"গতকাল বান্ধবীদের সাথে কাটানো কিছু আনন্দের মুহূর্তের গল্প"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
সুপ্রভাত সবাইকে।
অনেকদিন বাদে আজ সকালে পোস্ট লিখতে বসলাম। আসলে গতকাল রাতে অনেক তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। যে কারণে আর পোস্ট লেখা হয়নি।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি গতকাল আমি এসেছি আমার গ্রামের বাড়িতে। রাতে আমার বান্ধবীর বাড়িতেই ছিলাম। সেখানে ডিনার করার পর গল্প করতে করতে অনেক তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিলাম, কারণ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সারাদিন মোটামুটি বেশ ব্যস্ততার মধ্যে পার করেছিলাম।
যে কারণেই রাতের দিকে ক্লান্ত হয়ে পরেছিলাম। আর গ্রামের পরিবেশ মোটামুটি রাত দশটার মধ্যে এতোটাই শান্ত হয়ে যায় যে, যেন মনে হয় কত রাত হয়ে গেছে। তখন যেন এমনিতেই ঘুম চলে আসে।
অথচ শশুর বাড়িতে থাকাকালীন তখনো আমি রুটি বানাতেও যাই না। কি অদ্ভুত মানুষের জীবনযাপন, স্থান পরিবর্তন এর সাথে সাথে সময়েরও কতখানি পরিবর্তন হয়ে যায়, সেটাই ভাবছিলাম রাতে শুয়ে পরার পর।
যাইহোক সকাল থেকে দিনটা কিভাবে শুরু হয়েছিলো সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। অনেকদিন আগের পোস্টে জানিয়েছিলাম কোমরে ব্যথার কারণে আমি আমাদের এখানে একটি হোমিওপ্যাথি ডাক্তারখানা থেকে ওষুধ খাই। গতকালও সেই ডাক্তার দেখাতেই এসেছিলাম।
এরপর বান্ধবী জোড়াজুড়িতে বাধ্য হয়ে ওদের বাড়িতে আসতেই হলো। গতকাল বাড়ি থেকে বেরোতেই প্রায় ১১ টার বেশি হয়ে গিয়েছিলো। তবে স্টেশনে পৌঁছানোর পরে দেখলাম ট্রেন আমার থেকেও বেশি লেট। প্রায় আট ঘন্টার উপরে প্ল্যাটফর্মে বসে ট্রেনের অপেক্ষা করার পর ট্রেন এলো।
![]()
|
---|
যতক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম, ততক্ষণ ওখানে বসে আমি প্রকৃতির রূপ পরিবর্তনের চিত্র দেখছিলাম। আজকাল আকাশের দিকে তাকালে আশা করছি সকলেই বুঝতে পারেন মায়ের আগমনে বার্তা প্রকৃতি ইতিমধ্যেই দিতে শুরু করেছে। নীল আকাশের মাঝে সাদা মেঘ পেঁজা তুলোর মতন উড়তে দেখা যাচ্ছে।
![]()
|
---|
তবে তারই মাঝে কখনো কখনো কালো মেঘের আনাগোনাও চোখে পড়ে। তাই ট্রেনের অপেক্ষা করতে করতে আমি আকাশের রূপ পরিবর্তনের সেই দৃশ্যগুলোই দেখছিলাম এবং তখন দুটো ছবিও তুলেছি আপনাদের দেখানোর জন্য।
যাইহোক এরপর ট্রেনে এলে ট্রেনে উঠলাম। যেহেতু ট্রেনটা অনেকটা লেট ছিলো, তাই ট্রেনে ভীষণ ভিড় ছিলো। অনেক কষ্ট করে আমাদের মছলন্দপুর স্টেশন নামার পর টোটো ধরে পৌছালাম ডাক্তারের কাছে।
![]()
|
---|
এটা আসলে সরকারি প্রাথমিক চিকিৎসালয়। গত শুক্রবার আসার কথা ছিলো, কিন্তু ১৫ ই আগস্ট থাকার কারণে সরকারি ছুটি ছিলো। ফলতো ডাক্তারখানাও বন্ধ ছিলো বলেই সোমবারে এসে অনেক ভিড় চোখে পড়লো।
লাইন দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমার বান্ধবীরাও পৌঁছে গেলো সেখানে। ওরাও গতকাল ডাক্তার দেখিয়েছে। সেখান থেকেই ডাক্তার দেখানোর কাজ এবং ওষুধ নেওয়ার কাজ শেষ করার পর, বান্ধবীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করলাম।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
![]()
|
---|
রাস্তায় আমাদের স্কুল চোখে পড়ল এবং স্কুলের সামনে ফুচকার কথা আমি আপনাদের সাথে আগেও শেয়ার করেছি। ওরা দুজনেই সেখানে ফুচকা খাবে বললো। তবে আমার গতকাল নিরামিষ ছিলো এবং ফুচকাতে যেহেতু পেঁয়াজ আছে, তাই আমি খাইনি। ওরা দুজন ফুচকা খেলো এবং পাশের মিষ্টির দোকান থেকে কিছু মিষ্টি নিয়ে আমরা রওনা দিলাম।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
রাস্তায় আসতে আসতে আকাশের কিছু সুন্দর ছবি তুললাম। তার সাথে সেখানে অনেকে বসে পাট বাছার কাজ করছিলো, যেগুলো এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়া কালীন সময়ে প্রতিদিন দেখার সুযোগ হতো। তবে আজকাল দেখতে পাই না বলে, কিছু মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করলাম।
দুপুরে বান্ধবীদের বাড়িতে নিরামিষ খাওয়া দাওয়া করলাম এবং প্ল্যান হলো রাতে আমরা সকলে নিরামিষ ঘুগনি এবং লুচি খাবো। বলতে পারেন একটা পিকনিকের আয়োজনে হয়ে গেলো। এরপর প্ল্যান হলো আমরা সকলে মিলে বিকেলে নৌকা চড়তে যাবো।
আপনাদের হয়তো মনে আছে এর আগের বছর এই সময়ের পোস্টে আপনাদের জানিয়েছিলাম যে, বৃষ্টিতে চাষের জমিতে এতো পরিমাণে জল জমে যায় যে, তার উপর থেকেই নৌকা চালানো যায়। গত বছরে এই নৌকায় চড়ার গল্প আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। দেখতে দেখতে মাঝখানে আরও একটা বছর কিভাবে কেটে গেলো, সেটাই কাল নৌকাতে ওঠার পর ভাবছিলাম।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
যাইহোক তিনজনে মিলে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। গতকাল অনেকক্ষণ নৌকার মধ্যে সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। শাপলাও তুলেছি। তবে সেই সকল গল্প অন্য আরেকটা পোস্টে সাজিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে ঠিক করেছি। সন্ধ্যা নাগাত আমরা বাড়িতে ফিরলাম। তারপর শুরু হল ঘুগনি রান্না করা ও লুচি তৈরি করার তোড়জোড়।
![]()
|
---|
মাঝখানে চলে গেলো কারেন্ট। অন্ধকারের মধ্যে ফোনের ফ্লাস জ্বালিয়ে কিছুক্ষণ কাজ করতে করতেই আবার কারেন্ট চলে এলো। তারপর রান্না শেষ হওয়ার পর সকলে মিলে একসাথে বসে ডিনার করলাম।
গ্রামে বরাবর নেটওয়ার্কের একটু সমস্যা হয়, বিশেষ করে দরজা জানলা আটকে দেওয়ার পর আরও বেশি সমস্যা দেখা দেয়। গতকালও তেমনটাই হচ্ছিলো।
![]()
|
---|
ঠিক করলাম সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই ভেরিফিকেশন এর কাজ শেষ করবো। ইতিমধ্যে ভেরিফিকেশন এর কাজ শেষ হয়েও গেছে। তারপরে ভাবলাম এখন আমার পোস্টটাও লিখে ফেলি। যাইহোক এইভাবে গতকালের দিনটা কাটিয়েছি।
তবে নৌকায় চড়ার মুহূর্তগুলো ভীষণই আনন্দের ছিলো একথা বলতেই হবে। যাইহোক আপনাদের সকলের আজকের দিনটি খুব ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা করে আজকাল পোস্ট এখানে শেষ করছি। পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সাথে নৌকায় চড়ার মুহূর্ত গুলো শুরু করবো।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।