"অন্যরকম দিনযাপনের গল্প- প্রথম পর্ব"
|
---|
Hello,
Everyone,
আজ এক নতুন অভিজ্ঞতার গল্প আপনাদের শোনাবো এই পোস্টের মাধ্যমে। গতকালকের পোস্টে জানিয়েছিলাম, একটু দরকারী কাজে আমি দিদি বাড়িতে এসেছিলাম।
আসলে গতকাল আমার দিদির মেয়ে তিতলির ক্যারাটে পরীক্ষা ছিলো, তার সাথে ছিল সেমিনারও। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তেমন ইনফরমেশন দেওয়া ছিলো। সেই অনুযায়ী দিদি ইভিনিং ডিউটি নিয়েছিলো, কারণ পরীক্ষার টাইম ছিল সকাল আটটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত। তাই পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে এসে দিদি অফিসে যেতে পারতো বলে, ও নিজেই ইভিনিং ডিউটিটা নিয়েছিলো।
তবে পরবর্তীতে জানা যায় সেখানে পরীক্ষার পরেও স্টুডেন্টদেরকে উপস্থিত থাকতে হবে। ওখান থেকেই এদেরকে লাঞ্চ দেওয়া হবে। আর তার সাথে অভিভাবকরা চাইলে সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
যেহেতু এতক্ষণ দিদির পক্ষে থাকা সম্ভব হবে না, এই কারণে দাদার সাথে আমাকে যেতে হবে। আমিও অনেকদিন যাবত দিদি বাড়িতে আসিনি তাই ভেবেছিলাম যে, রবিবার এসে ওদের সাথে একবার দেখা করে যাবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাকে দরকারেই আসতে হলো।
"পরীক্ষা দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি"
যাইহোক ক্যারাটে সম্পর্কে শুধুমাত্র ছবিতে দেখেছি বা ভিডিওতে দেখেছি, কিন্তু তিতলিকে আমি সামনাসামনি কখনো ক্যারাটে করতে দেখিনি। কারন ওকে ক্যারাটে ক্লাসে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসার দায়িত্ব বাবার। আজ প্রথমবার ওর ক্যারাটে দেখবো, এই বিষয়টা নিয়েও বেশ উৎসাহী ছিলাম।আমার একটা নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে এটা ভেবেই উৎসাহ কাজ করছিল মনের ভিতরে।
"নিউটাউন বিজনেস ক্লাব"
সকলের সাথে দেখা করার পর আমরা একটু তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েছিলাম। সকালবেলায় যথারীতি দিদি আমাদের একটু আগেই ডেকে দিয়েছিলো। তারপর আমরা সকলে রেডি হয়ে নিয়েছিলাম সেমিনারে যাবার উদ্দেশ্যে। নিউটাউন বিজনেস ক্লাব ছিল আমাদের গন্তব্যস্থল।
"গাড়িতে যাওয়ার সময়"
"বাউলি খেতে ব্যস্ত"
সকলে মিলে রেডি হয়ে যাওয়ার পর দিদি উবের বুক করে দিলো। বাড়ি থেকে মোটামুটি সাড়ে সাতটা নাগাদ আমরা বেরোলাম, খুব বেশি দুরত্ব নয়। মিনিট ২৫ এর মধ্যে পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেই অনুযায়ী আমরা বেরিয়ে পড়লাম, কারণ আমাদেরকে ওই জায়গায় পৌঁছাতে হতো সকাল আটটার মধ্যে। তাড়াহুড়ো করে তিতলি তিতলি কিছুই খেয়ে বেরোয়নি, তাই ওকে একটা বাউলি কিনে দেওয়া হয়েছিলো, ও গাড়িতে বসে সেটাই খেলো।
"গাড়িটা একদম সদ্য কেনা,সিটকভার লাগানো"
"নিউটাউনের পথে ছুটে চলেছে"
"ইকো পার্কের সামনে"
এরপর গাড়ি এগিয়ে চলল নিউটনের দিকে। আসলে কলকাতার রাস্তাঘাট আমার খুব বেশি চেনা নয়, কেমন যেন সমস্ত রাস্তা আমার একই রকম লাগে। আমার মনে হয় একজায়গায় বার বার ঘুরে বেরাচ্ছি। রাস্তা হোক বা বিল্ডিং সব যেন একই রকম।
"বিশ্ববাংলা গেট"
যাইহোক এইরকম করে বেশ কিছু জায়গা পার হয়ে, সামনে দেখতে পেলাম বিশ্ববাংলা গেট। এখানকার রেস্টুরেন্টে একদিন খেতে আসার ইচ্ছা আছে। এরপর গন্তব্য পৌঁছে দেখতে পেলাম ইতিমধ্যে অনেক অভিভাবক বাচ্চাদেরকে নিয়ে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে।
"অভিভাবকদের ভির"
"বাচ্চাদের ভির"
আসলে এই স্যারের যেখানে যেখানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, সব জায়গার স্টুডেন্টদের এই এক জায়গাতে পরীক্ষা হবে।তাই একসাথে অনেক স্টুডেন্ট ও অভিভাবক দেখে তিতলি একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলো। এছাড়া আজ ইউএসএ থেকে একজন অতিথিও আসার কথা ছিলো। সমস্ত কিছু মিলিয়ে ও বেশ টেনশনেই ছিলো। এরপর সেখানে পৌঁছে আমরা প্রথমে স্যারের সাথে দেখা করলাম। তারপর তিনি আমাদেরকে বাইরে কিছুক্ষণ ওয়েট করতে বললেন।
"তিতলির বান্ধবী"
ওখানে পরিচিত একটা বাচ্চা মেয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ায় তিতলি ওখানে গিয়ে হলো। তারপর আমি বললাম ওর সাথে কিছুক্ষণ প্র্যাকটিস করে নাও। ওরা প্র্যাকটিস করছিলো, আর তখন আমি ওখানে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবিও ও ভিডিও করেছি। জায়গায় জায়গায় আরও বাচ্চারা প্রাকটিস করছিলো।
"পরীক্ষার প্রস্তুতি "
"প্রাকটিস চলছে"
তিতলির এখন হলুদ বেল্ট। এরপর আরও অনেক ধাপ পার করলে তবে গিয়ে ব্ল্যাক বেল্ট পাবে। ওখানে সব বেল্টের কাল পরীক্ষা ছিলো। তাই আমাদের নজর মুলত কাল সব বাচ্চাদের বেল্টের দিকেই ছিলো। তবে ব্লেট বয়স অনুসারে নয়, যোগ্যতা অনুসারে দেওয়া হয়, তাই তিতলির থেকেও ছোটো অনেকগুলো বাচ্চার গতকাল গ্রীন বেল্টও দেখলাম। আবার ওর থেকে বড়ো, অনেকের ছিলো হোয়াইট বেল্ট।
যাইহোক ওখানে কাটানো সারাদিনের বাকি কথা পরবর্তী একটি পোস্টে জানাবো, নাহলে এই পোস্ট অনেক বড়ো হয়ে যাবে। তাই প্রথম পর্ব এখানেই শেষ করলাম। আপনাদের মধ্যে কাদের ক্যারাটে পছন্দের একটি খেলা অবশ্যই জানাবেন। ভালো থাকবেন সকলে।
বর্তমান সময়ে মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য নিজেরাই ক্যারাটে শেখার চেষ্টা করছে। আপনার বোনের মেয়ে তিতলি যাকে আমরা আগে থেকেই চিনি। সে এখন ক্যারাটে এখন না আগে থেকেই ক্যারাটে স্কুলে নিজের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। আজকে যেহেতু তার পরীক্ষা তাই আপনি তার সঙ্গে গিয়েছেন। আসলে আপনার দিদি যেহেতু একটা হসপিটালে কাজ করে। ওনার কিছু দায়িত্ব থাকে সেগুলো ওনাকে পালন করতে হয়।
ওদের প্রশিক্ষণ এবং পরীক্ষা যতটুকু আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে বুঝতে পারলাম, আশা করি বড় হয়ে তিতলি অনেক বড় একজন ক্যারাটে মাস্টার হতে পারবে। যদি সঠিকভাবে নিজের কাজটা সম্পন্ন করতে পারে। ধন্যবাদ আপনার অন্যরকম দিনের অল্প পরিমাণে হলেও আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
Curated by: @ahsansharif
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্টটি পড়তে অনেক ভালো লাগলো! তিতলির ক্যারাটে পরীক্ষার দিনটি সত্যিই একটি নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছিল। এত সুন্দরভাবে আপনি পুরো পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন, যেন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ক্যারাটে একটি কঠিন ও সম্মানজনক খেলা, এবং তিতলির জন্য তার স্বপ্ন পূরণের পথে এই সাফল্য অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। আপনার অভিভাবকত্ব এবং তিতলির প্রতি সহানুভূতি সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি তিতলি আরও অনেক বড় বড় সাফল্য অর্জন করবে, এবং তার ক্যারাটে পরবর্তী সাফল্যগুলোও অদূর ভবিষ্যতে আসবে। আশা করছি পরবর্তী পোস্টে আরও কিছু চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। ভালো থাকবেন!
বর্তমানে যে অবস্থা, মেয়েদের আত্মরক্ষা মেয়েদেরকে করতে হবে। এত সুন্দর একটি আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে ধন্যবাদ দিদি। আমিও কখনো সরাসরি ক্যারাটি দেখিনি! সব সময় টিভিতে দেখেছি। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম, তিতলি ক্যারাটি পরীক্ষা দিবে। তিতলির জন্য দোয়া রইল! অবশ্যই তিতলি ভালো কিছু করবে, এই আশায় আছি হয়তোবা পরবর্তী পোস্টে আরো অনেক কিছু জানতে পারবো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
Curated by: @ahsansharif