বসুন্ধরা মার্কেটে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমাদের এক দারুন অভিজ্ঞতা যা ঘটেছিল ঈদের কয়েকদিন পর। ঈদের দিনগুলো তো চলে গেল তারপর আমরা সকলে মিলে একটি ছোট্ট সফরের জন্য বের হয়েছিলাম।। আমি আমার হাজব্যান্ড এবং আমাদের ছোট্ট মিষ্টি দুই বছরের মেয়ে মিরা। আমি এবং আমার হাজব্যান্ড সিদ্ধান্ত নিলাম যে,বসুন্ধরা মার্কেটে ঘুরতে যাব। আমরা বাইকেই যাচ্ছি যে কারণে আনন্দটা আরও দ্বিগুণ হয়েছে।তাছাড়া বাসা থেকে বাইক চালিয়ে যেতে গন্তব্য পৌঁছানো একটা অন্যরকম অনুভূতি। প্রথমে আমরা বাইকটা পার্কিংয়ে র
৪০ টাকা দিয়ে পার্কিংয়ের জায়গা ঠিক করে আমরা বের হয়ে পড়লাম মার্কেটের দিকে। কিন্তু বড়ই দুর্ভাগ্যজনকভাবে যখন আমরা বসুন্ধরা মার্কেটের সামনে পৌঁছলাম তখন দেখি যে মার্কেটটি বন্ধ। ঈদের কারণে হয়তো সব দোকান বন্ধ ছিল এটা বুঝতে খুব একটা সময় লাগলো না আমাদের। আমি এবং আমার হাজব্যান্ড একে অপরের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে রইলাম। তবে হতাশ হয়ে বসে থাকার মতন আমরা মানুষ নয়।মিরা তো ছিল আমাদের সঙ্গেই ওর হাসি খুশির জন্য আমাদের জীবনের আনন্দ। তাই হাল ছাড়ার কোন প্রশ্ন ছিল না।
এমনকি কিছু সময়ের জন্য মনে হলো এটা যেন একটা নতুন অভিজ্ঞতা হয়ে উঠল। আমরা চলে গেলাম মার্কেটের সামনে বড়সড়ো পানির লাইনের কাছে, যেখানে ঝর্ণার মত পানি পড়ে চলছিল। আশেপাশের দিকে তাকিয়ে দেখি সবাই খুব সুন্দরভাবে ছবি তোলায় ব্যস্ত। আমার মেয়ে বারবার বলছিল আম্মু আম্মু পানি পড়ছে আম্মু আম্মু পানি পড়ছে। এর মানে সে সম্ভবত ভয় পাচ্ছিল, বাসায় যদি পানি ফেলায় আমি বলতাম আম্মু পানি ফেলতে নেই আম্মু, আমার অনেক কষ্ট হয়। এটাই হয়তো তার মাথায় ঢুকে গেছে যে পানি পড়ছে। যাইহোক আমি অনেক কষ্টে বুঝিয়ে বলছিলাম এটা কোন ভয় পাওয়ার বিষয় নয় এটা এমনই খুব সুন্দর একটি ঝর্ণা।
তবে কিছুতেই আমার মেয়ে বুঝতে পারছিল না। অনেক কষ্টে কিছুটা শান্ত হলো তবে বারবার বলছিল পানি পড়ছে আম্মু। ওর এই কথাগুলো শুনে আমরা একটু হাসলাম। সত্যি ছোট ছোট শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই আলাদা। তখন আমাদের ছবিও তুললাম। বসুন্ধরা মার্কেটের সামনে ছবি তুলতে খুব সুন্দর লেগেছিল পুরো জায়গাটায় সাজানো ছিল খুব সুন্দর ভাবে। পানির ঝর্নায় পড়া পানি আর সেই জায়গাটির পরিবেশ এক ধরনের শান্তিময়তা এবং সজীবতা এনে দিয়েছিল।এমন একটি অভিজ্ঞতা আমরা কখনো ভুলবো না যদিও মার্কেট বন্ধ ছিল। শেষমেষ আমরা বাড়ি ফিরে আসলাম এই ছোট্ট শহরটি যা কোন বড় ঘটনা বা দীর্ঘস্থায়ী কিছু নয়, তাও আমাদের জন্য খুবই মূল্যবান হয়ে রইল।
কারণ পরিবারের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত গুলোই তো আসলে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের পরের দিনগুলোতে এরকম ছোট্ট ছোট্ট অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনে নতুন রং যোগ করে। এটা ছিল আমাদের একদিনের গল্প। আশা করি আপনাদেরও কোন না কোন সুন্দর মুহূর্ত আসবে, যেগুলো আপনাদের জীবনে স্মৃতি হয়ে থাকবে। ঈদের পরে সপরিবারে বেরিয়ে এসে এমনই কিছু আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতার মাঝে হারিয়ে যেতে পারবেন,এই শুভকামনা রইল সবার প্রতি।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.