতে হয় ফরমালিটির জন্য। আসলে এই মানুষগুলোর জন্য সবটাই আমি মন থেকে করতাম, কিন্তু এখন অনেক কিছুই ফর্মালিটির জন্য করি। তার পিছনেও অবশ্য কারণ আছে। যাক সেগুলো আসলে ব্যক্তিগত অনুভূতি, সবটা হয়তো লিখে বোঝানো সম্ভব হয় না।
তবে মেয়েরা পূজোর সময় বাপের বাড়িতে আসবে এটা খুব স্বাভাবিক, তাই আমার ননদেরা এখানে একটা দিন থাকতে এসেছে,আশাকরি সকলের সাথে আনন্দ করেই সময়টা পার হবে। আগামীকাল ভাবছি আমি নিজেও একটু মামাবাড়িতে যাবো। অনেকদিন ধরে মামী যাওয়ার কথা বলছে।
বাপের বাড়ির সেই অর্থে এখন আর নেই, তাই যত আদর সেই মামা বাড়িতে। তাই পুজোর সময় বাপের বাড়ি না হোক, অন্তত মামা বাড়িতে দুদিন থাকার ইচ্ছা রয়েছে। দেখা যাক কি হয়।
যাইহোক এইভাবে এখনও পর্যন্ত সারাটা দিন কেটেছে। এরপর রাতের খাওয়া দাওয়া বাকি, সকলে মিলে গল্প করে হয়তো বেশ কিছুটা সময় কাটবে। আপনাদের সপ্তমীর দিন কেমন কাটলো, সেটা জানাতে ভুলবেন না।
পুজোর দিন কেটে গেলো, তবে এখনো পর্যন্ত সেই অর্থাৎ মায়ের দর্শন করার সুযোগ হয়নি। যাতায়াতের পথে এক ঝলক মাকে দেখেছি, তবে দাঁড়িয়ে তাকে মনের কথা জানানোর সুযোগ হয়নি এখনও। অপেক্ষায় রয়েছি সেই সুযোগের।
ভালো থাকবেন সকলেই। আপনাদের সকলের সুস্থতা এবং আনন্দ কামনা করে আজকের পোস্ট এখানেই শেষ করছি। শুভরাত্রি।
Thank you for your support @sduttaskitchen ma'am. 🙏