Better life with steem// The Diary Game// 24th April,2025

in Incredible India25 days ago
IMG_20250426_234427.jpg
"আমার সারাদিনের কিছু মূহুর্ত"

Hello,

Everyone,

কেমন যেন বদলে যাচ্ছে ভালো থাকার পরিভাষা। ভালো থাকার সকল চেষ্টা কিভাবে যেন ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। রোজ লড়ছি নিজের সাথে, পরিস্থিতির কাছে হার মানলে চলবে না। নিজের জন্যে কিছুটা সময় বের করতেই হবে। যা শুধু আমার হবে।

এতো কিছুর পরেও মাথায় লক্ষ্য কোটি চিন্তার ভিড়। নিজেকে এমনভাবে মোটিভেট এর আগে কখনোই করি নি। এর থেকেও কম খারাপ পরিস্থিতিতে হার মেনে নিতাম। এবার বয়সের সাথে সাথে ধৈর্য্য বেড়েছে নিজেই তা অনেকখানি উপলব্ধি করতে পারি। তবে হ্যাঁ সব লড়াইয়ের একটা শেষ আছে, এমন ভাবে আর কতদিন নিজেকে মোটিভেট রাখতে পারবো সত্যিই জানিনা।

যাইহোক কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশা করছি প্রত্যেকে খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলেরই আজকের দিনটি খুব ভালোভাবে কেটেছে।

1672344690977_010726.jpg

"সকালবেলা"

IMG_20250426_231241.jpg

গতকাল ছিল বরুথিনী একাদশী আর আজ ছিল পারণ। সকালবেলায় স্নান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পারণ শেষ করে নিই। তবে শান্তি মতো পুজো দেওয়ার সময় থাকে না বলে পুজোটা দুপুরেই দেওয়া হয়। রোদ্দুরের তাপ সকাল থেকেই জানান দেয় সারাদিন কি পরিমাণে গরম পরবে।

শাশুড়ি মা বাড়িতে না থাকার কারণে আজ সারাদিন অনেক বেশি সাংসারিক কাজের চাপ ছিলো। গত তিন চার দিন যাবত আমার নিজের শরীরও বেশ খারাপ, কোমড়ের ব্যাথাটা খখুব বেড়েছে, তার সাথে চোখের অবস্থাও বেশ খারাপ।আর এই সবের পাশাপাশি মনটাও।

এতোদূর পর্যন্ত গতকাল লিখেছিলাম ঠিকই, তবে এরপর আর এগোতে পারিনি। আজ সারাদিন বাড়িতে সব কাজের চাপ ছিলো, পাশাপাশি কমিউনিটির কাজ ছাড়াও নতুন একজন মডারেটরকে ট্রেনিং দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে মিশিয়ে সময় কখন অতিবাহিত হয়েছে সত্যি বুঝতে পারিনি। যাইহোক চলুন এরপর থেকে দিনটি কিভাবে কেটেছিল সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

IMG_20250426_000916.jpg

গতকাল আমার নিরামিষ ছিলো। তবে শুভ আর শ্বশুর মশাইয়ের জন্য ভোলা মাছের তরকারি রান্না করেছিলাম। সেই সমস্ত রান্না শেষ করে, রান্না ঘরের সবকিছু পরিস্কার করে তারপর নিজের জন্য নিরামিষ রান্না করি। মটর ডালের বড়া দিয়ে তরকারি রান্না করেছিলাম, তার সাথে আলু ভাজা। এর ফাঁকেই আবার উপরে গিয়ে গাছের সব ফুল তুলে নিয়ে আসলাম। রোদ্দুরে গাছগুলোর অবস্থা একেবারে শোচনীয় হয়ে যায়।

IMG_20250426_000845.jpg

শুভ অফিসে বেড়ানোর আগেই শ্বশুরমশাই এর ব্রেকফাস্ট হয়ে গিয়েছিলো। শুভ বেরিয়ে যাবার পর আমার বেশ খিদে পেয়েছিলো, তাই একটু আলু ভাজা দিয়ে মুড়ি খেয়ে নিয়েছিলাম।

1672344690977_010726.jpg

"দুপুরবেলা"

IMG_20250426_001516.jpg

এরপর কিছু জামা কাপড় ধুয়ে ছাদে মেলে দিলাম। এরপর তাড়াতাড়ি স্নান সেরে পুজো দিয়ে নিলাম। খুব আফসোস হচ্ছিলো, এইদিন ভগবদ্গীতা পাঠ করার সময় হয়নি বলে। আসলে শশুর মশাইকে খেতে দিতে হবে বলেই সময় পাইনি। উনি আবার স্নান করেই খেতে বসে যান। এই একটি সমস্যা ওনাকে নিয়ে প্রতি ৩০-৪০ অন্তর শুধু খেতে চান।

যাইহোক ওনার খাওয়া শেষ হলে আমি পিকলুকে খাইয়ে দিয়ে সবকিছু মুছে নিজের নিরামিষ খাবার নিয়ে লাঞ্চ করলাম। তারপর আবার সবকিছু গুছিয়ে রেখে ভেরিফিকেশন শুরু করলাম।

1672344690977_010726.jpg

"সন্ধ্যাবেলা"

টানা সন্ধ্যা পর্যন্ত ভেরিফাই করলাম। আজকাল একটানা ফোনের দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ আর মাথা খুব ব্যাথা করে। উঠে সন্ধ্যা পুজো দিয়ে শশুর মশাইকে চা করে দিলাম। বুমিং এর কাজ নিয়ে সবে বসলাম। শুভ এলো অফিস থেকে। ওকে শরবত দিয়ে টিফিন দিয়ে আবার বসতে না বসতেই শশুর মশাই পাঁপড় ভাজা খেতে চাইলেন।

IMG_20250426_000732.jpg

এতো গরমে পাঁপড়ের কথা শুনেই রাগ হলো। কিন্তু উপায় নেই। কারনটা না হয় উহ্য থাক। অগত্যা পাঁপড় ভেজে ওনাকে দিলাম। আর আমিও এক টুকরো হাতে নিলাম। তা দেখে পিকচার কান্ড দেখুন। প্রসঙ্গত জানাই পিকলুর শরীর খুব একটা ভালো নেই। বেশ অসুস্থ, তবে আমরা সকলে বাড়ি থাকলে ও একটু চনমনে থাকে, তবে একজনও যদি না থাকে ওর মন খারাপ হয়। বিশেষ করে আমি না থাকলে ও সর্বক্ষণ বারান্দায় বসে থাকে।

1672344690977_010726.jpg

"রাত্রিবেলা"

যাইহোক, রাতে শশুর মশাইয়ের সুগার চেক করে, রুটি করলাম। পিকলুকে খাওয়ানোর পর আমি আর শুভ ডিনার করতে বসলাম। আমি বসে ছিলাম ঐ পর্যন্তই, তবে কিছুই খেতে পারিনি। একাদশী হোক বা অন্য কোনো কারনে উপোস করলে পরদিন আমার শরীর একটু নড়বড়ে থাকে।

IMG_20250426_002219.jpg

সব কাজ গুছিয়ে পোস্ট লিখতে শুরু করেছিলাম। তবে মাথা ব্যাথার কারনে হয়ে ওঠেনি। অনেকক্ষণ ছাদে গিয়ে খোলা আকাশের দিকে চেয়ে রইলাম। কি ভাবছিলাম জানি না, তবে আকাশের মতোই দিগন্তের পাড়ের কিছু ভাবনা চলছিল বোধহয়। সম্বিত ফিরলো মশার কামড়ে।

যাইহোক এই ছিলো গত পরশু দিনের সকল কার্যক্রম, যা আজ শেয়ার করলাম। ভালো থাকবেন সকলে। শুভ রাত্রি।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328TqCvhjhspw5NBPbWMShaDD4yjYoZFwyWS9XH9YcrMyqTMGHiWpaGrwDGkXYMbDHgxptYZq3ueRpXapEAPkAuu3vPaZSXJ2USdTC.png

Sort:  
Loading...
 13 days ago 

আসলে আমরা যতই চেষ্টা করছি ভালো থাকবো দিন শেষে কেন যেন মনে হয় আমাদের লড়াইটা শুধুমাত্র বৃথা আমরা আসলে ভালো থাকতে পারি না সংসারের কাজ রান্না বান্না করা আপনাদের আবার পুজার কাজ সবকিছু মিলিয়ে অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম আপনি তার উপরে আপনার শ্বশুর আবার পাঁপড় ভাজা খেতে চেয়েছে যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।