"শীতকালীন নতুন আলু দিয়ে সুস্বাদু তেলাপিয়া মাছের ঝোল"
|
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং সকলেরই আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে।
অনেক দিন হলো আপনাদের সাথে কোনো রেসিপি শেয়ার করা হয় না। সত্যি কথা বলতে মাঝে কয়েক দিন শশুর মশাইয়ের শারীরিক অবস্থার কারণে অন্যদিকে এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, কোনো রান্নাবান্না করা হয়নি।
তাছাড়া শুভও অফিসে যায় নি। গতকাল থেকে অফিসে যাওয়া শুরু করেছে, তাই রুটিন মাফিক বলতে পারেন গতকাল থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। যাইহোক আজ আমি সকালবেলায় নতুন আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছের ঝোল রান্না করেছিলাম।
তখনই ভাবলাম যে আপনাদের সাথে রেসিপিটি শেয়ার করবো। তাই প্রতিটি ধাপের ছবি তুলেছিলাম। অনেক সময় তাড়াহুড়োর কারণে রান্নার প্রতিটি ধাপের ছবি তোলা না হওয়ায়, অনেক রেসিপি শেয়ার করা হয়ে ওঠে না। যাইহোক চলুন আজকের রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি, -
|
---|
নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১. | তেলাপিয়া মাছ (ছোট সাইজের) | ৭-৮ টি |
২. | নতুন আলু | ২ টি |
৩. | উচ্ছে | অর্ধেক |
৪. | গোটা জিরা | ১½ চা চামচ |
৫. | কাঁচা লঙ্কা | ৪ টি |
৬. | কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো | ½ চা চামচ |
৭. | সরষের তেল | ৫ চা চামচ |
৮. | হলুদ গুঁড়ো | ১চা চামচ |
৯. | জিরে গুঁড়ো | ১ চা চামচ |
১০. | লবন | স্বাদ অনুসারে |
১১. | ধনে পাতা কুচি | হাফ কাপ |
|
---|
আপনার অনেকেই জানেন, আমার শাশুড়ি সপ্তাহে একদিন বাজারে গিয়ে বিভিন্ন রকমের মাছ নিয়ে আসেন। মাছগুলো কেটে ধুয়ে আলাদা আলাদা প্যাকেট করে ফ্রিজে রেখে দেন।
গতকাল রাতে আমি তেলাপিয়া মাছের প্যাকেট নামিয়ে রেখেছিলাম। সকাল বেলায় রান্না করার সময় আরও একবার ভালো করে ধুয়ে, তারপর পরিমাণমতো লবণ ও হলুদ মাখিয়ে রাখলাম কিছুক্ষণ।
এরপর নতুন আলু ও উচ্ছে গুলোকে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিলাম।
এরপর কড়াই গরম করে, তাদের পরিমাণ মতো সরষের তেল দিয়ে, মাছগুলো ভাজতে দিলাম। মাছ ভাজা হতে হতে আমি শিলনোড়ায় কাঁচা লঙ্কা ও গোটা জিরে ভালো করে বেটে মশলা তৈরি করে নিলাম।
এরপর যে পাত্রে মাছগুলোকে লবণ হলুদ মাখিয়েছিলাম সেই পাত্রে মশলাটা নামিয়ে, তাতে পরিমাণ মতো কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো ও হলুদ নিয়ে নিলাম।
মাছগুলো এদিক ওদিক করে ভাজা হয়ে গেলে, সেগুলোকে নামিয়ে নিয়ে, অল্প পরিমাণে গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে, তার মধ্যে আগে থেকে কেটে দিয়ে রাখা আলু ও উচ্ছে দিয়ে সুন্দর করে ভেজে নিলাম।
সবজিগুলো ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে, আগে থেকে তৈরি রাখা মশলাটা দিয়ে দিলাম। এরপর বেশ কিছুক্ষণ মশলা গুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
মশলা কষানো হয়ে যাওয়ার পর, তাতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিলাম। ঝোলটা ভালোভাবে ফুটে উঠলে, তার মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে দিলাম। ঝোলটা কিছুটা শুকিয়ে এলে আগে থেকে কেটে রাখা ধনেপাতা উপর থেকে ছড়িয়ে দিয়ে, একটি পাত্রে মাঝের ঝোল নামিয়ে নিলাম।
সত্যি কথা বলতে নতুন আলু আমি খেতে খুবই পছন্দ করি। তবে যেহেতু মাছ আমার খুব একটা প্রিয় নয়, তাই মাছের ঝোলের আলু আমার ভালো লাগে না। তবে নিজের জন্য আলাদা করে রান্না করতে ইচ্ছা করে নি বলে,আজ এই তরকারিই খেয়েছিলাম।
মাছগুলো আকারে ছোট হলেও শাশুড়ি মা বলে এগুলো নাকি অরিজিনাল তেলাপিয়া মাছ, যার একটা স্বাদ আলাদা। বড় আকারের মাছগুলো নাকি এমন স্বাদের হয় না। যাইহোক তাড়াহুড়োর মধ্যেও ছবিগুলো তোলার চেষ্টা করেছি, আপনাদের সাথে রেসিপিটা শেয়ার করবো বলে।
আপনাদের মধ্যে কারা তাহলে তেলাপিয়া মাছ খেতে পছন্দ করেন, অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই,এত সুন্দর একটি রেসিপি আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালোই লাগলো, আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটা ধাপে-ধাপে কিভাবে তেলাপিয়া মাছ দিয়ে আলু দিয়ে ঝোল করে রান্না করতে হয়।
তা আমাদের সাথে খুব ভালোভাবে পরিবেশন করেছেন তা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমারও তেলাপিয়া মাছ পছন্দ না কিন্তু আমি পাঙ্গাস মাছ অনেক পছন্দ করি। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো লাগলো,থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পাঙ্গাস মাছ আমাদের বাড়িতেও সকলে খুব পছন্দ করে। তবে না তেলাপিয়া না পাঙ্গাস, কোনোটাই আমার পছন্দ না। তেলাপিয়া মাছের ঝোল তবুও আমি খাই, তবে পাঙ্গাস মাছ কখনো খাইনি। ঐ মাছের তেল/চর্বি দেখলেই আমার অস্বস্তি হয়, তাই তার স্বাদ আমার অজানা। তবে আপনি আমার রেসিপি পছন্দ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
আহা কি সুন্দর রান্না, এরকম রান্নার সাথে গরম ভাতের সাথে আর কি চাই বলুন।
শীতকালীন নতুন আলু দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না করলে অনেক বেশি মজার হয় খেতে।
আর আপনার শাশুড়ি মায়ের কথা কিন্তু একদম ঠিক আমার দেখে যেটা মনে হচ্ছে, বড় তেলাপিয়ার চাইতে ছোট তেলাপিয়া মাছ গুলো খেতে ভীষণ মজার হয়।
খুবই ধাপে ধাপে উপকরণ সহ উপস্থাপনা করেছেন রেসিপিটা খুব সহজেই বাসায় তৈরি করা যাবে, সব মিলিয়ে খুবই ভালো লেগেছে অনেকটা লোভনীয় হয়েছে দেখতে।।
আপনি ঠিক বলছেন, শীতকালে নতুন আলু দিয়ে তৈরি যেকোনো রেসিপির স্বাদ অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে এই সময়কার ছোটো ছোটো আলুর দম আর সাথে লুচি, খিচুড়ি আমার খুব পছন্দ। উফ্ লিখতে গিয়েই জিভে জল আসছে। যাইহোক আপনাকে ধন্যবাদ আমার রেসিপি পড়ে, এতো সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্যে। ভালো থাকবেন।
তেলাপিয়া মাছ দিয়ে এমনিতেই যে কোন তরকারি রান্না অনেক বেশি সহজ হয় এবং মজার হয়ে থাকে। আমি তেলাপিয়া মাছ অনেক বেশি পছন্দ করি। তার পেছনে একটাই কারণ তেলাপিয়া মাছ দিয়ে আপনি যেকোন তরকারি রান্না করেন না কেন খেতে কিন্তু অনেক মজা লাগে। আজকে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন কিভাবে খুব সহজে নতুন আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছ রান্না করা যায়। আসলে নতুন আলু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করে খাওয়ার মজাটাই হয় অন্যরকম। ধন্যবাদ চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি যেহেতু আমার সাথে অনেক দিন পথ চলছেন, তাই আপনি জানেন যে, মাছ আমার একেবারে পছন্দ নয়, শুধু দুটি মাছ বাদে। তবে বাড়ির সকলে মাছ অনেক পছন্দ করে, তাই মাছ ছাড়া আমাদের বাড়িতে রান্না সম্পূর্ণ হয় না। যাইহোক, জেনে ভালো লাগলো যে, তেলপিয়া মাছ আপনার পছন্দের। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।