Better life with steem// The Diary Game// 02 nd April,2025
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
গত কয়েকদিন ধরে কেমন যেন রোবটের মতন জীবন যাপন করছি। কি করছি, কেন করছি, কি করতে ইচ্ছা করছে কিছুই যেন বুঝে উঠতে পারছি না। তবে দিন কেটে যাচ্ছে দিনের মতোই।
যাইহোক, কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটা খুব ভালো কেটেছে।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করবো। তাহলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে, আমার দিনটা কেমন কেটেছে। চলুন তাহলে শুরু করি,-
|
---|
![]()
|
---|
সকাল থেকে আজ কাজের ভীষণ তাড়া ছিলো। গতকাল সকালে শাশুড়ি মা গিয়েছিলো ননদের বাড়িতে, বলেছিলেন বিকেলে ফিরে আসবেন, কিন্তু যথারীতি সন্ধ্যার পর জানিয়েছিলো রাতে আর ফিরবে না।
সকালে আমাকে বেরোতে হবে একথা জানানোর পর বলেছিলো, সকালে চলে আসবেন। তবে ওনার অপেক্ষায় থাকতে সময় মত আজ না শুভ অফিসে যেতে পারতো, না আমি সময় মত বেরোতে পারতাম।
যাইহোক ফোনে এলার্ম বাজে আগেই ঘুম থেকে উঠে পড়েছি। গতকালরাতে ঘুমিয়েছি দেরি করেই, তবে ভালো ঘুম হয়নি। যেহেতু শশুর মশাই নিচে ছিলেন, তাই আমি ও শুভ নিচেই শুয়েছিলাম। জায়গা বদলালে ঘুমের যেমন সমস্যা হয় তেমনটাই, তার উপরে সকালবেলা ওঠার একটা চিন্তা ছিলো, সবকিছু মিলিয়ে ঘুমটা হয়নি আসলে।
ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ বিছানাতেই বসে রইলাম। ততক্ষণে বাইরে রোদ্দুর দেখে ভাবছিলাম কিভাবে একটু বাদেই রোদের মধ্যে বেরোবো। যাইহোক উঠে উপরের ঘরের তালা খুলে,আগে ছাদের গাছের ফুলগুলো তুললাম। কারণ সকালে ফুল তুললে মনটা অনেকটা ভালো হয়ে যায়।
![]()
|
---|
পুজো দিয়ে বেরোতে পারব না বুঝতে পেরেছিলাম, তবে ফুলগুলো তুলে রাখলে একটা কাজ এগিয়ে থাকবে এই আর কি। যাইহোক এরপর যথারীতি রান্নাঘরে গিয়ে কাজ শুরু করলাম। সময়মতো শুভকে ও শশুর মশাইকে চা দিয়ে, শ্বশুর মশাইয়ের রুটি তৈরি করলাম। পাশাপাশি শুভর জন্য অফিসের রান্নার শেষ করে, ওকে ব্রেকফাস্ট দিলাম।
শুধু ওকে দিয়েছি বললে ভুল হবে। আজ ওর সাথে সাথে আমিও ব্রেকফাস্ট করে নিয়েছিলাম। না হলে কিছু না খেয়েই বেরিয়ে যেতে হতো। ব্রেকফাস্টে আজকে ডাল সিদ্ধ দিয়ে গরম ভাত খেয়েছি আমরা। অনেকদিন পরে খাওয়াতে বেশ ভালই লাগলো।
![]()
|
---|
এরপর দেরি না করে শুভর সাথে বেরিয়ে পড়লাম। ওকে বলেছিলাম স্টেশনে আমাকে নামিয়ে দিতে, না হলে ট্রেনটা কিছুতেই পেতাম না। তবুও দৌড়ে গিয়ে ট্রেনটা ধরলাম বলতে পারেন। দাদার আগে আমাকে বারাসাতে পৌঁছাতেই হতো, অপারেশন হওয়ার পর এই প্রথম দাদা ট্রেনে একা আসছিলো, তাই ওনার আগে আমাকে গিয়ে দাঁড়াতে হতো।
যাইহোক আমি গিয়ে পাঁচ থেকে সাত মিনিট দাঁড়ানোর পর দাদার ট্রেনের এনাউন্সমেন্ট হলো। বাবা দাদাকে বারাসাত লোকালেই তুলে দিয়েছিলো, তাই দাদার নামতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। এমনিতে ঠিকই আছে, তবে এখনো ব্যালেন্সে একটু সমস্যা হয় বলে, তড়িঘড়ি আমাকে যেতে হলো।
![]()
|
---|
গত ১২-১৩ দিন দিদি প্রতিদিন সকালে সাড়ে সাতটা নাগাদ বেরিয়ে যায়, বাড়ি ফিরতে রাত সাড়ে আটটা বাজে। ওর অফিসে এই মুহূর্তে ভীষণ চাপ চলছে এবং আগামী ৭ তারিখ পর্যন্ত এই কাজের প্রেসার থাকবে এমনটাই দাদার কাছ শুনলাম।
যাইহোক এরপর দুজনে দেখা করে রওনা হলাম আমাদের গন্তব্যে, যেটা ছিল ডিএম অফিস। আচ্ছা কি কাজে গিয়েছিলাম সেটাই তো আপনাদেরকে বলা হলো না।আসলে তাতানকে স্কুলে ভর্তি করতে হবে এই কারণে কাস্ট সার্টিফিকেট প্রয়োজন, যেটা গত বছর করার কথা ছিলো। কিন্তু দাদার এক্সিডেন্টের কারণে সমস্ত কিছু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো।
দেরি হয়ে গেলেও সমস্ত কাগজপত্র জোগাড় করতেই হবে, এই বছর ওকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভর্তি করার জন্য ফর্ম তোলা হয়েছে। যদি ডাক আসে তাহলে এই সকল কাগজ প্রয়োজন হবে, সেই কারণেই একটু তড়িঘড়ি কাজগুলো করার চেষ্টা বলতে পারেন।
|
---|
তবে শেষরক্ষা হলো না, এদিক ওদিক ঘুরে শুধু তথ্য সংগ্রহই হলো। কিন্তু কাজটা আজ করা সম্ভব হলো না, কারণ যে কাগজের প্রয়োজন ছিলো তারমধ্যে থেকে দুটো কাগজ দাদার কাছে ছিল না। তবে পরের দিন আসলে আর কোনো সমস্যা হবে না। কারণ কি কি ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে সবটাই আজ জানা হয়ে গেছে।
![]()
|
---|
ততক্ষণে রোদ্দুরের তাপ অনেক বেশি অসহ্য হয়ে গিয়েছিল। তবে দাঁড়িয়ে থাকলে চলবে না, পরে দাদার আরো একটা কাজ ছিলো। অনেকেই হয়তো জানেন, আমার দাদা (জামাইবাবু )আগে আর্মিতে চাকরি করতেন, তাই বারাসাতে আর্মিদের একটি অফিস আছে, যেখানে দাদার সামান্য কাজ ছিলো বলে যাওয়ার প্রয়োজন ছিলো।
ডিএম অফিস থেকে বেরিয়ে দুজনের মিলে রওনা করলাম সেই অফিসের দিকে। সেখানে গিয়ে দাদা প্রথমে নাম রেজিস্ট্রেশন করালো। দাদার নাম ছিল ৩৩ নম্বরে। বেশ কিছুক্ষণ আমাদের ওখানে অপেক্ষা করতে হয়েছিলো, তবে সেখানে অন্য কোনো লোকের ভিড় নেই। সকল আর্মির পরিবারের লোকজনদের ভিড় ছিলো।
তবে পরিবেশটা ছিল একজন শান্ত। মানুষের কথাবার্তাও তেমনভাবে শোনা যাচ্ছিল না। আর আর্মিদের সবকিছুই আসলে নিয়ম কানুন অনুসরন করেই হয়, সেটা এখানে গিয়ে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম। আমি বসে পোস্ট ভেরিফিকেশন করছিলাম, আর অন্যদিকে দাদা কাজের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
কাজ মেটানোর পর আমরা দুজনেই বাইরে এসে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা করলাম। দাদাকে একটা ফাঁকা ট্রেনে তুলে দিয়ে বাবাকে ফোন করে জানিয়ে দিলাম, যাতে বাবা দাদাকে স্টেশন থেকে নিয়ে যায়। আর আমিও মিনিট দশেক পরে ট্রেন ধরে বাড়িতে ফিরলাম।
![]()
|
---|
কি যে অসম্ভব গরম ছিলো আজ, তা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ভীষণ কষ্ট হয়েছে আজ রোদ্দুরের মধ্যে ঘুরে। যাইহোক বাড়িতে এসে স্নান করে, খাওয়া দাওয়া সম্পূর্ণ করে, কমিউনিটির একটু কাজ করতে করতেই সন্ধ্যা হয়ে গেলো।
|
---|
সন্ধ্যা বেলায় সন্ধ্যা পূজোর দেওয়ার পর বুমিং দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করে, পোস্ট ভেরিফাই করেছি। আজ সাড়ে আটটা নাগাদ শশুর মশাইকে রুটি করে দিয়েছি। কারণ আজ রাত ৯টার পর ওনার কোনো কিছু খাওয়া বারণ। কাল খুব সকালে আমরা ওনার এন্ডোস্কোপি করানোর জন্য হসপিটালে যাবো। তাই এই নিয়মগুলো পালন করতেই হবে। শুভ বাড়িতে ফিরলে ওকে একটু ছাতু মুড়ি মেখে দিলাম।
|
---|
এরপর বেশ কিছুক্ষণ আমি কমিউনিটিরই অন্য কাজে ব্যস্ত হলাম। আজ থেকে ভাই আমাদের কমিউনিটিতে মডারেটর হিসাবে যুক্ত হয়েছেন। গত দুই দিন ধরে ওনাকে বিষয়টা বোঝানোর দায়িত্ব ছিলো আমার উপরে। যদিও তিনি অনেকটাই জানেন, তৎসত্ত্বেও আমরা কিভাবে কাজ করি সে বিষয়গুলো নিয়ে ওনার সাথে কথা বলেছি।
আজ অ্যাডমিন ম্যাম ওনাকে ট্যাগ দেওয়ার পর, উনি প্রথমবার পোস্ট ভেরিফাই করেছেন। আমার তরফ থেকে ওনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা জানাই। আর আশারাখি আমাদের সাথে তার এই পথ চলা সুদীর্ঘ হবে।
![]()
|
---|
রাতের বেলায় কালকের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শুভ ও আমি মিলে ঠিক করে নিলাম। পিকলুকে খাবার দেওয়ার পর ওষুধ দিয়ে দিলাম এবং আমরাও খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম। পোস্ট আগে কিছুটা লিখে রেখেছিলাম, এখন বাকিটা সম্পন্ন করলাম। গতকাল সিচুয়েশন কি হবে জানিনা। অবশ্যই শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। সকলে ভালো থাকবেন।
মাঝেমধ্যে আমাদের এতটাই চাপ হয়ে যায় যে মানসিক চাপে আমরা পড়ে যায় কি করছি কেন করছি এটার উত্তর আমরা খুঁজে পাই না তাই মনে শান্তি নিয়ে আসার জন্য একটু খোলামেলা জায়গায় ঘুরেফিরে আসাটা অনেক জরুরী।
আপনার শাশুড়ি আম্মা ননদের বাসায় গিয়েছিল সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে বলে আর বাড়িতে ফিরতে পারে নাই তার পাশাপাশি আমার তো মনে হয় আপনার শাশুড়ি আম্মা বাড়িতে আসে নাই এটা ভালো কাজ করেছে মেয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছে গিয়ে একটু সুখ-দুঃখের গল্প সবকিছু করবে এটা ভালো বলে আমার মনে হয়।
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator08. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.