**পড়ন্ত বিকালে সূর্যাস্তের মুহুর্তের কিছু ফটোগ্রাফি**
![]() |
---|
Hello,
Everyone,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলেরই আজকের দিনটি খুব ভালো কেটেছে। খুব সত্যি কথা বলতে আমার একেবারেই ভালো কাটেনি। গতকাল রাতেও তিনটের পরে শুতে গিয়েছি, কিন্তু ঘুম হয়নি এতটুকুও।
এই সমস্যাটার সমাধান যে কি করে হবে সত্যিই বুঝতে পারছি না। কারণ দিনে দিনে এটি একটা অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে। এটা বদলানোর খুব প্রয়োজন বুঝতে পারছি, কিন্তু কিভাবে বদলাবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না। যাইহোক মনের সাথে শরীরের একটা অন্যরকম যোগাযোগ আছে, যেখানে একটা খারাপ হলে অন্যটা এমনিতেই খারাপ হয়। তারপর এইরকম ভাবে রাত জাগার অভ্যাসটা শরীরটা অনেক বেশি খারাপ করে দিচ্ছে।
যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বিভিন্ন সময়ে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি। মূলত আজকে যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করবো সেগুলো সব পড়ন্ত বিকেলের ফটোগ্রাফি। যেগুলো আমি বিভিন্ন সময়ে ধারণ করেছিলাম। আজ গ্যালারির মধ্যে থেকে সেই রকমই বিশেষ কিছু ছবি এবং ছবিগুলো তোলার মুহূর্তের কথা, আজ আমি উপস্থাপন করবো। চলুন তাহলে শুরু করি, -
![]() |
---|
উপরের যে ছবিটা আপনারা দেখতে পারছেন এটি হৃদয়পুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে তোলা একটি পড়ন্ত বিকালের ছবি। কোনো একদিন অ্যাডমিন ম্যামের বাড়ি থেকে ফেরার সময়, ট্রেন বেশ কিছুটা লেট ছিল এবং ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় প্লাটফর্মে বসে থাকাকালীন সময়ে আমি এই পড়ন্ত বিকেলের ছবিটি তুলেছিলাম। সেদিন আকাশের সৌন্দর্যটা বেশ ভালো লাগছিলো, বিশেষ করে এই গাছটির কারণে যেন বিকেলের আকাশটাকে আরও সুন্দর লাগছিলো।
![]() |
---|
এরপর যে ছবিটি আপনারা দেখতে পারছেন এই ছবিটি আমি তুলেছিলাম আমাদের গ্রামের বাড়িতে। বান্ধবী এবং গ্রামের কিছু ছোট বোনের সঙ্গে যখন যমুনার পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম, ওই সময় বেশ কিছু ছবি আমরা তুলেছিলাম। তাদের মধ্যে থেকে ব্যক্তিগতভাবে এই সূর্যাস্তের ছবিটি আমার ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে এই সময় আকাশে মেঘেদের বিস্তারনটা দেখতে অসাধারণ লাগছিলো। গাছের আড়াল দিয়ে সূর্য ডোবার সৌন্দর্য্য, যেন তাল গাছটির উপস্থিতির কারণে আরও অসাধারণ হয়ে ধরা দিয়েছে।
![]() |
---|
উপরের ছবিটিও আমাদের গ্রামেরই। যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই ছবিটি তুলেছিলাম, সেটি ছিল একটা সময় আমাদের প্রতিদিন যাতায়াতের রাস্তা। কারণ এই রাস্তা দিয়ে আমরা সকলে দল বেঁধে হেঁটে হেঁটে স্কুলে যেতাম। কারণ তৎকালীন সময়ে আমাদের সাইকেল ছিল না, বা স্কুলের রাস্তায় তেমন কোনো গাড়ির চলাচলা ছিল না। তাই সকলে মিলে দল বেঁধে হাঁটতে হাঁটতে স্কুলে যেতাম। আজও গ্রামে গিয়ে যদি সময় পাই সকলের সাথে মাঝে মধ্যে এই রাস্তায় হাঁটা হয়, এই ছবিটি সেই রকমই কোনো একটা দিনের স্মৃতি।
![]() |
---|
উপরের ছবিটি তুলেছিলাম আমার মামাশ্বশুর বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে থাকবে শশুরমশাই কে নিয়ে আমরা বেশ কিছুদিন হসপিটালে ছিলাম এবং রাতটুকু আমরা শুভর মামা বাড়িতে গিয়ে কাটাতাম। তবে লাস্ট বার যখন দীর্ঘদিন হসপিটালে থাকতে হয়েছিলো, তারমধ্যে একদিন দোল ছিলো। সেদিন হসপিটালে কোনো ডাক্তার থাকবে না বলে আমরাও আর হসপিটালে যায়নি। সেই দিনই ওর মামিদের সাথে বিকেল বেলায় ছাদে গিয়ে বসেছিলাম। গল্প করার পাশাপাশি যখন সূর্য অস্ত যাচ্ছিলো সেই মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম।
![]() |
---|
এটি দীঘার সমুদ্রের পাশের একটি জায়গার ছবি। যেখানে অনেকেই পড়ন্ত বিকেল বেলায় বসে থাকেন, সময় কাটান নিজেদের মতো করে। সেদিন ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও পড়ছিলো যেদিন এই ছবিটি আমি ধারণ করেছিলাম। একদিকে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ, অন্যদিকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, তার সাথে বান্ধবীদের সঙ্গে প্রথম সমুদ্র দেখার আনন্দ, সবকিছু মিলিয়ে একটা সুন্দর বিকেল উপভোগ করেছিলাম। এটা সেই দিনেরই স্মৃতি।
![]() |
---|
সবশেষে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার বাড়ির ছাদ থেকে তোলা পড়ন্ত বিকেলের এই ছবিটি। এটা এমন একটা জায়গা, যেখান থেকে আমি সব থেকে বেশি পড়ন্ত বিকেলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করি। বলতে পারেন সারা বছরের সবকটি ঋতুর পড়ন্ত বিকেল দেখার সাক্ষী এই ছাদ। এমন কত পড়ন্ত বিকেল এই ছাদে কাটিয়েছি আমি আর পিকলু, ছবিটি দেখে হঠাৎ করে সেটাই মনে হলো আমার। পিকলু কে বড্ড মিস করি আজকাল।
যাইহোক এই ছিল পড়ন্ত বিকেলের কয়েকটি ফটোগ্রাফি, যেগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের এর মধ্যে থেকে কোন ফটোগ্রাফিটি সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে, তা অবশ্যই আমাকে মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। প্রত্যেকে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted from the steemcurator07 account.
Thank you for your support @ninapenda. 🙏