"Better life with steem// The Diary Game// 18th July,2025"
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
এই বছরের সেরা বৃষ্টি বোধহয় আজ দুপুরেই হলো আমাদের এখানে। গত কয়েকদিন যাবৎ মোটামুটি বৃষ্টি হয়েই চলেছে, তবে আজকের বৃষ্টি ছিল সবথেকে সেরা। একটানা অনেকক্ষণ এমন মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি গত কয়েকদিন।
এমনই একটা দিনের সকল কার্যক্রম আজ আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করে নেবো। তার আগে সকলের কাছেই জানতে চাই, কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশা করছি প্রত্যেকে ভালো আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটাও সুন্দরভাবে কেটেছে। সারাদিন আমি কিভাবে কাটালাম চলুন সেই গল্পই শেয়ার করি আপনাদের সাথে।
|
---|
ভোররাত ৪.৪০ পরে কখন ঘুমিয়েছি সেটা বলতে পারবো না। গতকাল রাত্রে কিছুতেই ঘুম এলো না। আসলে শুতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই খবর পেলাম আমার মামীর মা মারা গেছেন। বোন ফোন করে জানানোর পর থেকেই মনটা ভালো লাগছিলো না, কিন্তু অতো রাতে যাওয়ার উপায়ও ছিল না।
ভেরিফিকেশনের কাজ শেষ করে বিছানায় গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ফোন দেখলাম। তবে ঘুম আসছিল না কিছুতেই। ফোন বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে রইলাম কিছুক্ষন, তবে ঘুম না আসলে চুপচাপ শুয়ে থাকাটা আমার জন্য অনেক কষ্টকর। তাই আবার হেডফোন কানে নিয়ে ফোন দেখতে শুরু করলাম। বাইরে তখন ভোরের আলো ফুটে গেছে। আকাশ মেঘলা ছিল না, সেই কারণে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল না যে প্রায় সকাল হয়ে এসেছে।
সেই সময় উঠে হাত, মুখ, ঘাড়ে ভালো করে জল দিয়ে আবার পুনরায় এসে বিছানায় শুলাম একটু ঘুমের আশায়। এরপর কখন চোখ লেগেছে জানিনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোনের অ্যালার্ম শুনতে পেলাম। তখন দুচোখে প্রচুর ঘুম থাকলেও ঘুমানোর মতো সময় ছিল না সেই কারণে উঠে পড়লাম।
গত কয়েকদিন বাড়িতে পুজো দেওয়া হচ্ছে না অশৌচের কারণে। গাছের ফুলগুলোকে প্রত্যেকদিন ঝরে যেতে দেখে বেশ খারাপ লাগে, কিন্তু কিছু করার নেই। নিয়মের বেড়াজালে আমরা সকলেই বন্দি। যাইহোক সকালটা বেশ রৌদ্রজ্জ্বল ছিলো। আমিও ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে চা করলাম। আমি চা খেতে পছন্দ করি না খুব একটা, তবে আজ শরীরটা বেশ খারাপ লাগছিলো, তাই নিজেও একটু চা খেলাম আজ অনেকদিন বাদে।
যেহেতু বাড়িতে এখন নিরামিষ রান্না হয় তাই দুপুরে বেশিরভাগ দিন শুভ অফিসে রুটি নিয়ে যায়। আজ রুটির সাথে দেওয়ার জন্য নিরামিষ ভাবে ছোলার ডাল রান্না করেছিলাম। তার সাথে গতকাল রান্না করা সিমুই ছিল ফ্রিজে, সেটাই দিয়ে দিয়েছিলাম।
রুটি করার পর ওর টিফিন গুছিয়ে দিলাম। ও ব্রেকফাস্ট করে অফিসে বেরোনোর পর রোদ্দুর দেখে ভেবেছিলাম আজ কিছু জামা কাপড় কাঁচবো। কিন্তু তখন শাশুড়ি মা বলল কয়েক দিন বাদে আবার সবকিছু কাঁচাকাচি করতে হবে, তাই আজ আর কিছু না কাঁচাই ভালো।
|
---|
পুজো না থাকার কারণে যেন মনে হয় সারাদিনই তেমন কোনো কাজ নেই। দিনের মধ্যেই সব থেকে ভালো লাগার কাজ এই পুজো দেওয়া। তবে গত কয়েকদিন সেটা না দিতে পারার কারণে যেন সারাদিনটাই মূল্যহীন মনে হয়।
আমাদের পাশের বাড়ির যে মামাদের কথা মাঝেমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করি, সেই বাড়ি থেকে মামী এসে আমাদের গোপালকে নিয়ে গেছেন। কারণ এতোদিন পর্যন্ত গোপালকে উপোস রাখা যাবে না। তাই আমাদের বাড়ির অশৌচের কথা ওনাকে জানাতেই, উনি গোপালকে নিয়ে গিয়েছেন উনার বাড়িতে, যেখানে গোপাল বেশ ভালো আছে।
ভেবেছিলাম আজ তাড়াতাড়ি স্নান করে দুপুরে একটু ঘুমাবো, যেহেতু রাতে এতটুকুও ঘুম হয়নি। এরকমই পরিকল্পনা করে একটু তাড়াতাড়ি স্নান করতে গিয়েছিলাম। তখন আকাশের মেঘ দেখে মনে হল যেন এক্ষুনি বৃষ্টি নামবে। অথচ সকলের রোদ্দুর দেখে মনে হয়েছিল সারাদিনই আজ হয়তো আবহাওয়া ভালো থাকবে।
স্নান সেরে বেরোতে না বেরোতেই মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হলো। দেখতে দেখতে আমাদের ছাদে জল জমে গেলো। এমন একটানা বৃষ্টি আরো কিছুক্ষণ চললে জল আমাদের ঘরে উঠে আসতো। কারণ পাইপ দিয়ে জল বেরোতে যে সময় লাগছে, তার আগেই বৃষ্টির বেগের কারনে জল জমছে বেশি।
বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম উপরের ঘরেই। যদি জল ওঠে তাহলে ব্যবস্থা করতে হবে ভেবে। তবে জল প্রায় ছুঁই ছুঁই হলেও ঘরে ওঠেনি। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর নিচে নামতে গিয়ে দেখি, সামনের ছাদ থেকে জল আমাদের সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে নিচের বারান্দা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বৃষ্টি কমার পর সেই সমস্ত কিছু আবার পরিষ্কার করে পুনরায় স্নান করে আসতে হলো।
আজকে দুপুরের মেনুতে আমাদের খিচুড়ি ছিলো, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি তার ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি। তবে কেন জানিনা খিচুড়ি আমার ভীষণ পছন্দের হলেও আজ খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে করছিল না।
আসলে সকালে ব্রেকফাস্টে আমি নিজের জন্য ম্যাগি বানিয়েছিলাম। ডিম, পেঁয়াজ এগুলো খেতে পারবো না, তাই একটু আলু, একটু টমেটো, এই সমস্ত কিছু দিয়ে তৈরি করেছিলাম এবং সেটা খাওয়ার পর থেকে পেটটা ভরা ভরা ছিলো বলেই, দুপুরে আর তেমন খেতে ইচ্ছা করছিলো না। যাইহোক অল্প একটু খেয়ে তারপর একটু শুলাম ঘুমানোর জন্য।
|
---|
সন্ধাবেলায় সন্ধ্যা পুজো দেওয়া না থাকলেও প্রতিদিন সময় মত উঠে লাইট জ্বালিয়ে দুয়ারে জল দেওয়ার কাজটা থেকেই যায়। আর সন্ধ্যা বেলায় শুয়ে থাকাটা আমার একেবারেই পছন্দ নয়, তাই উঠে বাইরের লাইট, উপরের ঘরের লাইট, সবগুলো জ্বেলে দিয়ে তারপরে এসে নিচে এসে বসলাম।
বৃষ্টি ততক্ষণে কমে গিয়েছে ঠিকই তবে অফিস থেকে ফিরে শুভ বললো আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা এগিয়ে আমন্ত্রণ মোড় বলে একটা জায়গা আছে, সেখানে এখনো পর্যন্ত জল জমে আছে অনেকটা। আসলে যে পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে তাতে ওখানে জল জমবে এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। কারণ অল্প বৃষ্টিতেও ওখানে জল জমে।
যাইহোক এরপর শুভকে এককাপ চা করে দিলাম, তার সাথে কয়েকটা নিমকি খেলো। আমি আর কিছু খাইনি। আমি এসে ফোন হাতে বসতেই আমার বান্ধবী ফোন করলে ওর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে, আমি আবার মামিকে ফোন করে সবটা জানলাম।
সবার সাথে কথা বলা সম্পন্ন করে আমি পোস্ট লিখতে বসেছি,এরপর নিয়ম অনুসারে রাতের বেলায় রুটি তৈরি করে সকলে মিলে ডিনার সম্পন্ন করে আমি পোস্ট ভেরিফাই করতে বসবো। এইভাবেই কেটেছে আজ আমার বর্ষা মুখর দিনটা। তবে খুব ইচ্ছে ছিল আজ মামীর কাছে যাবো, সেটা হয়ে উঠল না। মামী চারদিনের কাজ করবে তখনও যেতে পারবো না আমাদের অশৌচের কারণে। সমাজের কি নিয়ম তাই না?
যাইহোক ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।
You have been supported by the Team 02:
Thank you for your support @pelon53 Sir. 🙏