"পারিবারিক কিছু আনন্দের মুহুর্ত- প্রথম পর্ব"

in Incredible India4 days ago
IMG_20250723_202527.jpg

Hello,

Everyone,

আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আমার দিনটাও মোটামুটি কর্মব্যস্ততার মাঝে ভালোই কেটেছে।

গত দু তিন দিন যাবত আবার ভীষণ পরিমাণে গরম পড়তে শুরু করেছে। একটানা যতদিন বৃষ্টি হয়েছিলো, ততদিন আবহাওয়াটা একটু ঠান্ডা ছিলো বটে, তবে এখন আবার সেই পূর্বের মতো অস্বস্তিকর গরম পড়ছে।

যাইহোক আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু পারিবারিক মুহূর্তের কথা শেয়ার করবো। বেশ কয়েক মাস আগে একবার দিদি বাড়িতে যাওয়ার পর, সেখান থেকে তিতলি তাতানকে সাথে নিয়ে আমরা একটা শপিংমলে গিয়েছিলাম। বলতে পারেন একপ্রকার দুজনের আবদার মেটাতেই।

সেই সময় বেশ কিছু ছবি আমি তুলেছিলাম, তবে সেগুলো কোনো কারণে সেই মুহূর্তে আর আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি। আজ গ্যালারিতে সেই ছবিগুলো দেখে মনে পড়লো, সেই দিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কেই আজকে আপনাদের সাথে একটু গল্প করা যাক।

খুব সত্যি কথা বলতে বর্তমান যুগে বাচ্চাদের ছোটবেলার সাথে, আমাদের ছোটবেলার অনেক পার্থক্যই চোখে পড়ে। বিশেষ করে যে সকল বাচ্চারা শহর এলাকায় বেড়ে ওঠে, ফ্ল্যাটের মধ্যে বন্দী জীবন যাপন করে, তাদের ক্ষেত্রে এই পার্থক্য আরো বেশি করে ধরা পড়ে।

আপনারা বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন না, আমার দিদির ফ্ল্যাটে আমি যদি দুদিন থাকি আমার দম বন্ধ লাগে। কারণ ছোট্ট ছোট্ট ঘর গুলোর মধ্যে সারাদিন রাত কাটানো আমার জন্য সত্যিই কষ্টকর। তবে তিতলি তাতান তাতেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।

তবে মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতে গেলে ওদের আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। যেখানে সারা ঘর, বাড়ি, উঠোনময় দৌড়াদৌড়ি করে দুই ভাইবোন খেলা করে। ফ্ল্যাটে থাকাকালীন টিভি, মোবাইল এই সকল জিনিসের জন্য বায়না করলেও, গ্রামে গেলে এই জিনিসগুলো দেখার সময় থাকে না ওদের।

যেহেতু আমার দিদি চাকরি করে সেই কারণে বাচ্চাদেরকে আর পাঁচজন মায়ের মত সবটুকু সময় দিতে পারে না। সত্যি কথা বলতে ছোটবেলা থেকে আমরা তিন বোন ভীষণ নিম্ন মধ্যবিত্ত ভাবে বেড়ে উঠেছি, কারণ তখন বাবার সেই আর্থিক সঙ্গতি ছিল না। তবে আমার দিদির একটা বিষয় যেটা আমার ভালো লাগে, ওর আর্থিক সঙ্গতি থাকলেও বাচ্চাদেরকে কিন্তু ও ভীষণই সাধারণভাবে বড় করে।

যেখানে বিলাসিতা খুব বেশি চোখে পড়ে না, অথচ চাইলেই কিন্তু ও সেটা করতে পারে। তবে ওর ধারণা বাচ্চাদেরকে যদি শুরুর থেকে সকল চাহিদা পূরণে অভ্যস্ত করে দেওয়া হয়, তাহলে সেই চাহিদা দিন দিন বাড়তে থাকবে এবং একটা সময় তা আকাশ ছোঁয়া হয়ে যাবে।

IMG_20250723_202712.jpg

বহুদিন বায়না করার পর, সেদিন যেহেতু আমি ছিলাম তাই দিদি রাজি হয়েছিলো ওদেরকে নিয়ে শপিংমলে যেতে। তাতান দাবা খেলা খুব পছন্দ করে, তার সাথে লুডুও। তাই ওর অনেকদিন ধরেই একটা দাবার চাহিদা ছিলো তার। পাশাপাশি দুজনেরই পিৎজ্জা ভীষণ পছন্দের, তাই কথা হয়েছিলো সেদিন মলে গিয়ে একটা দাবার বোর্ড কিনে দেওয়া হবে, আর ওদের পছন্দের খাবার খাওয়া হবে।

IMG_20250723_202557.jpg

সেইমতো আমরা সকলে মিলে রওনা দিলাম। দিদির বাড়ির একদম পাশ থেকেই বাসে করে মিনিট ১৫ এর মধ্যে আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম মলে। বাসে উঠলে তাতানের একটু সমস্যা হয়, তাই দিদি ওকে নিয়ে জানালার পাশে বসে ছিলো। তবে গল্প করতে করতে, বাইরের প্রকৃতি দেখতে দেখতে, আমরা পৌঁছে গিয়েছিলাম, খুব একটা অসুবিধা হয়নি। সাথে আমাদের আরও একটা বোনও ছিল।

IMG_20250723_202654.jpg
IMG_20250723_202632.jpg
IMG_20250723_202615.jpg

মলে ঢুকে প্রথমে আমরা একটু এদিক ওদিক ঘুরে দেখলাম। আমার জন্য দিনটা আরও একটু আনন্দের ছিলো কারন আমার তিনটে টিশার্ট পাওনা হয়েছিলো, দিদি গিফট করেছিলো। তারপর একটা দাবার বোর্ড কিনে নিয়ে চলে গিয়েছিলাম ফুড কোর্টে।

IMG_20250723_202730.jpg

সেখানে প্রচুর দোকান ছিলো, যেরকমটা থাকে আপনারা সকলেই কমবেশি জানেন। তবে সেখান থেকে তাতানের পছন্দের ডোমিনোজ পিৎজ্জা নেওনা হলো। দিদি একেবারে ছোটোটাই এনেছিলো, কারণ পিজ্জা খেতে আমি একেবারেই পছন্দ করি না। আর তাতান ও তিতলি যতই বায়না করুক, দুটো স্লাইসের বেশি দুজনের কেউ খেতে পারবে না।

IMG_20250723_202808.jpg
IMG_20250723_202745.jpg

তাতান, তিতলি পিৎজ্জা দেখে মহা খুশি। আর ওদের আনন্দ দেখে আমি আর দিদি সত্যিই অনেক খুশি হচ্ছিলাম।আপনারা উপরের ছবিতে তিতলির মুখের দিকে তাকালেই হয়তো আপনাদেরও ততটাই হাসি পাবে। যাইহোক এই ছোট্ট ছোট্ট মুহূর্ত গুলো ক্যামেরাবন্দি করার মধ্যেও সত্যি অনেক বেশি আনন্দ থাকে, কারণ পরবর্তীতে এই ছবিগুলোই আমাদের এই আনন্দের মুহূর্তের কথাগুলো মনে করায়।

IMG_20250723_205231.jpg
IMG_20250723_202836.jpg

এর সাথে অর্ডার করেছিলাম ওয়াও মোমো থেকে দুই রকমের মোমো। যাইহোক এগুলো খেতে খেতেই আমরা ডিসাইড করি আমরা দুপুরের লাঞ্চটা ওখানেই করবো। দিদি যেহেতু আমিষ খাবার খাবে না, তাই ও নিজের জন্য নিরামিষই অর্ডার করেছিলো। পিৎজ্জা ও মোমো খাওয়ার পর আমরা লাঞ্চের জন্য আর কি কি অর্ডার দিয়েছিলাম এবং কিভাবে সময় কাটিয়েছিলাম, সেই গল্প পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে আবার শেয়ার করবো।

আজকের পর্বটা আমি এখানেই শেষ করছি, এইরকম পারিবারিক মুহূর্তগুলো আপনাদের কাছে কতখানি মূল্যবান, সেই সম্পর্কে নিজস্ব মন্তব্য অবশ্যই জানাবেন। প্রত্যেকে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।


ক্রপ করার কারনে ছবির তারিখ পরিবর্তিত দেখাচ্ছে

Sort:  
Loading...

CURATOR 8
Congratulations!

Your post has been supported by the TEAM FORESIGHT. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags


1000061832.png

Curated by : @wirngo