Hello,
Everyone,
কেমন আছেন আপনারা সকলে? আশাকরি সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের প্রত্যেকের আজকের দিনটি অনেক ভালো কাটছে।
পাহাড় ও সমুদ্রের মধ্যে কোনটা পছন্দ এই নিয়ে অনেকের অনেক মতামত আছে ঠিকই। তবে আমার জন্য সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতা থাকলেও, খুব কাছ থেকে পাহাড় দেখার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। আজকের পোস্টের মাধ্যমে শুরু করবো আপনাদের সাথে আমার দার্জিলিং ভ্রমণের প্রথম পর্ব। দার্জিলিং ঘোরার প্রতিটি মুহূর্ত আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একথা আগেই দিয়েছিলাম। তবে বুঝতে পারিনি লিখতে বসে নিজের ভিতর এতখানি উত্তেজনা কাজ করবে।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো বহুবার পাহাড়ে গিয়েছেন, কিন্তু যেহেতু আমার জন্য এটি প্রথম অভিজ্ঞতা, তাই আপনাদের তুলনায় আমি একটু বেশিই এক্সাইটেড থাকবো এটা খুব স্বাভাবিক। সত্যি বলতে এর পূর্বে দূর থেকে পাহাড় দেখেনি এমন নয়। তবে পাহাড়ের এতো কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ এই প্রথমবার। তাই প্রতিটি মুহূর্ত আমি অসম্ভব উপভোগ করেছি।
ঘুরতে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বান্ধবীদের সাথে গ্রুপে অনেক কিছু প্ল্যানিং করতাম। তবে তার সাথে মনে এটাও কাজ করতো আদেও আমার যাওয়া হয়ে উঠবে কিনা। তবে শেষমেষ যখন বুঝলাম যে আমার যাওয়াটা হবে, তখন এই এক্সাইটমেন্ট বেড়ে গেল আরো বহুগুণ।
পূর্বের পোস্টে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম, আমরা জলপাইগুড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলাম শিটং এর উদ্দেশ্যে। কারণ ওটাই ছিলো আমাদের প্রথম গন্তব্য। আমরা ঠিক করেছিলাম প্রথম দুদিন অফবিটে থাকার পর, আমরা দার্জিলিং এ যাবো। অফবিটে থাকার ভাবনাটা এসেছিলো ফেসবুকের রিলস্ দেখে।
কারণ ঐ জায়গাগুলো অনেক বেশি শান্ত হয় এবং সেখানে থাকলে প্রকৃতির অনেক বেশি কাছাকাছি থাকা যায়। কারণ সেখানে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। মনের মধ্যে অনেক কিছু চলছিলো। কেমন হবে? কিভাবে থাকবো? যে হোমস্টেতে থাকবো সেটার পরিবেশ কেমন হবে? ইত্যাদি অনেক কিছু মাথা নিয়ে আমাদের গাড়ি রওনা দিলো।
জলপাইগুড়ি পার হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দূরে প্রথম পাহাড় দেখতে পেলাম। এমন দৃশ্য এর পূর্বেও আসামে যাওয়ার সময় দেখেছি, তাই বিষয়টা ততটাও হৃদয় ছোঁয়নি। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই যখন পাহাড়ি পথ পেয়ে আমাদের গাড়ি উপরে উঠতে শুরু করলো, সেই প্রথম আমি আমার ভিতরকার উত্তেজনা প্রথম অনুভব করলাম।
পাহাড়ি পথ বেয়ে এঁকেবেঁকে গাড়ি যখন ওপরের দিকে উঠে চলেছে, আবার উল্টো দিক থেকে যখন গাড়িগুলো নেমে আসছে, মনের মধ্যে সত্যি বলতে একটু ভয়ও কাজ করছিলো। কারণ পাহাড়ি রাস্তায় এইভাবে গাড়ি চলার পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
তাই খারাপ ভাবনাটাই মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল বেশি। তবে কিছুটা দূর চলার পর যেন বিষয়টাতে অভ্যস্ত হলাম। বুঝলাম এমন ভাবেই পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিতে হবে আগামী আরো পাঁচটা দিন চলতে হবে, তাই মনের মধ্যে ভয়কে আর জায়গা না দিয়ে বিষয়টাকে উপভোগ করতে শুরু করলাম।
ইতিমধ্যে ফোনে ছবি তোলা শুরু করে দিয়েছিলাম। বেশ কিছুটা দূর এগিয়ে আমাদের গাড়ি থামল প্রথম সাইট সিন করার জন্য। এটি একটি হনুমান মন্দির ছিলো। আর তার পাশে ছিলো চা বাগান। পাহাড়ি রাস্তায় এঁকেবেঁকে যখন উঠেছি তার মাঝে এমন বড় এক হনুমান মূর্তি দেখে বেশ ভালো লাগলো। তাই দেরি না করে সেখানে কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম সকলে মিলে।
প্রকৃতির এই অপূর্ব রূপ এই প্রথম নিজের চোখে দেখা, তাই ক্যামেরাবন্দি করতে এতটুকুও দেরি করিনি। কিছুটা সময় সেখানে কাটানোর পর আবার গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম পরবর্তী ডেস্টিনেশন এর দিকে। যার নাম ছিল "ডাউ হিল ফরেস্ট"। মূলত এটি একটি পাইন ফরেস্ট, যার ভেতরটাকে খুব সুন্দর করে সাজানো ছিলো। তবে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে পরবর্তী পোস্টে আপনাদের সাথে কথা বলবো।
আপনাদের কেমন লাগল শিটং যাওয়ার পথের এই গল্প পড়তে তা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে খুব ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করে আজকের পোস্ট এখানে শেষ করছি।
অবশেষে ঘুরতে যাওয়াটা সফল হলো আপনার,
আমি বেশ কয়েকদিন আগে একটা পোস্টে পড়েছিলাম আপনাদের বান্ধবীদের সাথে আলোচনা হচ্ছে দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়ার বিষয় নিয়ে, তবে আজ আবার দেখতে পেয়ে যে আপনি ঘুরতে যেতে পেরেছেন সত্যি আমার ভীষণ ভালো লাগলো।।
সত্যি কথা বলতে আপনার এই ঘুরতে যাওয়ার মাঝে আমিও কেন যেন একটা আনন্দ ফিল করছি হয়তোবা আমরা অনেকদিন একসাথে আছি তাই। জানেন আমার পাহাড় দেখার ভীষণ শখ কয়েকদিন আগেই বায়না ধরেছিলাম হাজবেন্ডের কাছে মনে একটু পাহাড় দেখতে নিয়ে যাওয়ার জন্য,,, তবে সে বলেছে চেষ্টা করবে যদিও দার্জিলিং যাওয়ার সৌভাগ্য আমার কোনদিন হবে কিনা জানিনা,
তবে আপনার পোষ্টের মাঝে ছবিগুলো দেখে কিন্তু আমার চোখের শান্তি অন্তত হয়েছে। এক কথায় অসাধারণ খুব ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটা পড়ে।
আমার জেনে সত্যিই ভালো লাগলো যে আমার ঘুরতে যাওয়ার পোস্ট পড়ে আপনিও আনন্দ অনুভব করছেন। এটাই তো মন থেকে একসাথে থাকার ফলাফল। যেখানে অন্যের কষ্ট মন ব্যাথিত হয়,আর আনন্দে মুখে হাসি ফুটে ওঠে। দার্জিলিং আসার সৌভাগ্য নিশ্চয়ই হবে। তবে আপনাদের দেশেও অনেক সুন্দর জায়গা আছে ঘোরার, যদিও নামটা ঠিক মনে পরছে না, তবে বোধহয় সাজেক। সেখানকার ভিডিও আমি দেখেছি। সেটাও অসাধারণ। আসলে দেশ যেটাই হোক প্রকৃতি সব জায়গায় সুন্দর। খুব দ্রুতই আপনার পাহাড় দেখার ইচ্ছাপূরণ হোক এই কামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
This post has been curated by
Team #5
@damithudaya
Thank you for your support @damithudaya. 🙏
একটি সময় পাহাড় দেখার ইচ্ছা আমারও অনেক ছিলো এখন এখানে এসে পাহাড়ের উপরে প্রতি দিন ঘোরা ফেরা হয় এবং পাহাড় দেখেছি তবে সমুদ্রসৈকত ঘুরেফিরে অনেক দেখেছি বাংলাদেশে থাকতে এখানে এসে এখনো দেখা হয়নি তবে আপনি দার্জিলিং ঘুরতে গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি এবং আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার তো তাহলে পাহাড় ও সমুদ্র দুটো দেখার স্বপ্নই পূরণ হয়েছে। এবার যেখানে গিয়ে দুটো একসাথে দেখতে পারবেন তেমন জায়গায় যেতে হবে, কি বলেন? আমার ক্ষেত্রে পাহাড় দেখার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। এতোদিন লোকমুখে, টিভিতে ও মোবাইলে পাহাড়ের সৌন্দর্য্য দেখেছি, কিন্তু সামনে থেকে দেখার অনুভূতিই আলাদা,যা হয়ত ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।