Better life with steem// The Diary Game// 27th January,2025
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
এ বছরের শীত যেন লুকোচুরি খেলছে। কোনোদিন অনেকটাই ঠান্ডা কম লাগে, আবার ঠিক তার পরদিন ভালোই ঠান্ডা লাগে। যাইহোক কেমন আছেন আপনারা সকলে?
আশা করছি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের দিনগুলো সুন্দরভাবে কেটে যাচ্ছে। গত বেশ কয়েকদিনের তুলনায় আমিও ভালোই আছি, অন্তত বাড়িতে থাকতে পারছি এটাই অনেক শান্তির। গতকাল দিনটা কিভাবে কাটালাম, সেই গল্পই আজ শেয়ার করবো এই পোস্টের মাধ্যমে। চলুন তাহলে শুরু করি, -
|
---|
![]()
|
---|
আমাদের ছাদ বাগানে বেশ কিছু নতুন সদস্যদের আগমন হয়েছে। হসপিটালে যাওয়ার আগেই গাছগুলো শাশুড়িমা লাগিয়েছিলেন, তবে তার ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। হসপিটাল থেকে ফিরে দেখি বেশ ভালোই ফুল ফুটছে। কোনো একটা পোস্টে তাদেরকে নিয়ে আপনাদের সাথে নিশ্চয়ই কথা বলবো।
![]()
|
---|
যাইহোক গতকাল যেহেতু সপ্তাহ শুরুর দিন ছিলো, তাই সময় মতোই ঘুম থেকে উঠেছিলাম, কারণ শুভর অফিস ছিলো। প্রতিদিনকার মত ওকে চা দিয়ে তারপর রান্না বসিয়েছিলাম। রান্না শেষ করার পর সময় মত শুভ অফিসে বেরিয়ে গেলে আমরাও ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। তারপর কিছুক্ষণ ছাদে গিয়ে রোদ্দুরে বসেছিলাম পিকলুকে নিয়ে।
![]()
|
---|
আমরা বাড়িতে না থাকাকালীন ওর গায়ের পশমে জট পড়ে গিয়েছিলো, যেহেতু প্রতিদিন ওকে আঁচড়ানো হয়নি। তাই বাড়িতে এসে রবিবার দিন আমরা ওর সমস্ত পশম কেটে দিয়েছি। এখন ওর চেহারাটা দেখতেই কষ্ট হয়। এতোদিন পশমের জন্য বোঝা যেত না ওর শরীর ঠিক কতটা খারাপ হয়েছে।
যাইহোক এরপর নিচে নেমে পিকলুর জন্য আলাদা করে খিচুড়ি রান্না করলাম। এখন ওর রান্নাটা আলাদাভাবেই করি, যাতে সমস্ত রকম সবজি, মাংস তার মধ্যে ব্যবহার করতে পারি।
![]()
|
---|
ওর খিচুড়ি রান্না করতে আমি ব্যবহার করেছিলাম ডালিয়া, মুসুরির ডাল, সয়াবিন, চিকেন, পালং শাক, আলু ও টমেটো। আর সামান্য পরিমাণে হলুদ গুঁড়ো সবকিছু মিলিয়ে প্রেসার কুকারে দুটো হুইসেল দিয়ে নিয়েছিলাম। আজকাল ওকে এমন ভাবেই খাওয়াচ্ছি, যাতে শরীরটা ঠিক থাকে। রান্না হয়ে গেলে ওকে অল্প একটু খিচুড়ি খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিয়েছিলাম।
|
---|
![]()
|
---|
ইতিমধ্যেই দুপুর হয়ে গিয়েছিলো, কারণ শীত এখনো যাই যাই করেও যাচ্ছে না, তাই বেলা কখন গড়িয়ে যায় বোঝা ওঠা মুশকিল। ঠাকুরের বাসন মেজে, ঘর পরিষ্কার করে চলে গেলাম গরম জল বসাতে। কারণ শীতকালে যত তাড়াতাড়ি স্নান হবে ততই শান্তি। তাই খুব বেশি দেরি না করে স্নান সেরে ঠাকুর পুজো দিয়ে নিলাম। তারপর শ্বশুর মশাই স্নান করতে গেলেন।
ওনার শরীরটা এখন একটু ঠিক থাকলেও, পা দুটো অসম্ভব ফুলে আছে কিডনির কারণে। ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে পুনরায় ওনাকে নিয়ে হসপিটালে যেতে হবে। এর আগে যাতে যেতে না হয় এখন সেই প্রার্থনাই করি। তবে হ্যাঁ ভাগ্যে যা লেখা থাকবে সেটা হবে এবং সেই মত মানিয়ে নিয়ে আমাদেরকেও চলতে হবে।।
যাইহোক এরপর ওনাকে আগে খেতে দিয়ে নিলাম, তারপর আমি পিকলুকে খাওয়াতে বসলাম। ওকে খাওয়ানো শেষ করে ওষুধ দিয়ে ওর বিছানায় শুইয়ে দেওয়ার পর, আমিও শাশুড়ি মা খেতে বসলাম।
![]()
|
---|
খাওয়া-দাওয়া শেষ করার পর রোদে বসার জন্য একটু ছাদে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের ছাদের সকালের দিকে রোদ্দুর থাকলেও পরে আর রৌদ্রের দেখা পাওয়া যায় না। তাই ছাদে মেলে রাখা জামা কাপড় গুলো ছাদ থেকে তুলে, তারপর কম্বলের ভিতর বসেই কিছুক্ষণ ফোন দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে এলো।
|
---|
সন্ধ্যাবেলায় যথারীতি সন্ধ্যা পূজা দেবার পর, আমি কমিউনিটির কাজ নিয়ে বসেছিলাম। তখন আবার আমার মাসি ফোন করলো। আসলে ফেব্রুয়ারি মাসের ১১ তারিখে আমার মাসির নাতনী অর্থাৎ আমার বোনের মেয়ের অন্নপ্রাশন তারই নিমন্ত্রণ করলো। মাসিকে অবশ্য সবটা বুঝিয়ে বলেছি আসলে সেই দিন কোথায় থাকবো তা আগে থেকে নিশ্চিত করে বলা কঠিন।
তবে যদি বাড়িতে থাকি অবশ্যই যাবো। কারণ বাচ্চাটা হওয়ার পর থেকে এখনো ওর মুখ দেখা হয়নি। আর মাসির বাড়িতেও যাই না বেশ কয়েক মাস হয়ে গেছে। কোনো একটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সকলের সাথে অনেকদিন বাদে দেখা হয়। তাই সম্ভব হলে সেই অনুষ্ঠানগুলোতে যোগদান করা অবশ্যই উচিত। যদি পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে আশা করছি সকলের সাথে দেখা হবে ঐ দিন।
এর মাঝেই শুভ ফিরলো অফিস থেকে, ওকে একটু কফি করে দিলাম। শীতকালে মাঝেমধ্যে একটু কফি খেতে পছন্দ করে, কফির সাথে শুধু মাত্র দুটো বিস্কুট খেলো, বাকি আর কিছু খায় নি রাতে একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নেবে বলে।
|
---|
![]()
|
---|
এরপর কমিউনিটির কিছু কাজ সেরে আমি একটু তাড়াতাড়ি রুটি করতে গিয়েছিলাম। রুটি করা শেষ করে পিকলুকে আবার খাইয়ে দিয়ে ওষুধ দিলাম। গতকাল রাতে ডিনারটা আমরা সকলেই একটু তাড়াতাড়ি সেরে নিয়েছিলাম অন্যান্য দিনের তুলনায়।
খাওয়া-দাওয়া শেষে আমি ভেরিফিকেশন করতে বসেছিলাম, তবে কেন জানিনা আমার একটু সমস্যা হচ্ছিলো সবকিছু চেক করতে। তারপরেও বেশ অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পরেও হয়নি, চেষ্টা করতে করতেই কখন ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতে পারিনি। এভাবেই কেটেছে আমার গত কালকের দিনটা।
Curated by: @ahsansharif
Thank you for your support @ahsansharif. 🙏
আপু, আপনার দিনের গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো। পিকলুর প্রতি আপনার যত্ন এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়। শীতকালীন দিনগুলোতে এমন সুন্দর মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আপনার শশুর মশাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং আপনার পরিবারে আরও সুখ-শান্তি আসবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। পিকলুর প্রতি যত্ন আমার জীবনে এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, এটা সত্যিই শুরুতে বুঝতে পারিনি। তবে আজ ওকে ছাড়া আমার জীবন সত্যিই অসম্পূর্ণ। চলতে থাকার নামই জীবন। সেখানে কখনো ভালো, কখনো মন্দ মুহূর্ত মুহূর্ত তৈরি হয়, এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করতে কখনো কখনো মন্দ লাগে না। আপনার প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।
আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালোই লাগলো! আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম আপনাদের ছাদ বাগানে নতুন ফুল ফুটেছে! রক্ত জবা ফুল দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনার পোস্টটি পড়ে আরেকটি বিষয় জানতে পারলাম। পিকলুর এতদিন ধরে দেখাশোনা মানুষ ছিল না। এই জন্য অরে কেউ ঠিকমত যত্নও করে নাই। আপনার শ্বশুর মশাইয়ের জন্য দোয়া রইল, উনি যেন খুব দ্রুত ভাবে সুস্থ হয়ে উঠেন। আজকে সারাদিনের বিষয়বস্তু নিয়ে, আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে যেহেতু আমি এবং আমার হাজব্যান্ড শশুর মশাইকে নিয়ে হসপিটালে ছিলাম, তাই পিকলুকে দেখার মত বাড়িতে শুধুমাত্র শাশুড়ি মা ছিলেন। যিনি পিকলুকে সময়মতো খেতে দিলেও ওকে ওষুধ খাওয়ানো না বা ওর পশম আঁচড়ে দেওয়ার মতো কাজগুলো কখনো করেননি। তাই সেগুলো করতে পারতেন না, এই কারণেই সব থেকে বেশি সমস্যা হয়েছিলো। আর আমরা কেউ ছিলাম না বলে, পিকলুও মন খারাপ করে তেমনভাবে কিছুই খায়নি সেকদিন। বাড়িতে এসে সারা গায়ে পশমে জট দেখে কাটতে বাধ্য হয়েছি। পশমের জন্য এতদিন ওর স্বাস্থ্য বোঝা যেত না, তবে পশম কাটার পর ওকে দেখলে সত্যিই মনটা খারাপ লাগে। যাইহোক চেষ্টা করছি ওকে সুস্থ রাখার, জানি না ঈশ্বর কি করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সময়টা অনেক বেশি ছোট হয়ে গেছে আসলে সকালবেলা নিজেদের সংসারের কাজ গুছিয়ে নিতে নিতে সময় কখন পেরিয়ে যায় বোঝাও যায় না যাইহোক তারপরেও আপনি আপনার নিজের সংসারের কাজগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নিয়েছেন পিকলু বাবু খিচুড়ি খাওয়ার জন্য হা করে তাকিয়ে আছে শীতের সময়ে খিচুড়ি কিন্তু খুবই মজার একটা জিনিস খেতে বেশ ভালোই লাগে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
খিচুড়ি খেতে পিকলু তখনই পছন্দ করে যখন তাতে চিকেন দেওয়া হয়। না হলে এমন হা করে খিচুড়ি দেখার মত সময় তার নেই 😊। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে চিকেন খাওয়া, চিকেনের পাশাপাশি আরও সবজি, ডাল এগুলোকে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যেই মূলত খিচুড়ি তৈরি করা। শীতকালে সব কাজ গুছিয়ে উঠতে বেশ তাড়াহুড়ো লাগে ঠিকই, তারপরেও করতে তো হবেই। ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।