" অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে ফিরে পাওয়া আনন্দের কিছু মুহুর্ত"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
যে ছবিগুলো আজ আমি আপনাদের সাথে এই পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করবো, সবগুলি আমার দিদি হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে আমাকে পাঠিয়েছিলো বেশ কয়েক দিন আগেই।
আসলে এই দিনটিকে দিদিদের সাথে থেকেই উদযাপন করতে চেয়েছিলাম, তবে তা হয়ে ওঠেনি এবছর। কারণ তার দুদিন আগে শশুরমশাইকে নিয়ে হসপিটাল থেকে ফিরেছিলাম প্রায় ১৩ দিন বাদে। ফলত অনেক কাজ জমে গিয়েছিলো বাড়িতে। তার উপরে পিকলুর শারীরিক অবস্থার কথাও আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম। সবকিছু মিলে আর দিদি বাড়িতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
খুব ইচ্ছে এই বছরের এই দিনটিকে একটু অন্যরকম ভাবে পালন করার, কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই যেমনটা জানি আমাদের জীবনে চাওয়া থাকে অনেক কিছু, কিন্তু পূর্ণতা পায় সেগুলোই যেগুলোতে আমাদের চাওয়ার পাশাপাশি ঈশ্বরেরও মর্জি থাকে।
![]()
|
---|
দিনটি ছিল 26 শে জানুয়ারি। প্রতিটি মানুষের জন্য এটি একটি বিশেষ দিন, কারণ এটি ছিলো প্রজাতন্ত্র দিবস। তার পাশাপাশি এটা আমাদের জন্য আরও একটু স্পেশাল কারণ, এই দিন আমার দিদির বিবাহ বার্ষিকী। হ্যাঁ বেছে বেছে ২৩শে জানুয়ারি আমি এবং 26শে জানুয়ারি দিদি বিয়ে করেছিলো, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই ছুটির দিনগুলোকে বেছে নেওয়ার বিশেষ কারণ ছিলো। যাইহোক সে সব কথা আজ থাক।
যারা আমাদের কমিউনিটিতে অনেক দিন ধরে যুক্ত তারা প্রত্যেকেই বোধহয় জানেন, দেড় বছর আগে আমার জামাইবাবুকে নিয়ে কি বিশাল এক লড়াই লড়েছি আমরা প্রত্যেকে। সেই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি পোস্ট, অনেক অনুভূতি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি বিভিন্ন সময়ে।
তবে বিশ্বাস করুন সেই সময় দাঁড়িয়ে আজকের দিনের এই মুহূর্তগুলো বেশ খানিকটা স্বপ্ন মনে হতো, যার সাথে বাস্তবতার মিল আমরা খুঁজে পেতাম না। যদিও ওই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে এই কল্পনাগুলো আমাদের মনে অনেকখানি শক্তি যোগাতো।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
যাইহোক, সেই সব দিন পিছনে ফেলে অনেকগুলো দিন এগিয়ে এসেছি আমরা। এখন পরিস্থিতি অনেকখানি ভালো। তাই এ বছর ইচ্ছে ছিলো ওদের বিবাহ বার্ষিকীতে ওখানে যাবো এবং এই দিনটাকে খুব ভালোভাবে পালন করবো। কিন্তু তেমনটা হলো না। আমি যেতে পারিনি বলে দিদিও তেমন কোনো কিছু আয়োজন করেনি।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
তবে দাদা দিদিকে একটা সোনার চেন গিফট করেছে। আসলে সোনা আমার দিদি ভীষণ পছন্দ করে এবং বিয়ের আগে থেকেই দাদাকে বলেছিলো, প্রতিবছর বিবাহ বার্ষিকীতে সামান্য হলেও সোনা ওকে উপহার দিতে হবে।
বিয়ের পর থেকে প্রতি বছরই দাদা দিদিকে কিছু না কিছু উপহার দেয়। তবে গত বছর সিচুয়েশন একটু আলাদা থাকলেও, এই বছর দুজনে দুই সন্তানকে নিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছে। অবশ্যই যদি আমি যেতে পারতাম, তাহলে হয়তো আয়োজনটা একটু ভালো করে করতে পারতাম।
![]()
|
---|
সত্যি বলতে বিয়ের অনেকগুলো বছর পর নিজেদের মধ্যে সময় কাটানোর থেকে, বাচ্চাদেরকে সাথে নিয়ে মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করতেই বোধহয় সকলেই অভ্যস্ত হয়ে যায়। কারণ নিজেদের থেকেও এই দিনগুলো নিয়ে বাচ্চারা বেশি উৎসাহী থাকে। যেমন এই বছরের এই কেকটা তাতানের পছন্দের। ইদানীং টিভি দেখে রেট ভেলভেট কেক নামটা শিখেছে।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
তবে তিতলি, এই দিন বিবাহ বার্ষিকীতে বেশ সুন্দর একটা কথা বলেছিলো, আমি তো ফোনে শুনে খুব হেসেছি। ও নাকি সকালে ঘুম থেকে উঠে দিদিকে বলেছে,- মা তুমি আর বাবা ১৪ বছর আগে এই দিনেই বিয়ে করেছিলে। তাহলে তোমরা আবার বিয়ে কর। আমি আর ভাই ঠাকুরের কাছে চলে যাচ্ছি, কারণ তখনও তো আমরা ছিলাম না। তোমরা বিয়ে করলে আমরা আবার তোমাদের কাছে বেবি হয়ে আসব।
![]()
|
---|
যাই হোক ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। এই মুহূর্তগুলো চিরস্থায়ী হোক আজীবনের জন্য। কারণ দাদাকে হারিয়ে ফেলার যে ভয় আমার দিদি পেয়েছিলো, সেই মুখে অনেকখানি হাসি দেখতে পেলাম ছবিগুলোর মাধ্যমে।।আপনজন হারিয়ে ফেলা যতখানি কষ্টের, আমার মনে হয় তার থেকেও বেশি কষ্টের সেই মুহূর্তগুলো, যেখানে সব সময় এই ভয়টা কাজ করে এই বোধহয় মানুষটা আমাকে ছেড়ে চলে গেলো।
![]()
|
---|
গোটা পৃথিবী তখন শূন্য মনে হয়। আর আমার দিদির পৃথিবী দাদাকে ঘিরেই। তাই দাদাকে ছাড়া বাচ্চাদেরকে নিয়ে ও কি করতো, এখনও তা ভাবতে পারি না। বা বলা ভালো ভাবতে চাইও না। এই ভাবেই আজীবন একে অপরকে জড়িয়ে থাকুক। ওরা বাচ্চা দুটোর মাথার উপরে থাকুক বাবা মায়ের ছায়া। দূর থেকে শুধু এতটুকুই চাওয়া।
আপনারাও সকলে ওদের জন্য প্রার্থনা করবেন। এই মুহূর্ত গুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে গিয়ে সত্যিই ভিতর থেকে অনেক বেশি খুশি হচ্ছে আমার। কারণ দিদির অসহায়ত্ব আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। ভালো থাকবেন সকলে। সকলের আপনজন সকলকে আগলে রাখুক, এইটুকুই প্রার্থনা।
|
---|
আপনার দিদির বিবাহ বার্ষিকীর এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে মন ভরে গেল। কঠিন সময় পেরিয়ে এ আনন্দের মুহূর্তগুলো আরো বেশি মূল্যবান হয়ে ওঠে। বাচ্চাদের কথা শুনে মনটা আনন্দে ভরে উঠলো, তাদের এই নিষ্পাপ চিন্তা সত্যিই মনোরঞ্জক।
দিদি ও দাদার একে অপরের প্রতি ভালোবাসা চিরকাল অটুট থাকুক। তাদের সুখিও শান্তিপূর্ণ জীবন কামনা করছি। তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Congratulations, your post has been upvoted by @scilwa, which is a curating account for @R2cornell's Discord Community. We can also be found on our hive community & peakd as well as on my Discord Server
Felicitaciones, su publication ha sido votado por @scilwa. También puedo ser encontrado en nuestra comunidad de colmena y Peakd así como en mi servidor de discordia
প্রথমেই দিদি ও দাদার জন্য রইল বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আগামি দিনগুলোও এভাবে যেন তারা সুখে হাসিখুশি থাকতে পারে। আশা করি আপনেও সামনের বিবাহ বার্ষিকীতে উপস্থিত হতে পারবেন সব ব্যস্ততা কাটিয়ে।
আসলে এই দিনটা প্রতিটা বিবাহিত মানুষের জীবনে একটা নতুন মাত্রা। যদিও আমি হয়ত এর মর্ম, ভালোবাসা, ভালো লাগা অনুভুতিটা ততটা বুঝতে পারব না, কারণ আমি এখনও বিবাহ করি নাই। তবে আপনার পোষ্ট থেকে যা বুঝলাম, দিনটা ঘিরে অনেক আবেগ ভালোবাসা জমে থাকে।
ধন্যবাদ দিদি পোষ্টটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
আপনার খুব ইচ্ছে ছিল আপনার দিদির বিবাহ বার্ষিকের এই দিনটি একসাথে উদযাপন করার জন্য, কিন্তু যেহেতু নিজের পরিবারের অনেক যায় ঝামেলা গেল। আঙ্কেল দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন এবং বাড়িতেও অনেকটা কাজ জমে গেছে সবমিলিয়ে এই আনন্দের অংশীদার হতে পারেননি। এতে করে হয়তোবা আপনাদের ভালোবাসার বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন হবে না, আপনার দিদির প্রতি আপনার ভালোবাসা খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন আপনার দিদির জন্য রইল।
এই পোস্টের মধ্যে যে পরিমাণ অনুভূতি এবং ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয় । দিদির বিবাহ বার্ষিকী, সোনার উপহার, বাচ্চাদের নিষ্পাপ মন্তব্য, এবং সেই সব সুন্দর মুহূর্তগুলো, সব মিলিয়ে জীবনের অমূল্য মুহূর্তগুলোর এক চিত্রে আপনি তুলে ধরেছেন। অনেক কঠিন সময় পার করার পর এমন সুন্দর এবং সুখী মুহূর্তগুলো আরও বেশি মূল্যবান হয়ে উঠেছে। দিদির প্রতি আপনার ভালোবাসা ও সমর্থন সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
২৭ জানুয়ারি আপনার দিদির বিবাহ বার্ষিকী দীর্ঘ 14 বছর ধরে তারা তাদের বিবাহিত জীবন এভাবেই পার করে এসেছে। দোয়া করি তারা আগামী জীবনেও অনেক বেশি ভালো থাকুক এভাবেই হাসিখুশি থাকুক, তাদের ছোট্ট পরিবার। আসলে আপনার দিদির কতটা পরিশ্রম আপনার জামাইবাবুর পেছনে সেটা আপনার আগের পোস্টগুলো থেকে আমরা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। তারপরেও দোয়া করি তারা ভালো থাকো সুখে থাকুক। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার দিদির বিবাহ বার্ষিকীর বিষয়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।