"এবারের নববর্ষের গল্প"
![]()
|
---|
Hello,
Everyone,
পোস্ট লিখতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেলো, সারাদিনের ব্যস্ততার পাশাপাশি, কমিউনিটির কিছু দায়িত্ব পালন করার পর এখন পোস্ট লিখতে বসলাম। ঘড়ির কাঁটা এখন ১.৫২ মিনিট।
আবার আগামীকাল শুভর অফিস আছে, সকালে সময় মতো ঘুম থেকে উঠতে হবে জানি, তবে ইতিপূর্বেও আমার পোস্টের মাধ্যমে আমি শেয়ার করেছি যে, বহুদিন হয়ে গেছে রাতে ঠিক ভাবে ঘুমাতে পারছি না।
বিক্ষিপ্তভাবে এই ঘুমটা মানসিক পরিস্থিতির সাথে সাথে শারীরিক অবস্থাও অনেকটা খারাপ করছে জানি, কিন্তু সবটাই আসলে হাতের বাইরে চলে গেছে, তাই চেষ্টা করেও সবকিছু সঠিকভাবে করতে পারছি না।
যাইহোক এ সমস্ত কথা বাদ দিয়ে আপনাদের সকলকে জানাই নববর্ষ অনেক শুভেচ্ছা ইতিমধ্যে নতুন বছরের প্রথম দিনটি অতিবাহিত হয়েছে। আমি আশারাখি আপনাদের সকলের এই দিনটি খুব ভালোভাবে কেটেছে। আমার দিনটি অন্যান্য দিনের থেকে একটু আলাদা কাটলেও মানসিক দিক থেকে আমি সেই একই জায়গাতে পড়ে আছি।
![]()
|
---|
নতুন বছর, নতুন সকাল। ঘুম ভেঙেছিল অনেকটা আগেই। গতকালই ঠিক করেছিলাম আজ সকালে উঠে প্রথম কাজ হবে ঠাকুর পূজো দেওয়া। তাই ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে উঠে পড়েছিলাম। ফ্রেশ হয়ে, ঘর মুছে, ঠাকুরের ফুল তুলে, তারপর ঠাকুরের বাসনপত্র মেজে নিজে স্নান সেরে পুজো দিতে বসেছি।
সকাল বেলায় পুজো হয়ে গেলে মনে হয় দিনের সব থেকে বড় কাজ হয়ে গেলো। তবে সব দিন এটা সম্ভব হয় না শুভর অফিস থাকে তাই। নতুন বছর বরাবর আমাদের বাড়ির সকলের জন্য অনুভূতি নিয়ে আসে, তার আরো একটা কারণ হলো এই দিন শুভর শুভ জন্মদিন।
![]()
|
---|
আয়োজন তেমন কিছু না হলেও দিনটা যে বিশেষ এ কথা অস্বীকার করা যাবে না। আমার কাছে তো বটেই, তার থেকে অনেক বেশি ওর বাবা-মায়ের কাছে। যাইহোক পুজো শেষ করে, গীতা পাঠ শেষ করতে করতে দেরি হলো। আসলে যেহেতু নববর্ষ, তাই ঠাকুরদের নতুন পোশাক পরানোটা আমাদের বাড়ির নিয়ম।
![]()
|
---|
যখন শশুর মশাই ওষুধের দোকান চালাতেন তখন এই দিনে আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মী গণেশ পুজো হতো। সে নিয়মটা দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঠিকই, তবে বাড়িতে বরাবর এইভাবেই নিত্য পূজা হয়ে থাকে।
![]()
|
---|
যাইহোক পূজা শেষ করে রান্নার জোগাড় করার আগে ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়েছিলাম। শাশুড়ি মা রুটি এবং তরকারি করেছিলেন। তবে রুটি আমি খাইনি বলে একটু জল মুড়ি খেয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে অবশ্য কমিউনিটির কিছু কাজও করেছি।
রান্নার জোগাড় করতে করতে আমার ননদ ও ননদের দুই ছেলে চলে এসেছিলো। প্রতি বছর এই দিনে তারা আমাদের বাড়িতে আসে শুভর জন্মদিন উপলক্ষে। বলতে পারেন ওনরা এবং আমরা মিলেই প্রতিবছর দিনটি পালন করি। তার সাথে থাকে শুভর বন্ধুরা।
![]()
|
---|
আমি সবকিছু জোগাড় করে দিলেও রান্নার দায়িত্ব আমার ছিল না। আমাদের এই বছরের আয়োজন ছিল আলু বিরিয়ানি ও চিকেন রোস্ট। এইসব রান্না আমার কাছে অনেক বেশি ঝামেলার মনে হয়, তবে ভালো কিছু খেতে গেলে একটু ঝামেলা তো করতেই হয়।
![]()
|
---|
রান্না শেষ হতে দুপুর হয়ে গিয়েছিলো। তারপরে একসাথে সকলে খাওয়া শেষ করি। এরপর নিয়ম মতো আমি কমিউনিটির কাজ করেছিলাম, বাকিরা বিশ্রাম করেছে। সন্ধ্যা বেলায় পুজো শেষ করে সবাই গল্প করছি। রাতে শুভর বন্ধুরা, ননদের হাজব্যান্ড সকলে একজায়গায় হয়ে জমিয়ে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করার পর, ডিনার শেষ করলাম।
এখান আর কেক আনিনা, অনেকটা বড় হয়ে যাওয়ার কারণে অস্বস্থি বোধ করে, তাই ঐসব প্রস্তুতি নেওয়া হয় না। তবে শাশুড়ি মা ওকে আশীর্বাদ করেছিলেন। বিশাল করে না হলেও জন্মদিনের এটুকু আয়োজন প্রতি বছর থাকে।
যাইহোক বছরের প্রথম দিনটি এভাবেই কেটেছে আমার। আপনাদের আগামী বছরের প্রতিটা দিন খুব ভালো কাটুক, এই প্রার্থনা করে আজকের এই পোস্ট এখানে শেষ করছি। সকলে খুব ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি।