"মেঘলাদিনের কিছু কথা ও কিছু মুহূর্ত "
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
গতকাল থেকে আকাশের মুখ ভার হয়ে আছে। শুনেছিলাম ঝড় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আকাশের মেঘ দেখে ভেবেছিলাম বোধহয় এমনটাই শুরু হবে।
গতকাল হসপিটাল থেকে সন্ধ্যার পর যখন মামা শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলাম, তখন ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছিলো। বাড়ি পৌঁছানোর পর মোটামুটি ভালোই বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। এমনিতেই রোদ্দুর ও এসির মধ্যে যাতায়াত করতে করতে, গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর ঠান্ডা লেগেছে। তার ওপর উপরি পাওনা ছিলো গতকাল রাতের বৃষ্টির জল।
গোটা রাত ভালো করে ঘুমাতে পারিনি। সকালে উঠে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি, গরম জলে আদা, গোলমরিচ সমস্ত কিছু খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে ভ্যাপার নিয়েছি। তার সাথে আদা ও গোলমরিচ দিয়ে গরম গরম এক কাপ চাও খেয়েছি।
এরপর রুমের জানলা খুলে দেখলাম বাইরে তখনও বৃষ্টি পড়ছে। আসলে মামা শ্বশুরবাড়িতে জানলা দরজা আটকালে বাইরে আওয়াজ খুব বেশি পাওয়া যায় না। আমরা মূলত ছোট মামা শ্বশুরের ঘরেই থাকছি। তিনি তাদের ব্যালকনির সম্পূর্ণটাই কাঁচ দিয়ে আটকে দিয়েছেন। ফলতো বাইরের থেকে আওয়াজ একেবারেই আসে না বললেই চলে।
![]()
|
---|
বৃষ্টির কারণে আজ সকালে আমাদের বেরোতে একটু দেরি হয়েছিল। শুভ একাই যাবে ঠিক হয়েছিলো, কিন্তু পরে ভাবলাম ও একা এসে কি করবে। গোটা দিন হসপিটালে বসে থাকাটাও অনেক কষ্টের। তাই আমি এলে শ্বশুর মশাইয়ের সাথে শাশুড়ি মা ও ননদের সাথে কথা বলা হয়। আজ কতগুলো দিন হয়ে গেলো মানুষটা হসপিটালে ভর্তি এবং আমরা দুজনে হসপিটালে গোটা দিন পার করছি।
![]()
|
---|
![]()
|
---|
রিপোর্ট আসতে এখনো দুদিন সময় লাগবে এমনটাই হসপিটালে এসে জানতে পারলাম। এরপরে শশুরমশাইয়ের কাছে এসে, দেখা করে, কথা বলিয়ে দিলাম শাশুড়ি মা ও ননদের সাথে। তারপর যথারীতি এসে বসলাম ওপিডি সেকশনে। ভিতরে আজ কোনোমতেই বসার সম্ভব ছিল না সেন্ট্রাল এসির কারণে সমস্ত জায়গা এতো ঠান্ডা থাকে যে, এমনি দিনেই বসা মুশকিল, আর আজ আবহাওয়াটা বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা, তার উপর আবার আমার ঠান্ডা লেগে গলা ব্যাথা ছিলো, তাই এসির মধ্যে বসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
![]()
|
---|
আজ শনিবার, তাই ওপিডিতে রোগির তেমন ভিড় নেই। যে কয়জন ছিলো দুপুর দুটোর পর তারাও চলে গিয়েছিলো। আমি এবং শুভ ছাড়া আর দুজন মানুষ বসেছিল গোটা ওপিডিতে। সেখান বসে আমি একটি কনটেস্ট পোস্ট লিখলাম। তারপর শুভ ফোন করাতে একতলায় গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ঔষধ নিতে লাইন দিলাম। আসলে বাড়িতে যে ওষুধগুলো শ্বশুরমশাই খাচ্ছিলেন, সেগুলোই এখানেও চলছে। তার মধ্যে থেকে তিন চারটে ওষুধ ফুরিয়ে গিয়েছে, যেগুলো আজ রাতে প্রয়োজন, সেগুলো কেনার জন্যই দুপুরে ওষুধের দোকানে লাইন দেওয়া।
যারা এই দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে থাকেন, তারা মূলত শনি ও রবি এই দুই দিন ওষুধ নিতে আসেন। কারণ অন্যান্য দিন ওপিডিতে রোগীর এতো ভিড় থাকে যে, তাদের লাইনই অনেকটা লম্বা হয়। এই কারণে বাকিরা এই দুটো দিনকেই বেছে ওষুধ কেনার জন্য।
কিছুক্ষণ বাদে শুভ ফিরে এলে আমি আবার লাইন থেকে বেরিয়ে নিচে এসে বসলাম এবং কমিউনিটির কাজ শুরু করলাম। ভিতরের দিকে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে বরাবর। আজ ও ওপিডিতে তেমন ভালো একটা নেটওয়ার্ক কাজ করছিল না। যাইহোক এরপর শুভ নিচে এলো এবং এক কাপ কফি খেলো। আমি কফি খেতে পছন্দ করি না এই কারণে আর খাওয়া হয়নি।
![]()
|
---|
একটু বাদে খেয়াল করলাম রোদ্দুর উঠেছে। মেঘ ভাঙা রোদ্দুর হলেও আজ তেজ খুব একটা না থাকলেও, অন্তত আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখে ভালো লাগছিলো। এমনিতেই আজ ঠিক করেছিলাম সন্ধ্যার একটু আগেই বেরিয়ে পড়বো যাতে গতকালের মত বৃষ্টিতে ভিজতে না হয়।
এরপর কিছু সময় শুভ ও আমি কথাবার্তা বললাম। আসলে অনেকদিন যাবত শুভর অফিস বন্ধ হচ্ছে। এছাড়াও শ্বশুর মশাইয়ের ট্রিটমেন্ট নিয়ে কিছু কথাবার্তা শেষ করার পর, শুভ গেটের বাইরে গিয়েছিলো শ্বশুরমশাইয়ের জন্য ব্রাউন ব্রেড আনতে।
আসলে হাই সুগার থাকার কারণে হসপিটালের খাবার খাওয়ার পরেও, মাঝেমধ্যে ওনার ভীষণ খিদে পায়। এই কারণে ডাক্তারের সাথে কথা বলায়, ডাক্তার ব্রাউন ব্রেড ও পেয়ারা খাওয়ার পারমিশন দিয়েছেন।
![]()
|
---|
এই কারণে একদিন বাদে বাদে এক প্যাকেট করে ব্রাউন ব্রেড ওনাকে কিনে দেওয়া হয়। প্রতিদিনই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে হসপিটালে যাই, হয়তো ছুটি দেবে সেই আশায়। কিন্তু দিনশেষে সেই মামা শশুর বাড়িতেই আবার ফিরে আসতে হয়। আজ সারাদিন মোটামুটি নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি কাশি এই চলেছে।
বাড়িতে ফিরে বেশ কিছুক্ষণ পরে, গরম জল দিয়ে স্নান সেরে, এক কাপ গরম চা খেয়ে, তারপর বুমিং এর কাজ নিয়ে বসেছিলাম। সেগুলো শেষ করে পোস্ট ভেরিফাই করবো। তার আগে ফোনটা একটু চার্জে বসিয়ে নিয়ে দিদির সাথে কথা বললাম। সত্যি কথা বলতে একই কথা প্রতিদিন সবাইকে বলতে ভালো লাগে না, আজকাল তো আমি কিছু কিছু ফোন এলে সেগুলো রিসিভও না।
মূলত বাড়িতে যাওয়ার জন্যই মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে। এতোগুলো দিন বাড়ির বাইরে এইভাবে থাকতে সত্যিই আর ভালো লাগছে না। এখন শুধু রিপোর্টের অপেক্ষা। যদিও রিপোর্ট পজিটিভ আসবে কিনা জানিনা, এই থেকে যাওয়া আরও দীর্ঘ হবে কিনা, তবে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি রিপোর্ট যাতে নেগেটিভ আসে এবং আমরা তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পারি।
মাঝেমধ্যে শুভদের বাড়িটাকে নিজের বাড়ি বলে ভাবতে ইচ্ছা করে না, তবে ওই বাড়িটার থেকে এতদিন দূরে থেকে কেন জানিনা মনটা ব্যাকুল হয়। সত্যি বলতে মেয়েদের জীবন বড় অদ্ভুত। বিয়ের আগে বাপের বাড়ি, বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি, কোনোটাই মেয়েদেরকে ছাড়া চলে না, আবার কোনোটাই তাদের আপন বাড়ি হয় না।
|
---|
Thank you for your support @abdullahw2. 🙏
সর্বপ্রথম আপনার জন্য এই কথাটি বলব নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখবেন। এবং আপনি যে পরিশ্রম গুলো করছেন সেখানে আপনার নিজের শারীরিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আসলে মাঝে মধ্যে আমাদের ঠান্ডার জন্য অনেক সমস্যা দেখা দেয় । এটা ভালো কাজ করেছেন সকালে ঔষধ খেয়েছেন। আশা করি আপনি এখন অনেক সুস্থ আছেন। এবং আপনার ধারন করা ছবি গুলো সত্যি অসাধারণ ছিলো।
মোটামুটি বলা যায় আপনার দিনগুলো অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে যাচ্ছে আসলে পরিবারের একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে কি পরিমানে পেরেশানির মধ্যে পড়তে হয় সেটা আপনার পোস্ট না পরিদর্শন করলে হয়তোবা বুঝতেই পারতাম না এমনিতেই আপনার এসির মধ্যে থাকতে থাকতে সমস্যা হয়ে গেছে তার উপরে আবার বৃষ্টির পানি রাতে ঘুমাতে পারেননি খুবই দুঃখজনক একটা বিষয় অবশ্যই নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন।